الدُّخَان (আদ-দুখান / ধোয়া ) : কেয়ামতের বড় আলামত গুলির একটি : পৃথিবী জুড়ে আল্লাহ’র সুকঠিন আযাব আসন্ন
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ
الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ النبي الأمي عَدَدَ خَلْقِك وَ رِضَا نَفْسِك وَزِنَةَ عَرْشِك وَ مِدَادَ كَلِمَاتِك، صَلِّ عَليه صَلاَةً كَامِلَةً دَائِمَةً كَمَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلَّى عَلَيهِ وَ سَلِّمْ تَسلِيمَاً بِقَدرِ عَظَمَةِ ذَاتِكَ فِى كُلِّ وَقتٍ وَ حِين، صلاة تكون لك رضاء و له جزاء، صلاة لا غاية لها ولا منتهى ولا انقضاء باقية ببقائك الى يوم الدين ، و اعطه الوسيلة و الفضيلة و المقام المحمود الذي وعدته، و اجزه عنا ما هو اهله، و على اله وأصحابه و أزواجه و ذريته و أهل بيته و سلم تسليما مثل ذلك، اَللّٰهُمَّ اجمعني معه في الفردوس و جنة المأوى، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
[আমরা ইতিপূর্বে কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে (এখানে ক্লিক করুন) কিছু হাদিস ও আছার পেশ করেছি। এখানে الدُّخَان ‘দুখান বা ধোঁয়া’ সম্পর্কে কিছু উল্রেখ করা হল। [উল্লেখ্য, এখানে কুরআনের আয়াত ও তার ব্যাখ্যা এবং বর্ণিত রেওয়ায়েত সমূহ কোনো বিজ্ঞ মুফাসসির ও মুহাদ্দেস আলেমের পরামর্শ ব্যাতীত কারো কাছে বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এগুলো শুধু উল্লেখ করছি, যাতে এই রেওয়ায়েতসমূহে বর্ণিত কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলে তা চিনে নিতে পারেন এবং রেওয়াতের হক্ব আদায় করতে পারেন।]
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-
وَإِن مِّن قَرْيَةٍ إِلَّا نَحْنُ مُهْلِكُوهَا قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ أَوْ مُعَذِّبُوهَا عَذَابًا شَدِيدًا ۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا
‘(পৃথিবীতে) এমন কোনো জনপদ নেই যাকে আমরা কেয়ামতের দিনের পূর্বে ধ্বংস না করবো অথবা সুকঠিক আযাবে গ্রেফতার না করবো। এটা আল্লাহ’র কিতাব (লাউহে মাহফুজে) লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে’। (এটা ঘটবেই ঘটবে)’। [সুরা ইসরা/বনী ইসরাঈল ৫৮]
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-
فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُّبِينٍ – يَغْشَى النَّاسَ ۖ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ – رَّبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
‘অতএব তুমি সেই দিনের অপেক্ষায় থাকো, যে দিন স্পষ্ট ধোঁয়া দিয়ে (তোমাদের নিকটবর্তী) আকাশ ছেঁয়ে যাবে, (যা পৃথিবীর) মানুষকে ঢেকে নিবে। এটা (পৃথিবীর মানুষের উপরে আল্লাহ’র একটি) কঠিন আযাব (স্বরূপ হবে)। (তারা নিরুপায় হয়ে বলবে:) হে আমাদের রব! আমাদের থেকে এই আযাবকে হটিয়ে দাও, নিশ্চই আমরা (কুফর ও মুনাফেকী ত্যাগ করে আজ) মুমিন (হয়ে গেলাম)’। [সুরা দুখান ১০-১২]
হুযাইফা ইবনে আসিদ আল-গিফারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: اطلع النبي صلى الله عليه وسلم علينا ونحن نتذاكر فقال ما تذاكرون قالوا نذكر الساعة قال إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ. فذكر -الدُّخَانَ، وَالدَّجَّالَ، وَالدَّابَّةَ، وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا، وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَأَجُوجَ وَمَأْجُوجَ، وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ: خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ، وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ، وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ، تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ . رواه مسلم , كتاب الفتن وأشراط الساعة , باب في الآيات التي تكون قبل الساعة : ٤/٢٢٢٥ رقم ٢٩٠١ ; وأبو داود : ٤٣١١ ، والترمذي : ٢١٨٣ – ‘আমরা আলোচনা করছিলাম এমন সময় রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা কি অলোচনা করছো? তারা বললেন: আমরা কিয়ামতের আলোচনা করছি। রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ কবলেন- إنها لن تقوم حتى تروا قبلها عشر آيات – ওটা ততক্ষন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যাবৎ না তোমরা (মুসলমানরা) ১০ টি আলামত দেখে নাও। তারপর উল্লেখ করলেন- (১) الدخان (দুখান/ধুয়া), (২) الدجال (দাজ্জাল), (৩) الدابة (দাব্বাহ/জন্তু), (৪) طلوع الشمس من مغربها (পশ্চিম দিক থেকে সূর্যদয়), (৫) نزول عيسى ابن مريم (ঈসা ইবনে মারইয়ামের অবতরণ), (৬) يأجوج ومأجوج (ইয়াজুজ মাজুজ), এবং তিনটি ভূমিধ্বস (৭) خسف بالمشرق (পশ্চিমাঞ্চলের ভূমিধ্বস), (৮) خسف بالمغرب (পূর্বাঞ্চলের ভূমিধ্বস) ও (৯) خسف بجزيرة العرب (জাজিরাতুল আরবের ভূমিধ্বস), এবং সর্বশেষে (১০) نار تخرج من اليمن تطرد الناس إلى محشرهم (আগুন যা ইয়ামেন থেকে বের হয়ে মানুষকে ধেয়ে নিয়ে যাবে তাদের একত্র হওয়ার স্থানে)। [সহিহ মুসলীম– ৪/২২২৫ হাদিস ২৯০১; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪৩১১; সুনানে তিরমিযী, হাদিস ২১৮৩; মুসনাদে আহমাদ-৪/৬]
আবু মালেক আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন: إِنَّ رَبَّكُمْ أَنْذَرَكُمْ ثَلَاثًا الدُّخَانُ يَأْخُذُ الْمُؤْمِنَ كَالزُّكْمَةِ ، وَيَأْخُذُ الْكَافِرَ فَيَنْتَفِخُ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ كُلِّ مَسْمَعٍ مِنْهُ ، وَالثَّانِيَةُ الدَّابَّةُ ، وَالثَّالِثَةُ الدَّجَّالُ . رواه الطبري في جامع البيان في تأويل القرآن : ٦٨/٢٥ ، ورواه الطبراني في الكبير: ٣/٢٩٢ ، قال ابن كثير في تفسير القران العظيم : و هذا إسناد جيد – ‘তোমাদের রব (আল্লাহ তাআলা) তিনটি বিষয়ে (বিশেষ ভাবে) সতর্ক করেছেন: (১) আদ-দুখান (ধোঁয়া), যা মুমিনদেরকে সর্দির মতো ধরবে, আর কাফেরকে ধরে ফুলিয়ে তুলবে, এমনকি তার প্রত্যেক কান থেকে তা বেড় হবে। (২) আদ-দাব্বাহ (জন্তু), (৩) দাজ্জাল’। [আল-মু’জামুল কাবির, ত্বাবরাণী- ৩/২৯২ হাদিস ৩৪৪০; জামেউল বয়ান, ইমাম তাবারী- ২৫/৬৮]
মহানবী ﷺ-এর আরো ভবিষ্যতবাণী জানতে নিম্নের পেজগুলোতে ক্লিক করুন
কেয়ামতের আলামত ও লক্ষন সমূহ (১ম সিরিজ)- [পৃষ্ঠা ১] , [পৃষ্ঠা ২] , [পৃষ্ঠা ৩] , [পৃষ্ঠা ৪] , [পৃষ্ঠা ৫] , [পৃষ্ঠা ৬] , [পৃষ্ঠা ৭] , [পৃষ্ঠা ৮] , [পৃষ্ঠা ৯] , [পৃষ্ঠা ১০]
কেয়ামতের আলামত ও লক্ষন সমূহ (২য় সিরিজ)- [পৃষ্ঠা ১] , [পৃষ্ঠা ২] , [পৃষ্ঠা ৩] , [পৃষ্ঠা ৪] , [পৃষ্ঠা ৫] , [পৃষ্ঠা ৬] , [পৃষ্ঠা ৭] , [পৃষ্ঠা ৮] , [পৃষ্ঠা ৯] , [পৃষ্ঠা ১০] , [পৃষ্ঠা ১১] , [পৃষ্ঠা ১২] , [পৃষ্ঠা ১৩] , [পৃষ্ঠা ১৪] , [পৃষ্ঠা ১৫]