নামাযের ফজিলত ও নামায না পড়ার শাস্তি : কুরআনের আয়াত ও নবীর হাদিস

নামাযের ফজিলত ও নামায না পড়ার শাস্তি : কুরআনের আয়াত ও নবীর হাদিস

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ

الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته

 

[কুরআনে মাজিদের বিভিন্ন আয়াতে কারিমায় এবং হাদিসের বিভিন্ন কিতাবসমূহে নামাযের ফজিলত, গুরুত্ব এবং তরকের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে বিপুল পরিমাণে। বলা বাহুল্য, এখানে তার সবকটি উল্লেখ করা সম্ভব নয়। আমি আল্লাহ’র উপর ভরসা করে কিছু কিছু আয়াত ও হাদিসের বঙ্গানুবাদ পেশ করা শুরু করলাম। এখানে উল্লেখিত আয়াত ও হাদিসসমূহ কোনো বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে কোনো কারণে এতে ভুল থাকলে ওই ভুল সহই আবার মানুষের মাঝে প্রচার হয়ে না যায়] 
 

আল্লাহ তাআলা  এরশাদ করেন-

وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ اتَّخَذُوهَا هُزُوًا وَلَعِبًا ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُونَ

‘আর যখন তোমরা (লোকজনকে) নামাযের দিকে ডাকো, তখন তারা সেটিকে (গুরুত্বের সাথে না নিয়ে নিছক একটি) খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহন করে নেয়। (তারা নামাযের সাথে) ওরকম (আচরন করে) কারণ তারা (এমন) গোষ্ঠি, (যারা) আক্বল খাটায় না’। [সূরা মায়েদাহ ৫৮]
 
# হযরত যাবের রা. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلَاةِ . رواه مسلم في صحيحه , كتاب الإيمان , باب بيان إطلاق اسم الكفر على من ترك الصلاة : ١/٨٨ رقم ٨٢ – ‘একজন ব্যাক্তির এবং ‘শিরক ও কুফরের’ মাঝে পার্থক্য হল (স্বেচ্ছায় বিনা-ওজরে) নামায তরক করা’। [সহিহ মুসলীম– ১/৮৮ হাদিস ৮২; সুনানে তিরমিযী- ৫/১৩ হাদিস ২৬১৮]
 
# উম্মে আইমান রা. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- لَا تَتْرُكِ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا  فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ . رواه احمد في مسنده : ٦/٤٢١ ; و قال الهيثمي في مجمع الزوائد ومنبع الفوائد , كتاب الصلاة : ١/٢٩٥ : رواه أحمد ، ورجاله رجال الصحيح ، إلا أن مكحولا لم يسمع من أم أيمن , والله أعلم ; قال الألباني في صحيح الترغيب : صحيح لغيره  – ‘(কোনো অবস্থাতেই বিনা-ওজরে) স্বেচ্ছায় নামায তরক করো না। কারণ, যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় নামায তরক করে, তার থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যান’। [মুসনাদে আহমদ- ৬/৩২১ হাদিস ২৭৪০৪]