দরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত : কুরআন ও হাদিসের আলোকে

দরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত : কুরআন ও হাদিসের আলোকে

 

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ

الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته

 

[উল্লেখ্য, এখানে উল্লেখিত আয়াতে কারিমা ও হাদিস সমূহ এবং তার অনুবাদ’কে কোনো বিজ্ঞ মুহাক্কেক আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে আমার অযোগ্যতার কারণে এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেয়ার আগেই মানব সমাজে ছড়িয়ে না যায়। এগুলো পড়ুন ইলম অর্জনের জন্য এবং যোগ্য আলেম থেকে তা বুঝিয়ে নিন। আর কোনো যোগ্য চোখে উল্লেখযোগ্য ভুল ধরা পড়লে তা আমাকে অবগত করুন।]

 
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
 
 إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا  
“নিশ্চই আল্লাহ ও তাঁর ফিরেশতাগণ নবী’র উপরে দরূদ প্রেরণ করেন। হে ইমানদারগণ! তোমরাও তাঁর উপরে দরূদ পাঠাও এবং সালাম প্রেরণ করো” ।[সূরা আহযাব ৫৬]
 
# আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- مَنْ صَلَّى عَلَيَّ وَاحِدَةً، صَلَّى الله عَلَيْهِ عَشْرًا . رواه مسلم في صحيحه : رقم ٤٠٨; و البخاري في الادب المفرد : ٦٤٥ ; و احمد في المسند : ٢/٢٦٢, ٢/٣٧٢, ٢/٣٧٥; و النسائي في سننه : ١٢٩٦ و في الكبرى : ١٢١٩ ; و ابو داود في السنن : ١٥٣٠; و الترمذي في سننه : ٤٨٥ , و الدارمي في سننه : ٢٧٧٢ ; و ابو يعلى في مسنده : ٦٤٩٥; و ابن حبان في صحيحه (ترتيب ابن بلبان ٩٠٥-٩٠٦ و٩١٣ ; و ابو عوانة في المسند : ٢٠٤٠ ; و البيهقي في الشعب : ٣/١٢٣ – “যে (মুসলমান) আমার উপরে একবার দরূদ পড়ে, আল্লাহ তার উপরে দশবার দরূদ পাঠান”। [সহিহ মুসলীম- ১/৩০৬ হাদিস ৪০৮; মুসনাদে আহমদ- ২/২৬২, ২/৩৭২, ২/৩৭৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ১৫৩০; সুনানে তিরমিযী, হাদিস ৪৮৫; সুনানে দারেমী, হাদিস ২৭৭২; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ১২৯৬; সুনানুল কুবরা, নাসায়ী, হাদিস ১২১৯; সহিহ ইবনে হিব্বান- ৯০৬-৯০৬, ৯১৩; আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী- ৬৪৫; মুসনাদে আবু ইয়া’লা, হাদিস ৬৪৯৫; মুসনাদে আবু আউয়ানাহ, হাদিস ২০৪০; শুয়াবুল ইমান, বাইহাকী- ৩/১২৩]
 
# আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- إِذَا سَمِعْتُمْ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ، ثُمَّ صَلُّوا عَلَيَّ ، فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ، ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِي الْوَسِيلَةَ ، فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لا تَنْبَغِي إِلا لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ ، وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ ، فَمَنْ سَأَلَ لِي الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ . رواه مسلم في صحيحه , كتاب الصلاة : رقم ٣٨٤ و غيرهم – “যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের (আযান) শুনতে পাও, তখন তোমরা তাই বলো যা সে বলে থাকে। অত:পর আমার উপরে দরূদ পড়ো। নিশ্চই যে আমার উপরে (একবার) দরূদ পড়ে, আল্লাহ সেটির কারণে তার উপরে দশটি দরূদ (রহমত) পাঠান। অত:পর তোমরা আমার জন্য আল্লাহ’র কাছে ওসিলাহ চাও। বস্তুত ওটি হল জান্নাতের মধ্যে একটি মঞ্জিল, (যা) আল্লাহ’র বান্দাদের মধ্যে কোনো (এক) বান্দা ছাড়া কারোর জন্য হবে না। আমার ধারনা, সেই ব্যাক্তিটি আমিই হবো। সুতরাং, যে আমার জন্য ওসিলাহ চাইবে, তার জন্য (আমার) শাফাআত হালাল হয়ে যাবে”। [সহিহ মুসলীম, হাদিস ৩৮৪; সহিহ ইবনে হিব্বান- ৪/৫৮৯; সহিহ ইবনে খুযাইমাহ, হাদিস ৪১৮; মুসনাদে আহদম- ২/১৬৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৫২৩; সুনানে তিরমিযী, হাদিস ৩৬১৪; সুনানে নাসায়ী- ২/২৫; মুসনাদে আবু আউয়ানাহ- ১/৩৩৬; আল-মুহাল্লা, ইবনে হাযাম- ৩/১৪৮]