মুমিন মুসলমানের বৈশিষ্ট কী হওয়া উচিৎ : কুরআনের আয়াত ও হাদিস সমূহ

মুমিন মুসলমানের বৈশিষ্ট কী হওয়া উচিৎ : কুরআনের আয়াত ও হাদিস সমূহ

 

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ

الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ النبي الأمي عَدَدَ خَلْقِك وَ رِضَا نَفْسِك وَزِنَةَ عَرْشِك وَ مِدَادَ كَلِمَاتِك، صَلِّ عَليه صَلاَةً كَامِلَةً دَائِمَةً كَمَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلَّى عَلَيهِ وَ سَلِّمْ تَسلِيمَاً بِقَدرِ عَظَمَةِ ذَاتِكَ فِى كُلِّ وَقتٍ وَ حِين، صلاة تكون لك رضاء و له جزاء، صلاة لا غاية لها ولا منتهى ولا انقضاء باقية ببقائك الى يوم الدين ، و اعطه الوسيلة و الفضيلة و المقام المحمود الذي وعدته، و اجزه عنا ما هو اهله، و على اله وأصحابه و أزواجه و ذريته و أهل بيته و سلم تسليما مثل ذلك، اَللّٰهُمَّ اجمعني معه في الفردوس و جنة المأوى، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ

[উল্লেখ্য, এখানে উল্লেখিত আয়াত সমূহ ও হাদিসের অনুবাদ’কে কোনো বিজ্ঞ মুহাক্কেক আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে আমার অযোগ্যতার কারণে এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে নেয়ার আগেই মানব সমাজে ছড়িয়ে না যায়। এগুলো পড়ুন ইলম অর্জনের জন্য এবং যোগ্য আলেম থেকে তা বুঝিয়ে নিন। আর কোনো যোগ্য চোখে উল্লেখযোগ্য ভুল ধরা পড়লে তা আমাকে অবগত করুন।]

 
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
 
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ – وَعَدَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ   
(৭১) মুমিন পুরুষরা এবং মুমিনা নারীরা একে অপরের ওলী (বন্ধু/সহযোগী); (তাদের বৈশিষ্ট হল) তারা (মানুষকে) মা’রুফ (শরয়ী ভাল কাজ)-এর নির্দেশ দেয় এবং মুনকার (শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয কাজ) থেকে নিষেধ করে/বাঁধা দেয়; তারা (ফরয) নামায কায়েম করে, (ফরয) যাকাত আদায় করে এবং (দ্বীন ইসলামের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাধ্য মতো) ইতাআত (অনুগত্য/অনুসরণ) করো আল্লাহ’র ও তাঁর রাসুলের। এই যে লোকগুলি, আল্লাহ তাদেরকে অতিশীঘ্রই অনুগ্রহমন্ডিত করবেন। নিশ্চই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞ। (৭২) মুমিন পুরুষ ও মুমিনা নারীদেরকে আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন (এমন) জান্নাতের (যার) তলদেশ দিয়ে নহর সমূহ প্রবাহিত হয়; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে; (তিঁনি আরো ওয়াদা করেছেন) জান্নাত-ই-আদনের মধ্যে পরিত্র বাসস্থান সমূহের। বস্তুত: (বান্দার জন্য) আল্লাহ’র রাজি-খুশিই হল সবচেয়ে বড় বিষয়। এটাই হল (বাস্তব) মহা সাফল্য”। [সূরা তাওবা ৭১, ৭২]
 
    إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَن يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ 
‘বিশেষ ভাবে মুমিনদের (বৈশিষ্টের ব্যাপারে) কথা-তো এই যে, যখন তাদের মাঝে বিচার-ফয়সালা করার জন্য তাদেরকে ডাক দেয়া হয় আল্লাহ’র দিকে এবং তাঁর রাসুলের দিকে, (তখন) তারা বলে যে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আর ওরাই হচ্ছে সফলকাম’। [সূরা নূর ৫১]
 
    الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ أَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ – وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَهُوَ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۙ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَأَصْلَحَ بَالَهُمْ – ذَٰلِكَ بِأَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا اتَّبَعُوا الْبَاطِلَ وَأَنَّ الَّذِينَ آمَنُوا اتَّبَعُوا الْحَقَّ مِن رَّبِّهِمْ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ لِلنَّاسِ أَمْثَالَهُمْ 
‘যারা (আল্লাহ’র সাথে) কুফরী করে এবং আল্লাহ’র পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তিনি তাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করে দিবেন। আর যারা (আল্লাহ’র প্রতি) ইমান আনে ও নেক আমল করে এবং মুহাম্মাদের উপরে যা নাজিল করা হচ্ছে তার প্রতি তারা ইমান আনে -আর তা তাদের রবের পক্ষ থেকে হক্ব/সত্য (সহকারে নাজিলকৃত বটে) – তিনি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহের কাফফারা করে দিবেন এবং তাদের অবস্থা ইসলাহ/সংশোধন করে দিবেন। এটা এজন্য যে, যারা কুফরী করেছে তারা বাতিলের অনুসারণ করেছে এবং যারা (তাদের রব আল্লা’র উপরে) ইমান এনেছে তারা তাদের রবের পক্ষ থেকে (আগত) হক্বের অনুসরণ করেছে। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্য উদাহরণ সমূহ পেশ করে থাকেন’। [সূরা মুহাম্মাদ ১- ৩]
 
 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَ يُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَ لَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
“ওহে যারা ইমান এনেছো, তোমাদের মধ্য থেকে যারা তার দ্বীন হতে ফিরে (মুরতাদ হয়ে) যায়, (তাদের জানা উচিৎ যে), আল্লাহ অচিরেই (তাদের পরিবর্তে এমন) গোষ্ঠিকে (তাঁর দ্বীনের পথে) নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিঁনি মহব্বত করবেন এবং তারাও তাঁকে মহব্বত করবে, (যারা হবে) মুমিননগণের উপরে বিনম্র অপরদিকে কাফেরদের উপরে কঠোর, তারা আল্লাহ’র পথে জিহাদ করবে এবং কোনো তিরষ্কারকারীর তিরষ্কারকে ভয় পাবে না। (বস্তুত:) ওটা আল্লাহ’র ফজল, তিঁনি যাকে ইচ্ছে দান করেন। আর আল্লাহ হলেন (সব কিছুকে) মহাপরিব্যাপ্তকারী মহাজ্ঞানী”। [সূরা মায়েদাহ ৫৪]
 
# আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا الْفَاحِشِ، وَلَا الْبَذِيءِ – ‘মুমিন (-এর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট এমন হয় যে, সে) কটুভাষী হয় না, লা‘নতকারী হয় না, অশ্লীলতাকারী হয় না এবং বদ হয় না’। [আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী, হাদীস ৩১২, ৩৩২; সহিহ ইবনে হিব্বান- ১/৪২১ হাদিস ১৯২; জামে তিরমিযী- ৪/৩০৫ হাদীস ১৯৭৭; মুসতাদরাকে হাকিম– ১/১২; মুসনাদে আহমদ- ১/৪০৫-৪১৬; সুনানুল কুবরা, বাইহাকী- ১০/১৯২; মুসনাদে বাযযার, হাদিস ১৫২৩; আল-মু’জামুল কাবীর, ত্বাবরাণী, হাদিস ১০৪৮৩
 
# আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- لَا يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ أَوْ قَالَ: غَيْرَهُ . رواه مسلم , كتاب الرضاع ,باب الوصية بالنساء : رقم ١٤٦٩ – ‘(একজন) মুমিন (স্বামীর বৈশিষ্ট এমন হয় যে, সে) মুমিনাহ (স্ত্রী)কে ঘৃনা করে না। যদি তার কোনো আচরণ তার অপছন্দ হয়, তাহলে সে তার অন্য (আচরণ)-এ খুশি থাকে, অথবা বলেছেন: ‘সেটা বাদ দিয়ে (অন্য আচরণে খুশি থাকে)’। [সহিহ মুসলীম , হাদিস ১৪৬৯
 
# হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ এরশাদ করেন- تدرونَ مَنِ المسلمُ ؟ قالوا: اللهُ ورسولُهُ أعلمُ قالَ: مَن سلِمَ المُسلِمونَ من لِسَانِهِ ويدِهِ قالَ: تدرونَ مَن المؤمنُ ؟ قالوا: اللهُ يعنِي ورسولُهُ أعلَمُ قال: مَن أَمِنَهُ المؤمنونَ علَى أنفسِهِم وأموالِهِم والمُهَاجِرُ مَن هَجَر السوءَ فاجتَنَبَهُ . رواه الإمام أحمد في مسنده : ١١/١٩٠ رقم ٧٠١٧ و قال أحمد شاكر : إسناده صحيح ; ذكره الهيثمي فى مجمع الزاوئد : : و قال رواه أحمد و رجاله رجال الصحيح ; و رواه ايضا الطبراني في المعجم الأوسط : ١/٨١ رقم ٢٣٢ و ٣/٢٩١ رقم ٣١٨٨ – “তোমরা কি জানো, মুসলীম কে?’ লোকেরা বললেন: ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন’। তিনি বললেন: ‘(খাঁটি মুসলীম-তো সে) যে তার জিহবা ও হাতকে (অপরাপর) মুসলমানদের (কে কষ্ট দেয়া) থেকে বিরত রাখে’। তিনি বললেন: ‘তোমরা কি জানো মু’মিন কে’? তারা বললেন: ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন’। তিনি বললেন: ‘(খাঁটি মু’মিন-তো সে) যে (অপরাপর) মুমিনদের জীবন ও ধ্বনসম্পদের আমান (নিরাপত্তা) দেয়। আর মুহাজির হল (সে) যে গোনাহ ছেড়ে দেয়, পরে তা থেকে নিজকে বিরত রাখে”। [মুসনাদে আহমাদ- ১১/১৯০ হাদিস ৭০১৭; আল-মু’জামুল আউসাত, ত্বাবরাণী- ১/৮১ হাদিস ২৩২, ৩/২৯১ হাদিস ৩১৮৮; মাজমাউয যাওয়ায়ীদ, হাইছামী- ১০/৩৯৩]
 
আবু জুমু’ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে, আবু উবাদাহ ইবনুল জাররাহ রা. একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন- يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدٌ خَيْرٌ مِنَّا ؟ أَسْلَمْنَا مَعَكَ وَجَاهَدْنَا مَعَكَ . قَالَ : نَعَمْ , قَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِكُمْ يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي . أخرجه أحمد في المسند : ٤/١٠٦ , قال حمزة أحمد الزين : ١٣/٢٢٠ رقم ١٦٩١٤ : اسناده صحيح ; و أخرجه ايضا الدارمي في سننه رقم ٢٧٤٤; والطبراني في المعجم الكبير برقم ٣٥٣٨ ; قال الحاكم : ٤/٩٥: هذا حديث صحيح الإسناد ولم يخرجاه . و قال ابن حجر في الفتح : ٧/٦ : وإسناده حسن ; وأخرجه أبو يعلى مسنده رقم ١٥٥٩  – ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! কেউ কি আমাদের চাইতেও উত্তম আছে? আমরা-তো আপনার সাথে (কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে) ইসলাম (অনুগত্যতা) শিকার করে নিয়েছি এবং (আপনি যখন নির্দেশ দিয়েছেন আমরা লাব্বাইক বলে) আপনার সাথে (কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে) জিহাদ করেছি। রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: হ্যাঁ (তোমাদের চাইতেও উত্তম ব্যাক্তি আছে। ওরা হল) তারা (যারা) তোমাদের পরে (বিভিন্ন জামানায়) আসবে। তারা আমাকে না দেখেও আমার উপরে ইমান আনবে (এবং আমি তাদের সাথে না থাকা সত্ত্বেও তারা আমার রেখে যাওয়া দ্বীন ইসলামকে কায়েম করার জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা প্রচেষ্টা চালাবে ও জিহাদ করতে থাকবে)’। [মুসনাদে আহমদ- ৪/১০৬; সুনানে দারেমী, হাদিস ২৭৪৪; আল-মু’জামুল কাবির, ত্বাবরাণী, হাদিস ৩৫৩৭; মুসতাদরাকে হাকিম- ৪/৯৫; মুসনাদে আবু ইয়া’লা, হাদিস ১৫৫৯; তারিখে দামেশক, ইবনুল আসাকীর- ২৩/৩১৮ হাদিস ৫০৭৮]