ইসলামে শহিদের মর্যাদা : কুরআন ও হাদিস
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ
الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ النبي الأمي عَدَدَ خَلْقِك وَ رِضَا نَفْسِك وَزِنَةَ عَرْشِك وَ مِدَادَ كَلِمَاتِك، صَلِّ عَليه صَلاَةً كَامِلَةً دَائِمَةً كَمَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلَّى عَلَيهِ وَ سَلِّمْ تَسلِيمَاً بِقَدرِ عَظَمَةِ ذَاتِكَ فِى كُلِّ وَقتٍ وَ حِين، صلاة تكون لك رضاء و له جزاء، صلاة لا غاية لها ولا منتهى ولا انقضاء باقية ببقائك الى يوم الدين ، و اعطه الوسيلة و الفضيلة و المقام المحمود الذي وعدته، و اجزه عنا ما هو اهله، و على اله وأصحابه و أزواجه و ذريته و أهل بيته و سلم تسليما مثل ذلك، اَللّٰهُمَّ اجمعني معه في الفردوس و جنة المأوى، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
>>> মূল সূচিপত্র (index) থেকে এ পেজের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী আলোচনা পড়তে [এখানে ক্লিক করুন]
পূর্ব আলোচনার পর…
শহিদের মর্যাদা বিষয়ক কুরআনের আয়াত
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ – فَرِحِينَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَيَسْتَبْشِرُونَ بِالَّذِينَ لَمْ يَلْحَقُوا بِهِم مِّنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ – يَسْتَبْشِرُونَ بِنِعْمَةٍ مِّنَ اللَّهِ وَفَضْلٍ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُؤْمِنِينَ
‘আর যারা আল্লাহ’র পথে নিহত হয়েছে, তুমি তাদেরকে (সাধারণ মুসলমানের মতো সাধারণ) মৃত (মানুষ) মনে করো না। বরং, তারা তাদের রবের কাছে জীবিত (এবং বিশেষ মর্যাদায়) রিযিক পেয়ে থাকে। আল্লাহ তাঁর ফজলে তাদেরকে যা দিচ্ছেন (তাতে) তারা পরিতৃপ্ত হচ্ছে। আর তাদের পিছনে রয়ে যাওয়াদের মধ্যে যারা (এখনো পর্যন্ত) তাদের সাথে (এসে) মিলিত হয়নি, তারা তাদের (এই সুসংবাদেও) আনন্দিত হচ্ছে যে, তাদের (সামনের মঞ্জিলগুলোতে) না কোনো কোনো ভয়-ভীতি থাকবে, আর না থাকবে কোনো চিন্তা। তারা আল্লাহ’র পক্ষ থেকে (প্রাপ্ত বিশেষ) নেয়ামত ও ফজলে আনন্দিত হচ্ছে। আর (তারা এ দেখেও আনন্দিত হচ্ছে) যে, আল্লাহ মুমিনদের সওয়াবকে বিনষ্ট করে দেন না”। [সূরা আল-ইমরান ১৬৯-১৭১]
শহিদের মর্যাদা বিষয়ক হাদিস ও আছার
# মাশরুক রহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- سَأَلْنَا عَبْدَ اللَّهِ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ : { وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ } قَالَ : أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ ، فَقَالَ : أَرْوَاحُهُمْ فِي جَوْفِ طَيْرٍ خُضْرٍ ، لَهَا قَنَادِيلُ مُعَلَّقَةٌ بِالْعَرْشِ ، تَسْرَحُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ ، ثُمَّ تَأْوِي إِلَى تِلْكَ الْقَنَادِيلِ ، فَاطَّلَعَ إِلَيْهِمْ رَبُّهُمُ اطِّلَاعَةً ، فَقَالَ : هَلْ تَشْتَهُونَ شَيْئًا ؟ قَالُوا : أَيَّ شَيْءٍ نَشْتَهِي وَنَحْنُ نَسْرَحُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ شِئْنَا ، فَفَعَلَ ذَلِكَ بِهِمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لَنْ يُتْرَكُوا مِنْ أَنْ يُسْأَلُوا ، قَالُوا : يَا رَبِّ ، نُرِيدُ أَنْ تَرُدَّ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا حَتَّى نُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مَرَّةً أُخْرَى ، فَلَمَّا رَأَى أَنْ لَيْسَ لَهُمْ حَاجَةٌ تُرِكُوا . رواه مسلم في الصحيح , كِتَابُ الْإِمَارَةِ , باب بيان أن أرواح الشهداء في الجنة وأنهم أحياء عند ربهم يرزقون : رقم ١٨٨٧ ; والترمذي في سننه , كتاب التفسير : رقم ٣٠١١ ، و ابن ماجه في سننه , كتاب الجهاد : رقم ٢٨٠١، و الدارمي في سننه , كتاب الجهاد : رقم ٢٤١٠ – “আমরা আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ রা.)কে وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ –আর যারা আল্লাহ’র পথে নিহত হয়েছে, তুমি তাদেরকে (সাধারণ মুসলমানের মতো সাধারণ) মৃত (মানুষ) মনে করো না। বরং, তারা তাদের রবের কাছে জীবিত (এবং বিশেষ মর্যাদায়) রিযিক পেয়ে থাকে’ – এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন: ‘আমরাও এ ব্যাপারে (রাসুলুল্লাহ ﷺ কে) জিজ্ঞেস করেছিলাম। তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করলেন: ‘তাদের রূহ গুলো (এ প্রকারের) সবুজ (রঙের) পাখির পেটে থাকে; সেটার জন্য রয়েছে আরশের সাথে সংযুক্ত ঝুলন্ত খাঁচা। সে জান্নাতের যেখানে মন চায় ঘুরে বেড়াতে পারে। অত:পর সে ওই খাঁচার পানে ফিরে আসে। তখন তাদের রব তাদেরকে দিকে বিশেষ মনযোগ দিয়ে বলেন: ‘তোমাদের কি কিছু চাওয়ার আছে’? তারা বলে: ‘আমাদের আর কী চাওয়ার থাকতে পারে, যখন আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াতে পারছি’! তখন তিঁনি তিন বার তাদের কাছে সেই (একই প্রশ্নের পূনরাবৃত্তি) করেন। যখন তারা দেখে যে, তাদেরকে প্রশ্নবান করা ছাড়া অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে না, তখন তারা বলে: ‘হে আমাদের রব! আমাদের ইচ্ছে এই যে, আপনি আমাদের রূহ গুলিকে আমাদের শরীরে ফিরিয়ে দিন, যেন আমরা আপনার পথে আরো একবার নিহত হতে পারি’। তিনি যখন দেখেন যে, তাদের আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, তখন তাদেরকে (তখনকার মতো) অব্যাহতি দেয়া হয়”। [সহিহ মুসলীম, হাদিস ১৮৮৭; সুনানে তিরমিযী, হাদিস ৩০১১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ২৮০১; সুনানে দারেমী, হাদিস ২৪১০]
# মিকদাম বিন মা’দি কারিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الأَكْبَرِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ . رواه الترمذي , كتاب فضائل الجهاد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم : رقم ١٦٦٣ ، وأحمد في مسنده : رقم ١٧٢٢١ ، و صححه الألباني في صحيح الترغيب والترهيب: ١٣٧٥ – “আল্লাহ’র কাছে শহিদের জন্য সাতটি (বিশেষ) বৈশিষ্ট রয়েছে। (১) প্রথম রক্তফোটা পড়ার সময় তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, (২) তাকে বেহেশতে তার আসন দেখানো হয়, (৩) তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেয়া হয়, (৪) বৃহত্তম ভীতি থেকে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়, (৫) তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়িয়ে দেয়া হয়, যার ইয়াকুত (পাথড়) দুনিয়া এবং দুনিয়ার ভিতরে যা আছে তার চাইতে উত্তম। তাকে বাহাত্তর জন হুরে-ঈনের (ডাগোর নয়না বেহেশতী নারীর) সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়, (৭) তার নিকটাত্বীদের মধ্যে থেকে সত্তরজনের (ব্যাপারে) সাফায়াত (সুপারিশ) করতে দেয়া হবে”। [সুনানে তিরমিযী, হাদিস ১৬৬৩; মুসনাদে আহমদ, হাদিস ১৭২২১; আল-জামে’ লি-শুআবিল ইমান, ইমাম বাইহাকী- ৬/১১৪ হাদিস ৩৯৪৯]
# ওমর ফারূক রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- الشُّهَدَاءُ أَرْبَعَةٌ: مُؤْمِنٌ جَيِّدُ الْإِيمَانِ لَقِيَ الْعَدُوَّ، وَصَدَقَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى قُتِلَ، فَذَلِكَ الَّذِي يَرْفَعُ إِلَيْهِ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْيُنَهُمْ هَكَذَا وَرَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى وَقَعَتْ قَلَنْسُوَتُهُ , قَالَ: فَمَا أَدْرِي قَلَنْسُوَةَ عُمَرَ أَرَادَ أُمْ قَلَنْسُوَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجُلٌ مُؤْمِنٌ جَيِّدُ الْإِيمَانِ، إِذَا لَقِيَ الْعَدُوَّ فَكَأَنَّمَا يَضْرِبُ جِلْدَهُ بِشَوْكِ الطَّلْحِ مِنَ الْجُبْنِ، أَتَاهُ سَهْمٌ غَرْبٌ، فَقَتَلَهُ، فَهُوَ فِي الدَّرَجَةِ الثَّانِيَةِ، وَرَجُلٌ مُؤْمِنٌ خَلَطَ عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا، لَقِيَ الْعَدُوَّ، فَصَدَقَ اللَّهَ حَتَّى قُتِلَ، فَذَلِكَ فِي الدَّرَجَةِ الثَّالِثَةِ، وَرَجُلٌ مُؤْمِنٌ أَسْرَفَ عَلَى نَفْسِهِ، فَلَقِيَ الْعَدُوَّ، فَصَدَقَ اللَّهَ حَتَّى قُتِلَ، فَذَلِكَ فِي الدَّرَجَةِ الرَّابِعَةِ . رواه ابن المبارك في كتاب الجهاد : ١/١٢٠ رقم ١٢٦ و اسناده حسن، : رواه ابن المبارك عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ قبل اختلاطه، كما قال محمد بن رزق بن طرهوني في مرويات الإمام أحمد بن حنبل في التفسير: ٤/١٩٩، و رواه ايضا الترمذي في سننه , كتاب فضائل الجهاد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم , باب ما جاء في فضل الشهداء عند الله : رقم ١٦٤٤ و قال : هذا حديث حسن غريب لا نعرفه إلا من حديث عطاء بن دينار، رواه الإمام احمد بن حنبل في مسنده , مسند العشرة المبشرين بالجنة , مسند الخلفاء الراشدين , أول مسند عمر بن الخطاب رضي الله عنه: ١/٢٣٠ رقم ١٥٠ و قال احمد شاكر في تحقيقه علي المسند و في عمدة التفاسير من الحافظ ابن كثير: ٣/٤٥٨ : اسناده حسن، و قال ابن كثير في تفسيره : ٤/٣٣٤ : وهكذا رواه علي بن المديني عن أبي داود الطيالسي عن ابن المبارك عن ابن لهيعة و قال هذا إسناد مصري صالح – “শহিদগণ চার (রকমের হতে পারে)। (এক:) মজবুত ইমানওয়ালা (বীর সাহসী) মু’মিন (ব্যাক্তি), যে (জিহাদের ময়দানে) দুশমনের মুখোমুখি হয়েছে এবং (দ্বীন ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে আপ্রাণ জিহাদ করতে থাকার মাধ্যমে) আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সামনে (নিজের সাচ্চা ইমানের) সত্যতার পরিচয় দিয়ে অবশেষে (দুশমনের আঘাতে) নিহত হয়েছে। বস্তুত: সে এমন ব্যাক্তি, কেয়ামতের দিন যার দিকে লোকজন এভাবে চোখ তুলে তাকাবে -(একথা বলে) তিঁনি (ঊর্ধমুখি দৃষ্টি দেয়ার মতো করে) তাঁর মাথাকে (এমন ভাবে) উঠালেন (যে), এতে করে তাঁর টুপি(ই মাথা থেকে) পড়ে গেল। রাবী বলেন: আমার জানা নেই, বর্ণনাারী এর দ্বারা ওমরের টুপি উদ্দেশ্য নিয়েছেন, নাকি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর টুপি (উদ্দেশ্য নিয়েছেন)। (দুই🙂 মজবুত ইমানওয়ালা (কিন্তু ভীরু কাপুরুষ) মু’মিন ব্যাক্তি, সে যখন (জিহাদের ময়দানে) দুশমনের মুখোমুমি হয়, তখন (তার কাছে জিহাদের আমলটি এমন ভয়ানক মনে হয়) যেন ভীষন ভয় দেখিয়ে তার গায়ের চামড়ায় ত্বালহ (বাবলা গাছ)-এর কাটা (যুক্ত ডালপালা) দিয়ে পিটানো হচ্ছে; (এমতাবস্থায় এক পর্যায়ে) তার দিকে একটি তীক্ষ্ন-ধারালো তীর (ছুটে) এসে তাকে হত্যা করে ফেলে। সে হল দ্বিতীয় মর্তবা-স্তরে(’র শহিদ) । (তিন🙂 (এমন) মু’মিন ব্যাক্তি, যে (তার) নেক আমলের সাথে পরে গোনাহ’কে মিশ্রিত করে ফেলেছে, সে (জিহাদের ময়দানে) দুশমনের মুখোমুমি হয়েছে, এবং (দ্বীন ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে আপ্রাণ জিহাদ করতে থাকার মাধ্যমে) আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সামনে (নিজের ইমানের) সত্যতার পরিচয় দিয়ে অবশেষে (দুশমনের আঘাতে) নিহত হয়েছে। সে হল তৃতীয় মর্তবা-স্তরে(’র শহিদ)। চার: (এমন) মু’মিন ব্যাক্তি, যে (জীবনভর) তার নিজকে (বিভিন্ন প্রকারের) পাপে লিপ্ত রেখেছে, (কিন্তু) সে (আল্লাহ’র দ্বীনের সাহায্যার্থে জিহাদে শরিক হয়ে) দুশমনের মুখোমুমি হয়েছে, এবং (দ্বীন ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে আপ্রাণ জিহাদ করতে থাকার মাধ্যমে) আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সামনে (নিজের ইমানের) সত্যতার পরিচয় দিয়ে অবশেষে (দুশমনের আঘাতে) নিহত হয়েছে। সে হল চতুর্থ মর্তবা-স্তরে(’র শহিদ)”। [কিতাবুল জিহাদ, ইমাম ইবনুল মুবারক- ১/১২৯ হাদিস ১২৬; মুসনাদে আহমদ– ১/২৩০ হাদিস ১৫০; সুনানে তিরমিযী– ৪/১৫২ হাদিস ১৬৪৪; আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, ইমাম ইবনুল মুনযীর- ২১৩৮]
>>> মূল সূচিপত্র (index) থেকে এ পেজের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী আলোচনা পড়তে [এখানে ক্লিক করুন]