ফেরাউন : মূসা আ.-এর জামানা – কুরআন কারিমের আয়াত সমূহ
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ
الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
[উল্লেখ্য, নিম্নে ফেরাউন : মূসা আ.-এর জামানা বিষয়ের অধীনে উল্লেখিত আয়াতে কারিমা ও ইবারত সমূহ ও তার অনুবাদ গুলিকে কোনো বিজ্ঞ মুহাক্কেক আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে আমার অযোগ্যতার কারণে এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেয়ার আগেই মানব সমাজে ছড়িয়ে না যায়। এগুলো পড়ুন ইলম অর্জনের জন্য এবং যোগ্য আলেম থেকে তা বুঝিয়ে নিন। আর কোনো যোগ্য চোখে উল্লেখযোগ্য ভুল ধরা পড়লে তা আমাকে অবগত করুন।]
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِّنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ ۚ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ – وَ نُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَ نَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ – وَ نُمَكِّنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَنُرِيَ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا مِنْهُم مَّا كَانُوا يَحْذَرُونَ
“নিশ্চই ফেরাউন (মিশরের) জমিনে (অপরাধ করার দিকে থেকে সীমা ছাড়ানো) উদ্ধত হয়ে গিয়েছিল এবং সে ওই (দেশের) নাগরীকদেরকে (ভিবিন্ন দলে) দলে (বিভক্ত) করে রেখেছিল, (যাতে তারা তার বিরুদ্ধে কখনো একজোট হতে না পারে)। সে তাদের মধ্য থেকে একটি গোষ্ঠিকে (তথা বনী-ইসরাঈলদেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কু-কৌশলে) দূর্বল করে রাখতে চাইতো (যাতে তারা কোনো দিন তার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না পারে)। সে (বনী-ইসরাঈলদের পুরুষ কেন্দ্রিক বংশধারা চিরতরে বিলীন করার সুদূর প্রসারী কু-উদ্দেশ্যে) তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে (জন্মের পর পরই খুঁজে খুঁজে) জবেহ করতো এবং তাদের কন্যা-সন্তানদেরকে জীবিত রাখতো (যাতে গর্ভে অন্য বংশের লোকদের সন্তান জন্ম দেয়)। নিশ্চই সে ছিল (আল্লাহ’র জমিনে দাম্ভীক ও) ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের একজন। আর (এদিকে) আমরা চাইলাম যে, (বনী-ইসরাঈলদের মধ্যে) যাদেরকে তারা জমিনে দূর্বল করে রাখতে চাইতো, আমরা তাদের উপরে অনুগ্রহ করবো এবং (ফেরাউনী গোষ্ঠির স্থলে জমিনের বুকে) তাদেরকে বানাবো (মানুষের) ইমাম (শাসক/নেতা/লিডার), আর তাদেরকে বানাবো (জমিনের) উত্তরাধিকারী। (আসলে বনী-ইসরাঈলদের ব্যাপারে আমরা এই চেয়েছিলাম যে), তাদেরকে আমরা জমিনে ক্ষমতাসীন করে দিবো, আর ফেরাউন হামান ও তাদের উভয়ের সৈন্যদেরকে আমরা (ওই জিনিস) দেখিয়ে দিবো, তাদের (তথা বনী-ইসরাঈলদের) থেকে যা (ঘটার) তারা ভয় করতো”। [সূরা কাসাস ৪-৬]
وَ قَالَ فِرْعَوْنُ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُم مِّنْ إِلَٰهٍ غَيْرِي فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَل لِّي صَرْحًا لَّعَلِّي أَطَّلِعُ إِلَىٰ إِلَٰهِ مُوسَىٰ وَ إِنِّي لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِينَ – وَ اسْتَكْبَرَ هُوَ وَجُنُودُهُ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ إِلَيْنَا لَا يُرْجَعُونَ – فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ ۖ فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الظَّالِمِينَ – وَ جَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ ۖ وَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا يُنصَرُونَ – وَ أَتْبَعْنَاهُمْ فِي هَٰذِهِ الدُّنْيَا لَعْنَةً ۖ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ هُم مِّنَ الْمَقْبُوحِينَ
“আর ফেরাউন বললো: হে সভাসদবৃন্দ! আমি ছাড়া তোমাদের আর অন্য কোনো ইলাহ’র কথা তো আমি জানি না। তাহলে হে হামান! মাটির উপরে আগুন জ্বালাও (ইট তৈরী করো,) তারপর আমার জন্য সুউচ্চ ইমারত বানাও, যাতে আমার পক্ষে মূসার ইলাহ’র কাছে উঠে দেখা সম্ভব হয়। (সে এসব দাম্ভীকতা দেখিয়ে ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল। আর মূসা সম্পর্কে বলেছিল:) আর আমি অবশ্যই তাকে মিথ্যাবাদীদের একজন বলে মনে করি। বস্তুত: সে ও তার সৈন্যরা জমিনে না-হক্ব ভাবে দাম্ভীকতা দেখিয়েছিল, আর তারা ভেবেছিল যে, তারা আমাদের কাছে ফিরে আসবে না। ফলে (শেষ পর্যন্ত) আমরা তাকে ও তার সৈন্যদেরকে পাকড়াও করে সাগরে নিক্ষেপ করলাম। পরে দেখো, জালেমদের পরিণতি কেমন হয়েছিল। আর আমরা তাদেরকে (তাদের রাজ্যের) ইমাম (শাসক/নেতা/লিডার) বানিয়েছিলাম, (আর) তারা (তাদের নাগরীকদেরকে) দোযখের দিকে ডাকতো। আর কেয়ামতের দিন তারা (কারোরই) সাহায্য পাবে না। আর আমরা এই পৃথিবীতে তাদের পিছনে অভিসম্পাত লাগিয়ে দিয়েছি। আর কেয়ামতের দিন তারা হবে দূর্দশাগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত”। [সূরা কাসাস ৩৮-৪২]
وَلَقَدْ أَخَذْنَا آلَ فِرْعَوْنَ بِالسِّنِينَ وَنَقْصٍ مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ – فَإِذَا جَاءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوا لَنَا هَٰذِهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَطَّيَّرُوا بِمُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ ۗ أَلَا إِنَّمَا طَائِرُهُمْ عِندَ اللَّهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ – وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِّتَسْحَرَنَا بِهَا فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ – فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُّفَصَّلَاتٍ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُّجْرِمِينَ – وَلَمَّا وَقَعَ عَلَيْهِمُ الرِّجْزُ قَالُوا يَا مُوسَى ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِندَكَ ۖ لَئِن كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ – فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الرِّجْزَ إِلَىٰ أَجَلٍ هُم بَالِغُوهُ إِذَا هُمْ يَنكُثُونَ – فَانتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ – وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُوا يُسْتَضْعَفُونَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا ۖ وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ الْحُسْنَىٰ عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا صَبَرُوا ۖ وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ وَمَا كَانُوا يَعْرِشُونَ
“আর আমরা ফেরাউনের (অনুগত অনুসারী গোষ্ঠির) লোকদেরকে (তাদের উপর্যপুরি জুলুম ও অবাধ্যতার কারণে) পাকড়াও করেছিলাম দুর্ভিক্ষ ও ফল-ফসলের (ব্যাপক) ক্ষতি’র দ্বারা, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে (ও সতর্ক হয়)। (কিন্তু তাতেও তাদের অবস্থা এই হত যে,) পরে যখন তাদের কাছে ভাল (সময় আসতো, তখন) তারা বলতো: ‘আমাদের জন্য এটাই (হওয়া উচিত)’। আর তারা যখন মন্দ (অবস্থা)’র সম্মুখীন হত, (তখন) তারা (নিজেদের অপরাধকে আড়াল করে সেই মন্দ অবস্থার যাবতীয়) অশুভতার দোষ দিতো মূসা ও তাঁর অনুগত্যকারীদেরকে। শুনে রাখো, তাদের (উপরে আগত এসব) অশুভতা(র প্রকৃত জ্ঞান) আল্লাহ’র কাছে রয়েছে (যে, তা কী অপরাধের কারণে আপতীত করা হয়েছিল), কিন্তু (তাদের) অধিকাংশই (তা) জানতো না। আর তারা (মুসাকে) বলতো: ‘আমাদেরকে তা দিয়ে জাদুগ্রস্থ করার জন্য নিদর্শনের যা কিছুই তুমি আমাদের কাছে নিয়ে আসো না কেনো, আমরা তোমার (আহবানের বিষয়বস্তুর) উপরে ইমান আনবো না’। ফলে (তাদের জালেমানা সিদ্ধান্ত যখন এই, তখন পার্থিব আযাব হিসেবে) আমরা তাদের উপরে পাঠালাম তুফান, যারাদ (পঙ্গপাল/টিড্ডি), কুম্মাল (ছাড়পোকা/উকুন জাতীয় পোকা), ব্যাঙ এবং রক্তকে সুস্পষ্ট নিদর্শন রূপে। তখন(ও দেখা গেল) তারা (তওবা করার পরিবর্তে উল্টো স্ব-অবস্থার থাকার উপরে) অহঙ্কার দেখালো, আর তারা ছিল (আসলে একটা) অপরাধকারী জাতি, (জুলুম ও অপরাধ পরিত্যাগ করার মনমানুসিকতা তাদের ছিল না)। আর তাদের উপরে যখন কোনো শাস্তি আপতিত হত, (তখন) তারা বলতো: ‘হে মূসা! তুমি তোমার (যে প্রভুর দিকে আমারেকে ডাকো, সেই) প্রভুর কাছে –তিনি তোমার কাছে যে ব্যাপারে অঙিঘকার করেছেন তার অসিলায়– আমাদের জন্য দোয়া করো, (যাতে এই শাস্তিটি আমাদের উপরে থেকে সরে যায়)। যদি তুমি আমাদের থেকে শাস্তিটি সরিয়ে দাও, তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার (আহবানের বিষয়বস্তুর) উপরে ইমান আনবো এবং আমরা অবশ্যই তোমার সাথে বণী-ইসরাঈলকে পাঠিয়ে দিবো। পরে আমরা যখন তাদের উপর থেকে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত শাস্তিটিকে হটিয়ে দিতাম -যে পর্যন্ত তাদের পৌছানো অবধারিত ছিল, তখন তারা (তাদের মূল মনমানুসিকতায় ফিরে গিয়ে) অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করতো। ফলে আমরা তাদের থেকে বদলা নিলাম, পরে তাদেরকে আমরা (চুড়ান্ত ভাবে পাকড়াও করে) সমূদ্রে ডুবিয়ে দিলাম -এজন্য যে তারা আমাদের নিদর্শন সমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল এবং তারা সেই ব্যাপারে ছিল গাফেল (ভ্রুক্ষেপহীন)। আর (অপরদিকে) যাদেরকে দূর্বল করে রাখতে চাওয়া হত, আমরা (সেই) গোষ্ঠিকে (ফেরাউন ও তার অনুগত গোষ্ঠির স্থলে ওই অঞ্চলের) ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী) বানালাম, (যার) পূর্ব ও পশ্চিমের ভূমিতে আমরা বরকত রেখেছি। আর (এভাবে) বনী-ইসরাঈলের উপরে তোমার প্রভুর কল্যানময় বাণী (ও ওয়াদা) পূর্ণতা পেল -একারণে যে তারা সবর করেছিল। আর ফেরাউন ও তার জাতি যা বানাত ও চড়াত আমরা তা ধ্বংস করে দিলাম”। [সূরা আ’রাফ ১৩০-১৩৭]
وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُ بَغْيًا وَعَدْوًا ۖ حَتَّىٰ إِذَا أَدْرَكَهُ الْغَرَقُ قَالَ آمَنتُ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا الَّذِي آمَنَتْ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ – آلْآنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنتَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ – فَالْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ آيَةً ۚ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ عَنْ آيَاتِنَا لَغَافِلُونَ
“আর (স্মরণ করো, জালেম ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য) আমরা (নবী মুসার নেতৃত্বে) বনী ইসরাঈলকে সমূদ্র(কে দু-ভাগ করে মাঝে রাস্তা বানিয়ে তা) পার করে (দেয়ার ব্যবস্থা করে) দিয়েছিলাম। তখন ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনী উদ্ধত্ব্য ও দুশমনী বশত: তাদের পিছু নিলো। (তখন আমরা তাদেরকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মাড়লাম)। এমনকি ডুবন্ত অবস্থায় যখন তাকে পাওয়া গেল, তখন সে বলছিল: ‘আমি ইমান আনলাম (এই বলে) যে, তিঁনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যাঁর প্রতি ইমান এনেছে বনী ইসরাঈল এবং আমি আত্বসমর্পণকারীদের একজন’। আর (তখন আমাদের জবাব ছিল:) এখন (ইমান আনলে, যখন ইমান এনে কোনো লাভ নেই)! অথচ ইতিপূর্বে তুমি (আমার প্রতি) অবাধ্যতা প্রদর্শন করেছিলে এবং তুমি ছিলে (রাজ্যে) ফ্যাসাদ-সৃষ্টিকারীদের একজন, (যে দূর্বলের প্রতি জুলুম অত্যাচার ও খুনখারবি করেছো)। সুতরাং, আজ তোমার দেহকে রক্ষা করবো (পুরোপুরি পঁচে-গলে বিলীন হয়ে যাওয়া থেকে), যাতে তোমার পরবর্তীতে যে (বা যারা আসবে, তাদের জন্য শিক্ষা গ্রহনের একটা) নিদর্শন (হয়ে থাকো)। আর নিশ্চই মানুষের মধ্যে বহুলোক আমাদের নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে অবশ্যই গাফেল(তী ও ভ্রুক্ষেপহীনতা প্রদর্শন করে থাকে; শিক্ষা গ্রহন করে না)”। [সূরা ইউনুস ৯০-৯২]