পাহাড় পর্বত সমপরিমাণ ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া – মহানবী ﷺ-এর হাদিস থেকে
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ
الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته
[উল্লেখ্য, এখানে উল্লেখিত হাদিস সমূহ ও তার অনুবাদ’কে কোনো বিজ্ঞ মুহাক্কেক আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে আমার অযোগ্যতার কারণে এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেয়ার আগেই মানব সমাজে ছড়িয়ে না যায়। এগুলো পড়ুন ইলম অর্জনের জন্য এবং যোগ্য আলেম থেকে তা বুঝিয়ে নিন। আর কোনো যোগ্য চোখে উল্লেখযোগ্য ভুল ধরা পড়লে তা আমাকে অবগত করুন।]
# আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন –مَا أَصَابَ أَحَدًا قَطُّ هَمٌّ وَلا حَزَنٌ فَقَالَ : اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ، وَابْنُ عَبْدِكَ ، وَابْنُ أَمَتِكَ ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي ، وَنُورَ صَدْرِي ، وَجِلَاءَ حُزْنِي ، وَذَهَابَ هَمِّي ، إِلا أَذْهَبَ اللَّهُ هَمَّهُ وَحُزْنَهُ ، وَأَبْدَلَهُ مَكَانَهُ فَرَجًا . قَالَ فَقِيلَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَلا نَتَعَلَّمُهَا ؟ فَقَالَ بَلَى ، يَنْبَغِي لِمَنْ سَمِعَهَا أَنْ يَتَعَلَّمَهَا . أخرجه احمد في مسنده : ٣٧١٢ و اللفظ له ، و ابن حبان في صحيحه : ٩٧٢ ، و الطبراني : ١٠/٢١٠ رقم ١٠٣٥٢ باختلاف يسير ; و صححه ابن القيم في الصواعق المرسلة : ٣/٩١٣ , و الألباني في صحيح الترغيب والترهيب : رقم ١٨٢٢ و في السلسلة الصحيحة : رقم ١٩٩ – “যে ব্যাক্তির উপরে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী যাই আপতিত হোক না কেনো, সে যদি বলে- اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ ، وَابْنُ عَبْدِكَ ، وَابْنُ أَمَتِكَ ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ ، أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي ، وَنُورَ صَدْرِي ، وَجِلَاءَ حُزْنِي ، وَذَهَابَ هَمِّي – (তাহলে) তাাল্লাহ অবশ্যই তার দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীকে দূর করে দিবেন এবং তার অবস্থাকে আনন্দে/সুখে পরিবর্তন করে দিবেন’। ইবনে মাসউদ রা. বলেন: ‘তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল: ‘ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি এটা শিক্ষা করবো না ?! তিনি বললেন: হ্যাঁ। (বরং) যে এটা শুনেছে, তার উচিত তা শিখে নেয়া”। [মুসনাদে আহমদ, হাদিস ৩৭১২; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস ৯৭২; আল-মু’জমুল কাবীর, ত্বাবরাণী- ১০/২১০ হাদিস ১০৩৫২; মুসতাদরাকে হাকিম- ১/৫০৯; মাজমাউয যাওয়ায়ীদ, হাইছামী- ১০/২১৯]
ফায়দা: দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ এই:- “আল্লহুম্মা, ইন্নি আবদুকা, ওয়াবনু আবদিকা, ওয়াবনু আমাতিকা, নাসিআতি বিয়াদিকা, মাজিন ফিইয়্যা হুক্বমুকা, আদলুন ফি কাজাউকা, আসআলুকা বিকুল্লিসমিন হুওয়া লাকা, সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আল্লামতাহু আহাদান মিন খালক্বিকা, আও আনযালতাহু ফি কিতাবিকা, আউইসতা’সারতা বিহি ফি ইলমিল গাইবি ইনদাকা, আন তাযআলাল কুরআনা রাবিআ’ ক্বলবি, ওয়া নুরা ছদরী, ওয়া যিলায়া হুযনী, ওয়া যাহাবা হাম্মী”।
# আবু ওয়ায়েল রহ.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন – أَنَّ مُكَاتَبًا جَاءَهُ فَقَالَ : إِنِّي قَدْ عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي ، قَالَ : أَلا أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلِ صِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ ، قَالَ : قُلْ : اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ . أخرجه الترمذي : ٤/٢٧٦ رقم ٣٥٦٣ ; و الحاكم : ١/٥٣٨ ; و أحمد : ١/١٥٣ ; حسنه ابن حجر في تخريج مشكاة المصابيح : ٣/١٥ , و الألباني في صحيح الترمذي و في السلسلة الصحيحة : ١/٥٣٢ – “এক মুকাতাব (অর্থের বিনিময়ে মুক্তি পেতে চুক্তিবদ্ধ দাস) তাঁর কাছে এসে বললো: ‘আমি আমার মুকাতাবের অর্থ পরিশোধ করতে অপারগ। তাই আমাকে সাহায্য করুন’। আলী রা. বললেন: ‘আমি কি তোমাকে ওই কালেমা সমূহ শিখিয়ে দিবো না, যা রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন?! (এই দোয়াটি যদি তুমি নিয়মিত পড়ো, তাহলে) তোমার উপরে যদি সীর পাহাড়ের সমপরিমাণও ঋণ থেকে থাকে, আল্লাহ সেটা তোমার পক্ষ থেকে পরিশোধ করে দিবেন’। তিনি বললেন: ‘তুমি বলো- اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ – (অর্থ:- হে আল্লাহ! আমাকে আপনার (কৃত) হারাম থেকে (দূরে রেখে) আপনার (দেয়া) হালাল (রিযেক) দ্বারা যথেষ্ট/পরিতুষ্ট করে দিন এবং আপনার ফজল/অনুগ্রহ দ্বারা -আপনি ব্যতীত সকলের থেকে আমাকে অমুকাপেক্ষি করে দিন)”। [জামে তিরমিযী– ৪/২৭৬ হাদিস ৩৫৬৩; মুসতাদরাকে হাকিম- ১/৫৩৮; মুসনাদে আহমদ- ১/১৫৩; ফাজায়েলে সাহাবাহ, আহমদ ইবনে হাম্বল, হাদিস ১২০৮]
ফায়দা: দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ এই:- “আল্লহুম্মাক্ফিনী বি-হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বি-ফাজলিকা আম্মান সিওয়াকা”।
# আনাস বিন মালেক রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন – قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ : أَلا أُعَلِّمُكَ دُعَاءً تَدْعُو بِهِ لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلٍ دَيْنًا لأَدَّى اللهُ عَنْكَ ؟ قُلْ يَا مُعَاذُ : اللَّهُمَّ مَالِكُ الْمُلْكِ ، تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ ، وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ ، وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ ، بِيَدِكَ الْخَيْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ . رواه الطبراني في معجم الصغير, بَابُ الْعَيْنِ , مَنِ اسْمُهُ دُلَيْلٌ : رقم ٥٥٨ ; قال المنذري : ٢/٥٩٨ : رواه الطبراني في الصغير بإسناد جيد , و قال الهيتمي في مجمع الزوائد : ١٠/١٨٦ : رواه الطبراني في الصغير ورجاله ثقات , و حسنه الألباني في صحيح الترغيب والترهيب : ٣/٥٥ رقم ١٨٢١ – “রাসুলুল্লাহ ﷺ (একবার) মুয়ায বিন যাবালকে বললেন: ‘আমি কি তোমাকে (এমন) দোয়ার কথা জানাবো না, যার সাহায্যে (আল্লাহ তাআলার কাছে) দোয়া করলে তোমার উপরে যদি উহূদ পাহাড়ের মতো ঋণ থেকে থাকে, আল্লাহ তোমার পক্ষ থেকে তা অবশ্যই পরিশোধ করে দিবেন!? হে মুয়ায, তুমি বলো: اللَّهُمَّ مَالِكُ الْمُلْكِ ، تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ ، وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ ، وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ ، وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ ، بِيَدِكَ الْخَيْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ – (অর্থ:- হে আল্লাহ! (হে) রাজ্যের মালিক! তুমি যাকে চাও রাজ্য-ক্ষমতা দান করো এবং যার কাছ থেকে চাও তুমি রাজ্য-ক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। তুমি যাকে চাও ইজ্জত-সম্মান দান করো এবং তুমি যাকে চাও জিল্লতগ্রস্থ-অপমানীত করো। তোমার হাতেই যাবতীয় কল্যান। নিশ্চই তুমি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাবান, দুনিয়া ও আখিরাতে (তুমিই) রহমান। তুমি যাকে চাও (দুনিয়া ও আখেরাত) দুটোই দান করো এবং যার কাছ থেকে চাও তুমি দুটোই না-প্রদান করো। (হে আল্লাহ!) আমার প্রতি বিশেষ রহম করো। এর অসিলায় -তুমি ব্যতীত সকলের করুনা থেকে তুমি আমাকে অমুকাপেক্ষি করে দাও)”। [আল-মু’জামুস সাগীর, ত্বাবরাণী, হাদিস ৫৫৮; আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, মুনযিরী- ২/৫৯৮; মাজমাউয যাওয়ায়ীদ, হাইছামী- ১০/১৮৬]
ফায়দা: দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ এই:- “আল্লহুম্মা, মালিকুল মুলক, তু’তিল মুলকা মান তাশাউ, ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়া তুইযযু মান তাশাউ, ওয়া তুজিল্লু মান তাশাউ, বিয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাই ইন কাদির, রহমানুদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, তু’তিহুমা মান তাশাউ, ওয়া তামনাউ মিম্মান তাশাউ, ইরহামনী রহমাতান তুগনিনী বিহা আন রাহমাতি মান সিওয়াকা”।
# আবু সাঈদ খুদরী রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন – دَخَلَ رَسُولُ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، يُقَالُ لَهُ : أَبُو أُمَامَةَ، فَقَالَ: يَا أبا أُمَامَةَ، مَا لِي أَرَاكَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فِي غَيْرِ وَقْتِ الصَّلَاةِ؟ قَالَ: هُمُومٌ لَزِمَتْنِي، وَدُيُونٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: أَفَلَا أُعَلِّمُكَ كَلَامًا إِذَا أَنْتَ قُلْتَهُ أَذْهَبَ الله عَزَّ وَجَلَّ هَمَّكَ، وَقَضَى عَنْكَ دَيْنَكَ؟، قَالَ: قُلْتُ: بَلَى، يَا رَسُولَ، قَالَ: قُلْ إِذَا أَصْبَحْتَ، وَإِذَا أَمْسَيْتَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ، قَالَ: فَفَعَلْتُ ذَلِكَ، فَأَذْهَبَ اللَّهُ هَمِّي، وَقَضَى عَنِّي دَيْنِي . رواه أبو داود في سننه : رقم ١٥٥٥ ; قال المنذري في الترغيب والترهيب : ٣/٥٥ : لا ينزل عن درجة الحسن وقد يكون على شرط الصحيحين أو أحدهما , و حسنه ابن حجر في تخريج مشكاة المصابيح : ٣/١٥ ; و رواه ايضا البيهقي في الدعوات الكبير : رقم ٣٠٥ ; و ضعفه الألباني في صحيح و ضعيف سنن أبي داود – “একদিন রাসুলুল্লাহ ﷺ মসজিদের প্রবেশ করলেন। তখন তিনি সেখানে এক আনসারী ব্যাক্তিকে পেলেন, যাকে আবু উমামাহ বলে ডাকা হত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ‘হে আবু উমামাহ! নামাযের ওয়াক্ত নয় -এমন সময়ে আমি তোমাকে কী কারণে মসজিদে বসে থাকতে দেখছি, (কী হয়েছে তোমার)’? সে বললো: ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! দুশ্চিন্তা ও ঋণভার আমাকে জরজরিত করে ফেলেছে’। তিনি বললেন: ‘আমি কি তোমাকে (এমন) কিছু কথা শিক্ষা দিবো না, তুমি যখন তা বলবে, আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর বরে দিবেন এবং তোমার থেকে তোমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন’!? সে বললো: ‘অবশ্যই, ইয়া রাসুলাল্লাহ’! তিনি বললেন: ‘তুমি সকালে ও সন্ধায় বলো- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ – (অর্থ:- হে আল্লাহ! নিশ্চই আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে। আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অকর্মন্যতা/অলসতা থেকে। আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা এবং কৃপনতা থেকে। আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা থেকে এবং মানুষজনের ক্রধ থেকে)’। আবু উমামাহ রা. বলেন: ‘পরে আমি সেই আমলটা করি। ফলে আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেন”। [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ১৫৫৫; দা’ওয়াতুল কুবরা, বাইহাকী, হাদিস ৩০৫]
ফায়দা: দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ এই:- “আল্লহুম্মা, ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মী ওয়াল হাজনী, ওয়া আউযু বিকা মিনাল আযজী ওয়াল কাসালী, ওয়া আউযু বিকা মিনাল যুবনী ওয়াল বুখলী, ওয়া আউযু বিকা মিন গালাবাতিত দাইনী, ওয়া কাহরির রিজাল”।