মহামারী, ভুমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, সাইক্লোন: আল্লাহর গজব আযাব ও সতর্ক সংকেত ২

মহামারী, ভুমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, সাইক্লোন, টর্নেডো, ভূমিধ্বস, উৎপাত : আল্লাহ’র গজব, আযাব  ও সতর্ক সংকেত – আমাদের এই আখেরী জামানায় কী করনীয় – ২য় পর্ব

 

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ

الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

https://sh-albarrak.com/article/7057

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০২০ ইং সালের মার্চ মাসেরে শেষের দিকে এসে আমরা দেখছি, গোটা পৃথিবী জুড়ে সবচাইতে বড় আতঙ্কের নাম হল “COVID-19 (কোভিড-১৯)” বা করোনা ভাইরাস , যা খুব দ্রুতই যেমন মহামারী আকারে পুরো পৃথিবীকেই আক্রান্ত করে ফেলছে, তেমনি হাজার হাজার মানুষকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু, সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হল, সকলেই কেবল পড়ে আছে ‘হাত-মুখ জীবানুমুক্ত করণ এবং এই ভাইরাস-এর স্পর্শ থেকে বাঁচার  নিয়মাবলীর পিছনে’, কিন্তু এর চাইতেও হাজার গুণ বেশি দরকার ছিল একথা উপলব্ধি করা যে, এটা আল্লাহ তাআলা’র অন্যতম ছোট আযাব ও সতর্ক সংকেত মাত্র, সামনে আরো আসছে, মানুষ তাদের পাপ ও আল্লাদ্রোহিতামূলক গোটা সিস্টেম থেকে তওবা না করলে সামনে আসছে আরো ব্যাপক ও পাইকারী ধ্বংস বরবাদী। কাকে বুঝাই একথা ?!!!

আল্লাহ’র নাজিলকৃত বালা মুসিবত সম্পর্কে মুনাফেকদের ধ্যানধারনা

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-

وَ مِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللَّهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللَّهِ وَ لَئِن جَاءَ نَصْرٌ مِّن رَّبِّكَ لَيَقُولُنَّ إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ ۚ أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِمَا فِي صُدُورِ الْعَالَمِينَ – وَ لَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْمُنَافِقِينَ 

 “”। [সূরা আনকাবুত ১০]

আনাস বিন মালেক রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَرَجُلٌ مَعَهَا ، فَقَالَ الرَّجُلُ : يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ حَدِّثِينَا حَدِيثًا عَنِ الزَّلْزَلَةِ ، فَأَعْرَضَتْ عَنْهُ بِوَجْهِهَا ، قَالَ أَنَسٌ : فَقُلْتُ لَهَا : حَدِّثِينَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَنِ الزَّلْزَلَةِ ، فَقَالَتْ : يَا أَنَسُ إِنْ حَدَّثْتُكَ عَنْهَا عِشْتَ حَزِينًا ، وَبُعِثْتَ حِينَ تُبْعَثُ وَذَلِكَ الْحُزْنُ فِي قَلْبِكَ فَقُلْتُ : يَا أُمَّاهُ حَدِّثِينَا ، فَقَالَتْ : إِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا خَلَعْتَ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا هَتَكَتْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ حِجَابٍ ، وَإِنْ تَطَيَّبَتْ لِغَيْرِ زَوْجِهَا كَانَ عَلَيْهَا نَارًا وَشَنَارًا ، فَإِذَا اسْتَحَلُّوا الزِّنَا وَشَرِبُوا الْخُمُورَ بَعْدَ هَذَا وَضَرَبُوا الْمَعَازِفَ غَارَ اللَّهُ فِي سَمَائِهِ ، فَقَالَ لِلْأَرْضِ : تَزَلْزَلِي بِهِمْ ، فَإِنْ تَابُوا وَنَزَعُوا وَإِلَّا هَدَمَهَا عَلَيْهِمْ فَقَالَ أَنَسٌ : عُقُوبَةٌ لَهُمْ ؟ قَالَتْ : رَحْمَةٌ وَبَرَكَةٌ وَمَوْعِظَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ ، وَنَكَالًا وَسَخْطَةً وَعَذَابًا لِلْكَافِرِينَ قَالَ أَنَسٌ : فَمَا سَمِعْتُ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا أَنَا أَشَدُّ بِهِ فَرَحًا مِنِّي بِهَذَا الْحَدِيثِ ، بَلْ أَعِيشُ فَرِحًا وَأُبْعَثَ حِينَ أُبْعَثُ وَذَلِكَ الْفَرَحُ فِي قَلْبِي – أَوْ قَالَ : فِي نَفْسِي . رواه الحاكم في المستدرك , كتاب الفتن والملاحم , إذا استحلوا الزنى وشربوا الخمر غار الله في سمائه : ٤/٥٦١ رقم ٨٥٧٥ و قال : هذا حديث صحيح على شرط مسلم ولم يخرجاه  ، اسناده ضعيف جدا  – “আমি (একবার ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে) আয়েশা রা.-এর কাছে গেলাম। (গিয়ে দেখলাম সেখানে আমার আগেই) ওনার কাছে এক ব্যাক্তি (ইলম হাসিলে উদ্দেশ্যে পর্দার আড়ালে বসে) রয়েছে। লোকটি (পর্দার আড়াল থেকে তাঁকে) বললো: ‘হে উম্মুল মুমিনীন! আমাদের কাছে (রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে শোনা) ভূমিকম্প সম্পর্কিত (কোনো) হাদিস বর্ণনা করুন’। এতে (পর্দার আড়াল থেকে হালকা ভাবে বোঝা গেল যে) তিনি তার থেকে তার মুখ ফিরিয়ে নিলেন, (বর্ণনা করতে চাইলেন না)’। আনাস রা. বলেন: ‘তখন আমি তাঁকে বললাম: ‘হে উম্মুল মুমিনীন! আমাদের কাছে ভূমিকম্প সম্পর্কিত (কোনো) হাদিস বর্ণনা করুন’। তখন তিনি বললেন: ‘হে আনাস! আমি যদি তোমাকে সে ব্যাপারে হাদিস শুনাই, তাহলে তুমি (তা শুনে) চিন্তাহ্নিত জীবন অতিবাহিত করবে। আর তুমি (যেদিন) পূনরুউত্থিত হবে, তখনও সেই চিন্তা তোমার অন্তরে রয়ে যাবে’। তবুও আমি বললাম: ‘হে উম্মুল মুমিনীন! আমাদেরকে হাদিস শুনান’ অ তখন তিনি বললেন; ‘নিশ্চই কোনো নারী যখন (স্বাভাবিক অবস্থায়) তার স্বামীর বাড়িতে (স্বামীর সামনে) ব্যতীত অন্য কোথাও (না-মাহরাম/পরপুরুষের সামনে) তার কাপড় খোলে, তখন সে (মূলত:) আল্লাহ তাআলা ও তার মাঝে (চুক্তি কৃত পর্দা বিধান লঙ্ঘন করে যেন) হিজাবকে ছিড়ে ফেলে দেয়। আর সে যদি তার স্বামী ব্যবতীত অন্য কারোর জন্য সুগন্ধি মাখে, তাহলে (কেয়ামতের দিন) সেটা তার উপরে হবে আগুন ও লাঞ্ছনা/লজ্জার কারণ। লোকেরা এরপর যখন (ব্যাপক ভাবে) জেনা-ব্যাভিচারকে বৈধ করে নিবে, (প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে) মদ পান করবে এবং (গাইয়ারা গান বাজনার দ্বারা পুরুষদেরকে আকৃষ্টি করার জন্য) বাদ্যযন্ত্র বাজাবে, তখন আল্লাহ আসমান থেকে তারে জন্য আযাব নাজিল করবেন। তখন তিনি পৃথিবীকে বলবেন: ‘তাদেরকে নিয়ে কেঁপে ওঠ্’। তখন যদি তারা তওবা করে এবং (ওসব পাপ ও অপরাধ থেকে) ফিরে আসে, (তাহলে রক্ষা), অন্যথায় তা তাদেরকে বরবাদ করে দিবে’। তখন আনাস রা. বললেন: ‘(সেই ভুমিকম্পটি কি) তাদের (পাপের) চুড়ান্ত কর্মফল (স্বরূপ আপতীত) হবে’? আয়েশা রা. বললেন: ‘(না। ওটা পৃথিবীতে) মুমিনদের জন্য (হবে) রহমত, বরকত এবং উপদেশ (স্বরূপ), আর কাফেলদের জন্য হবে (আল্লাহ’র পক্ষ থেকে পার্থিব) নমুনা-শাস্তি, গোষ্মা(র বহি:প্রকাশ) ও আযাব (স্বরূপ। আর আখেরাতে হিসাব ও শাস্তি আলাদা)” [মুসতাদরাকে হাকিম– ৪/৫৬১ হাদিস ৮৫৭৫]

# আবু মুসা আশয়ারী রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন:–  إِنَّ اللَّهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَرَأَ ‏{‏وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهْىَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ‏} . رواه البخاري في الصحيح : ٨/٣٥٤ رقم ٤٦٨٦، و مسلم في الصحيح : ٤/١٩٩٧ رقم ٢٥٨٣ ، و ابن ماجه في السنن : ٢/١٣٣٢ رقم ٤٠١٨ – “নিশ্চই আল্লাহ (তাআলা) জালেমকে (নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত) অবকাশ দেন। অবশেষে যখন তাকে ধরেন, তখন তাকে আর ছাড়েন না’। এরপর (এই আয়াতটি) তেলাওয়াত করলেন- ‏وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهْىَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ‏ – ‘আর তোমার রবের পাকড়াও ওমনই হয় যখন কোনো নগরীকে তিনি ধরেন -(এমতাবস্থায় যে,) তা জালেম (এক নগরীর রূপ ধারন করে)। নিশ্চই তাঁর পাকড়াও মর্মন্তুদ, চরমমাত্রার কঠোর”। [সহিহ বুখারী– ৮/৩৫৪ হাদিস ৪৬৮৬; সহিহ মুসলীম– ৪/১৯৯৭ হাদিস ২৫৮৩; সুনানে ইবনে মাজাহ- ২/১৩৩২ হাদিস ৪০১৮]

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- يكون في آخر هذه الأمة خسف ومسخ وقذف . قالت: قلت: يا رسول الله، أنهلك وفينا الصالحون؟ قال: ” نعم، إذا ظهر الخبث. أخرجه الترمذي: كتاب الفتن – باب ما جاء في الخسف: ٤/٤٧٩ وقال: هذا حديث غريب، والحديث صححه الألباني. صحيح الجامع: ٢/١٣٥٥ – ‘এই উম্মতের শেষভাগে খাসফ (ভূমিধ্বস), মাসখ (আকৃতি-বিকৃতি) এবং ক্বাযফ হবে’। তিনি বলেন: আমি বললাম – ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমাদের মধ্যে নেককার লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমারা (তখন ভূমিধ্বসে) ধ্বংস হয়ে যাবো? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: হ্যাঁ, (এমন ঘটবে তখন) যখন (সমাজে) খবিছ (অশ্লীলতা, নোংরামী, বদচরিত্র এবং এসবের উপকরণ) ব্যাপক আকার ধারন করবে’। [সুনানে তিরমিযী- ৪/৪৭৯]

 

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-
 

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-

أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هَٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا – مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ۖ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ ۚ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولًا ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا 

 “তোমরা যেখানেই থাকো না কেনো, মৃত্যু তোমাদের সাথে সাক্ষাত করবে -যদিও বা তোমরা কোনো সুদৃঢ় কেল্লার ভিতরে ঢুকে থাকো। (মু অবস্থা এই যে), তারা যদি কোনো কল্যান লাভ করে, তারা বলে: এটা আল্লাহ’র পক্ষ থেকে। আর তারা যদি কোনো মন্দ (অবস্থা)র সম্মুখীন হয়, (তখন) তারা বলে: এটা তোমার কারণে হয়েছে। বলো, সব কিছুই আল্লাহ’র পক্ষ থেকে হয়।  তাহলে সেই গোষ্ঠিটির কি হল, তারা কোনো কথা একদমই বুঝে না। তুমি কল্যানের যা কিছু লাভ  করো, বস্তুত: তা আল্লাহ’র পক্ষ থেকে। আর তুমি মন্দ (অবস্থা)র মধ্য থেকে যা কিছুর সম্মুখীন হও, তা তোমার নিজের অর্জন। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছি। আর সাক্ষ্যি হিসেবে আল্লােই যথেষ্ট ।”। [সূরা নিসা ৭৮]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَ لَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

 “ওহে যারা (আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মুহাম্মাদের প্রতি) ইমান এনেছো! তোমরা পুরোপুরি ভাবে (দ্বীন) ইসলামে প্রবেশ করো। আর তোমরা শয়তানের পদাঙ্গ অনুসরণ করো না। নিশ্চই সে তোমাদের প্রকাশ্য দৃশমন”। [সূরা বাকারাহ ২০৮]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَ لَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ

 “ওহে যারা (আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মুহাম্মাদের প্রতি) ইমান এনেছো! তোমরা আল্লাহ’কে ভয় করো -যেমন ভাবে তাঁকে ভয় করা কর্তব্য। আর তোমরা (আল্লাহ’র মনোনীত দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে খাঁটি) মুসলীম (আত্বসমর্পণকারী) না হয়ে মৃত্যুবরন করো না”। [সূরা আল-ইমরান ১০২]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-  أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ : { اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ } قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْ أَنَّ قَطْرَةً مِنَ الزَّقُّومِ قُطِرَتْ فِي دَارِ الدُّنْيَا لَأَفْسَدَتْ عَلَى أَهْلِ الدُّنْيَا مَعَايِشَهُمْ ، فَكَيْفَ بِمَنْ يَكُونُ طَعَامَهُ ؟ . أخرجه الترمذي في سننه , كتاب صفة جهنم , باب ما جاء في صفة شراب أهل النار: ٤/٧٠٦ رقم ٢٥٨٥ وقال: هذا حديث حسن صحيح، أخرجه ايضا أحمد و النسائي و ابن ماجه و ابن حبان في صحيحه ، والحاكم في مستدركه – “রাসুলুল্লাহ ﷺ (একবার)- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَ لَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ – {ওহে যারা (আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মুহাম্মাদের প্রতি) ইমান এনেছো! তোমরা আল্লাহ’কে ভয় করো -যেমন ভাবে তাঁকে ভয় করা কর্তব্য। আর তোমরা (আল্লাহ’র মনোনীত দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে খাঁটি) মুসলীম (আত্বসমর্পণকারী) না হয়ে মৃত্যুবরন করো না} -এই আয়াতটি তেলাওয়াত করে বললেন: ‘যদি জাককুম (নামক দোযখের খাবার) থেকে এক ফোটা (রসও) দুনিয়ার কোথাও টপকে পড়ে, তাহলে তা অবশ্যই পৃথিবী-বাসীদের উপরে তাদের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় সৃষ্টি করে ছাড়বে। তাহলে (চিন্তা করে দেখো) তার কী অবস্থা হবে যার জন্য সেটা হবে (দোযখের) খাবার”। [সুনানে তিরমিযী– ৪/৭০৬ হাদিস ২৫৮৫; সহিহ ইবনে হিব্বান- ১৬/৫১১ হাদিস ৭৪৭০; মুসনাদে আহমদ- ১/৩০০; মুসতাদরাকে হাকিম– ২/২৯৪; সুনানুল কুবরা, নাসায়ী- ৬/৩১৩ হাদিস ১১০৭০; সুনানে ইবনে মাজাহ- ২/১৪৪৬ হাদিস ৪৩২৫]

আল্লাহ বলেন: وَيَا قَوْمِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَى قُوَّتِكُمْ
“(হুদ আলাইহিস সালাম বললেন) হে আমার সম্প্রদায়, তোমারা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার কাছে তওবা কর। তিনি তোমাদেরকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি দিবেন এবং তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবেন।” (সূরা হুদ: ৫২)

এই রেওয়ায়েতটি থেকে বোঝা যায়, যারা আল্লাহ তাআলা, ও তাঁর রাসুল ﷺ-এর উপরে ইমান আনার পরও যারা ইসলামী পুরোপুরি মুসলীম (আত্বসমর্পণকারী) না হয়ে মৃত্যুবরণ করবে, তারা দোযখে যাবে এবং সেখানকার জাককুম নামক খাবার ভক্ষন করবে। 

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ – (তোমরা আল্লাহ’কে ভয় করো -যেমন ভাবে তাঁকে ভয় করা কর্তব্য) -এর ব্যাখ্যায় বলেন- أن يطاع فلا يعصى ، وأن يذكر فلا ينسى ، وأن يشكر فلا يكفر . رواه ابن أبي حاتم في تفسيره : ١/٧٢٢ رقم ٣٩٠٨ : ، و قال ابن كثير في تفسيره : ٣/١٣٠ : وهذا إسناد صحيح موقوف – “তা এই যে, (কায়মনোবাক্যে শুধু তাঁরই) অনুগত্য করো (তাঁর) নাফরমানী করো না; (সর্বক্ষেত্রে তাঁর হুকুমকে) স্মরণ করে চলো (তাঁকে কোনো অবস্থাতেই) ভুলে যেও না; (তাঁর) কৃতজ্ঞ (বান্দা) হও (তাঁর সাথে) কুফরী করো না”। [তাফসিরে ইবনে আবি হাতিম– ১/৭২২ আছার ৩৯০৮; আল-মু’জামুল কাবির, ত্বাবরাণী- ৯/৯৩ আছার ৮৫০১; মুসতাদরাকে হাকিম- ২/৩৯৩; জামেউল বায়ান, ইমা তাবারী- ৭/৬৫ আছার ৭৫৩৬; তাফসিরে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক- ১/১২৯; তাফসিরে ইবনে কাসির– ৩/১৩০]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ – (তোমরা আল্লাহ’কে ভয় করো -যেমন ভাবে তাঁকে ভয় করা কর্তব্য) -এর ব্যাখ্যায় বলেন- أنْ يُجاهِدَ في سَبِيلِ اللَّهِ حَقَّ جِهادِهِ، ولا يَأْخُذَهم في اللَّهِ لَوْمَةُ لائِمٍ، ويَقُومُوا بِالقِسْطِ ولَوْ عَلى أنْفُسِهِمْ وآبائِهِمْ وأبْنائِهِمْ . رواه ابن أبي حاتم في تفسيره : ١/٧٢٢ رقم ٣٩١٠ : ، و اورده ابن كثير في تفسيره : ٣/١٣١  – “ আল্লাহ’র পথে এমন ভাবে মুজাহাদা/জিহাদ করো যেমন ভাবে তাঁর জন্য মুজাহাদা/জিহাদ করা কর্তব্য। বস্তুত: তারা আল্লাহ’র পথে (মুজাহাদা/জিহাদ করতে গিয়ে) কোনো তিরষ্কারীর তিরষ্কারকে আমলে নেয় না। বরং তারা ইনসাফের সাথে (আল্লাহ’র পথে) কায়েম থাকে -(তাতে করে) যদি (তা) তাদের (নিজেদের) নফসের (বিরুদ্ধে), তাদের বাপদাদাদা (পূর্বপুরুষদের মত ও পথের বিরুদ্ধে) এবং তাদের সন্তানসন্ততিদের বিরুদ্ধে যায় (তবুও)”। [তাফসিরে ইবনে আবি হাতিম- ১/৭২২ আছার ৩৯১০; তাফসিরে ইবনে কাসির– ৩/১৩০]

 

মার্চের ১৯ তারিখের আপডেট নিউজ অনুসারে, খোদ ইটালিতে ১ দিনেই ৪৭৫ জনের প্রাণ ঝরার ঘটনা ঘটেছে; মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার; আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭’শ। আর চীন, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইরান সহ ১৮৫ টি দেশের আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ বিশ হাজারের মতো, আর এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার।

এর আগে ১৯১৮ ইং সালে “স্প্যানিশ ফ্লু” নামক মহামারীটি পৃথিবীর প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে আক্রন্ত করেছিল, যাদের মধ্যে প্রায় ১.৭ কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে যায়।   

 

https://www.saaid.net/arabic/190.htm

https://www.islamweb.net/ar/article/181349/%D8%A5%D9%86-%D8%B1%D8%A8%D9%83-%D9%84%D8%A8%D8%A7-%D9%84%D9%85%D8%B1%D8%B5%D8%A7%D8%AF

حَتَّى إِذَا أَخَذَتِ الأَرْضُ زُخْرُفَهَا وَازَّيَّنَتْ وَظَنَّ أَهْلُهَا أَنَّهُمْ قَادِرُونَ عَلَيْهَا أَتَاهَا أَمْرُنَا لَيْلًا أَوْ نَهَارًا فَجَعَلْنَاهَا حَصِيدًا كَأَنْ لَمْ تَغْنَ بِالأَمْسِ كَذَلِكَ نُفَصِّلُ الآَيَاتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-

وَ لَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَىٰ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَ لَٰكِن كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ

 “আর যদি জনপদ বাসীরা (পূর্বের অপরাধ থেকে তওবা করে খাঁটি) ইমান আনতো এবং (তাদের জীবন যাত্রায়) তাকওয়া অবলম্বন করতো, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের উপরে আসমান ও জামিনের বরকতসমূহ খুলে দিতাম”। কিন্তু  ”। [সূরা আ’রাফ ৯৬]

إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ

 “”। [সূরা রা’দ ১১]

كَذَّبُوا بِآَيَاتِنَا كُلِّهَا فَأَخَذْنَاهُمْ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-

فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيَاطِينَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا – ثُمَّ لَنَنزِعَنَّ مِن كُلِّ شِيعَةٍ أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى الرَّحْمَٰنِ عِتِيًّا – ثُمَّ لَنَحْنُ أَعْلَمُ بِالَّذِينَ هُمْ أَوْلَىٰ بِهَا صِلِيًّا – وَإِن مِّنكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا ۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا – ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوا وَّنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا – وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَيُّ الْفَرِيقَيْنِ خَيْرٌ مَّقَامًا وَأَحْسَنُ نَدِيًّا – وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَحْسَنُ أَثَاثًا وَرِئْيًا – قُلْ مَن كَانَ فِي الضَّلَالَةِ فَلْيَمْدُدْ لَهُ الرَّحْمَٰنُ مَدًّا ۚ حَتَّىٰ إِذَا رَأَوْا مَا يُوعَدُونَ إِمَّا الْعَذَابَ وَإِمَّا السَّاعَةَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضْعَفُ جُندًا

 “”। [সূরা মারইয়াম ৬৮-৭৫]

وَلَقَدْ أَخَذْنَا آلَ فِرْعَوْنَ بِالسِّنِينَ وَنَقْصٍ مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ – فَإِذَا جَاءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوا لَنَا هَٰذِهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَطَّيَّرُوا بِمُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ ۗ أَلَا إِنَّمَا طَائِرُهُمْ عِندَ اللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ – وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِّتَسْحَرَنَا بِهَا فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ – فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُّفَصَّلَاتٍ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُّجْرِمِينَ – وَلَمَّا وَقَعَ عَلَيْهِمُ الرِّجْزُ قَالُوا يَا مُوسَى ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ ۖ لَئِن كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ – فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الرِّجْزَ إِلَىٰ أَجَلٍ هُم بَالِغُوهُ إِذَا هُمْ يَنكُثُونَ – فَانتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ – وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُوا يُسْتَضْعَفُونَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا ۖ وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ الْحُسْنَىٰ عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا صَبَرُوا ۖ وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ وَمَا كَانُوا يَعْرِشُونَ 
“আর আমরা ফেরাউনের (অনুগত অনুসারী গোষ্ঠির) লোকদেরকে (তাদের উপর্যপুরি অবাধ্যতার কারণে) পাকড়াও করেছিলাম দুর্ভিক্ষ ও ফল-ফসলের (ব্যাপক) ক্ষতির দ্বারা, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে (ও সতর্ক হয়)। (কিন্তু তাতেও তাদের অবস্থা এই হত যে,) পরে যখন তাদের কাছে ভাল (সময় আসতো, তখন) তারা বলতো: ‘আমাদের জন্য এটাই (হওয়া উচিত)’। আর তারা যখন মন্দ (অবস্থা)’র সম্মুখীন হত, (তখন) তারা (নিজেদের অপরাধকে আড়াল করে সেই মন্দ অবস্থার যাবতীয়) অশুভতার দোষ দিতো মূসা ও তাঁর অনুগত্যকারীদেরকে। শুনে রাখো, তাদের (উপরে আগত এসব) অশুভতা(র প্রকৃত জ্ঞান) আল্লাহ’র কাছে রয়েছে (যে, তা কী অপরাধের কারণে আপতীত করা হয়েছিল), কিন্তু (তাদের) অধিকাংশই (তা) জানতো না। আর তারা (মুসাকে) বলতো: ‘আমাদেরকে তা দিয়ে জাদুগ্রস্থ করার জন্য নিদর্শনের যা কিছুই তুমি আমাদের কাছে নিয়ে আসো না কেনো, আমরা তোমার (আহবানের বিষয়বস্তুর) উপরে ইমান আনবো না’। ফলে (তাদের জালেমানা সিদ্ধান্ত যখন এই, তখন পার্থিব আযাব হিসেবে) আমরা তাদের উপরে পাঠালাম তুফান, যারাদ (পঙ্গপাল/টিড্ডি), কুম্মাল (উকুন জাতীয় পোকা), ব্যাঙ এবং রক্তকে সুস্পষ্ট নিদর্শন রূপে। তখন(ও দেখা গেল) তারা (তওবা করার পরিবর্তে উল্টো স্ব-অবস্থার থাকার উপরে) অহঙ্কার দেখালো, আর তারা ছিল (আসলে একটা) অপরাধকারী জাতি। আর তাদের উপরে যখন কোনো শাস্তি আপতিত হত, (তখন) তারা বলতো: ‘হে মূসা! তুমি তোমার (যে প্রভুর দিকে আমারেকে ডাকো, সেই) প্রভুর কাছে –তিনি তোমার কাছে যে ব্যাপারে অঙিঘকার করেছেন তার অসিলায়– আমাদের জন্য দোয়া করো, (যাতে এই শাস্তিটি আমাদের উপরে থেকে সরে যায়)। যদি তুমি আমাদের থেকে শাস্তিটি সরিয়ে দাও, তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার (আহবানের বিষয়বস্তুর) উপরে ইমান আনবো এবং আমরা অবশ্যই তোমার সাথে বণী-ইসরাঈলকে পাঠিয়ে দিবো। পরে আমরা যখন তাদের উপর থেকে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত শাস্তিটিকে হটিয়ে দিতাম -যে পর্যন্ত তাদের পৌছানো অবধারিত ছিল, তখন তারা অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করতো। ফলে আমরা তাদের থেকে বদলা নিলাম, পরে তাদেরকে আমরা সমূদ্রে ডুবিয়ে দিলাম -এজন্য যে তারা আমাদের নিদর্শন সমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল এবং তারা সেই ব্যাপারে ছিল গাফেল (ভ্রুক্ষেপহীন)। আর (অপরদিকে) যাদেরকে দূর্বল করে রাখতে চাওয়া হত, আমরা (সেই) গোষ্ঠিকে (ফেরাউন ও তার অনুগত গোষ্ঠির স্থলে ওই অঞ্চলের)  ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী) বানালাম, (যার) পূর্ব ও পশ্চিমের ভূমিতে আমরা বরকত রেখেছি। আর (এভাবে) বনী-ইসরাঈলের উপরে তোমার প্রভুর কল্যানময় বাণী (ও ওয়াদা) পূর্ণতা পেল -একারণে যে তারা সবর করেছিল। আর ফেরাউন ও তার জাতি যা বানাত ও চড়াত আমরা তা ধ্বংস করে দিলাম[সূরা আ’রাফ ১৩০-১৩৭]

# আবু কাতাদাহ আনসারী রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন:- أنَّ رَسولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ مُرَّ عليه بجِنَازَةٍ، فَقالَ: مُسْتَرِيحٌ ومُسْتَرَاحٌ منه قالوا: يا رَسولَ اللَّهِ، ما المُسْتَرِيحُ والمُسْتَرَاحُ منه؟ قالَ: العَبْدُ المُؤْمِنُ يَسْتَرِيحُ مِن نَصَبِ الدُّنْيَا وأَذَاهَا إلى رَحْمَةِ اللَّهِ، والعَبْدُ الفَاجِرُ يَسْتَرِيحُ منه العِبَادُ والبِلَادُ، والشَّجَرُ والدَّوَابُّ . رواه البخاري في الصحيح : رقم ٦٥١٢ ، و مسلم في الصحيح : رقم ٩٥٠ ، و أحمد ، و النسائي في السنن ، و البيهقي في السنن الكبرى و شعب الإيمان .
– “একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর পাশ দিয়ে (এক ব্যাক্তির একটি) জানাযা গেল। তখন তিনি বললেন: ‘সে (মড়ে নিজেও) বাঁচলো এবং তার থেকেও (মানুষ) বাঁচলো’। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো: ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! কী’? তিনি বললেন: ‘একজন মুমিন বান্দা পৃথিবীর ধোকা ও কষ্ট-ক্লেশ থেকে বেঁচে আল্লাহ’র রহমতের পানে চলে যায়। আর একজন ফাজের (পাপীষ্ট) বান্দার কাছ থেকে (আল্লাহ’র) বান্দাগণ, ভূমি, গাছপালা এবং পশু-প্রাণী রেহাই পায়”। [সহিহ বুখারী, হাদিস ৬৫১২; সুহিহ মুসলীম, হাদিস ৯৫০; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ১৯২৯; সুনানল কুবরা, বাইহাকী-  হাদিস ; শুআবুল ইমান, বাইহাকী ; আত-তামহিদ, ইবনু আব্দিল বার- ১৩/৬১]

 

روى أحمد في “المسند” (8043) ، من حديث أبي هريرة رضي الله عنه ، مرفوعا :

ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمْ: الْإِمَامُ الْعَادِلُ، وَالصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ، وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ تُحْمَلُ عَلَى الْغَمَامِ، وَتُفْتَحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاوَاتِ، وَيَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ: وَعِزَّتِي لَأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ .

قال محققو المسند : ” حديث صحيح بطرقه وشواهده” . ا

http://www.saaid.net/bahoth/44.htm

 

https://www.ahlalhdeeth.com/vb/showthread.php?t=173238