ইসলামি পারিবারিক আইন , ইসলামী শরীয়ত, সংবিধান, অপব্যাখ্যা
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ
الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ النبي الأمي عَدَدَ خَلْقِك وَ رِضَا نَفْسِك وَزِنَةَ عَرْشِك وَ مِدَادَ كَلِمَاتِك، صَلِّ عَليه صَلاَةً كَامِلَةً دَائِمَةً كَمَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلَّى عَلَيهِ وَ سَلِّمْ تَسلِيمَاً بِقَدرِ عَظَمَةِ ذَاتِكَ فِى كُلِّ وَقتٍ وَ حِين، صلاة تكون لك رضاء و له جزاء، صلاة لا غاية لها ولا منتهى ولا انقضاء باقية ببقائك الى يوم الدين ، و اعطه الوسيلة و الفضيلة و المقام المحمود الذي وعدته، و اجزه عنا ما هو اهله، و على اله وأصحابه و أزواجه و ذريته و أهل بيته و سلم تسليما مثل ذلك، اَللّٰهُمَّ اجمعني معه في الفردوس و جنة المأوى، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
[ইতিপূর্বে এই ওয়েবসাইটের Menu Bar (মেনু বার) এবং সাথে Right Side Bar (রাইট সাইড বার)-এও মুসলিম পারিবারিক আইন নামে একটি পেজ সংযুক্ত করে দিয়েছিলাম, (যে পেজে এতদসংশ্লিষ্ট সকল পেজের লিঙ্ক মওজুদ আছে)। কিন্তু যেহেতু (বিশেষ করে মোবাইলে ব্রাউজ করে) এই ওয়েবসাইটে ঢুকতেই Bar (বার) দুটি দৃষ্টিগোচর হয় না এবং প্রায় পাঠকই একটু কষ্ট করে Menu Bar (মেনু বার) থেকে পেজগুলো বের করে নিয়ে পড়তে চায় না, তাই আমি এই Post (পোষ্ট) অপশনে বিভিন্ন শিরোনামের সূচিপত্র (index) সহ ইসলামি পারিবারিক আইন , ইসলামী শরীয়ত, সংবিধান, অপব্যাখ্যা -এই পেজটি সংযুক্ত হরে দিলাম, যাতে প্রতিটি পাঠক এই সাইটে ঢোকা মাত্রই পোস্টের ইসলামি পারিবারিক আইন , ইসলামী শরীয়ত, সংবিধান, অপব্যাখ্যা -এই টাইটেলটি দেখে তাতে কী আছে তা দেখার ও জানার আগ্রহ তৈরী হতে পারে এবং সহজেই এখানে ঢুকে শিরনামে ক্লিক করে আলোচনাগুলো একবার হলেও পড়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে, যারা ইসলামী খিলাফত ও ইসলামী পারিবারকি আইন বিষয়ে ইলম অর্জনকে জরুরী মনে করেন, সেই সকল মর্দে মুমিনগণকে একবার হলেও নিম্নের পয়েন্টগুলো ক্লিক দিয়ে পড়ে নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি এবং তা যতটা পারা যায় প্রচার প্রসার করার আহবান রাখছি]

লেখক
মুফতী মওলানা মুহাম্মাদ ত্বকী উসমানী দা:বা:
[ভাইস চেয়ারম্যান, ইসলামী ফিকহ একাডেমী জেদ্দাহ; শাইখুল হাদিস, দারুল উলূম করাচী; সাবেক প্রধান বিচারপতি, শরীয়াহ সুপ্রিম কোর্ট, পাকিস্তান]
ইসলামি পারিবারিক আইন বিষয়ক আলোচনার সূচিপত্র (index)
১. মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ.-এর অভিমত এবং লেখকের গুরুত্বপূর্ণ প্রারম্ভিব আলোচনা [এখানে ক্লিক করুন]
২. চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা : ইসলামী শরীয়ত বনাম সংবিধান ও অপব্যাখ্যা [এখানে ক্লিক করুন]
৩. বিয়ের বয়স ও বাল্যবিবাহ : ইসলামী শরীয়ত বনাম সংবিধান ও অপব্যাখ্যা [এখানে ক্লিক করুন]
৪. বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন : ইসলামী শরীয়ত বনাম সংবিধান ও অপব্যাখ্যা [এখানে ক্লিক করুন]
[বি:দ্র: লিবারাল কিসিমের নামধারী মুসলীম সমাজে যেমনটা হয় আর কি, ইসলামী শরীয়ত সম্মত বিবাহ তালাক আইনগুলো মন থেকে মেনে নিতে অপ্রস্তুত তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান আইয়ূব খান ও তার সহযোগীরা কুরআন সুন্নাহ ও ফিকহি মাসআলা মাসায়েলকে দুমড়ে মুচড়ে অপব্যাখ্যা করে তখনকার পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য ‘মুসলিম পারিবারিক আইন’ নামে একটি শরীয়ত বিরোধী আইন রচনা করে সেটাকে জোর করে মুসলমানদের উপরে চাপিয়ে দেয়, (যার মধ্যে বিয়ের বয়স, একাধিক বিয়ে, তালাক ও ওয়ারেসী/উত্তরাধিকার আইন অন্তর্ভূক্ত ছিল)। ফলে আইয়ূব খানের সেই মার্শাল ল’-এর পরিস্থিতিতে মর্দে মুমিন ওলামায়ে কেরামগণের মধ্যে যিনি যেভাবে পেরেছেন এর প্রতিবাদ করেছেন এবং আইনের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এরই ক্রমধারায় তৎকালীন পাকিস্তানের গ্রান্ড মুফতী, মাওলানা মুহাম্মাদ শফী সাহেব রহ. ওইসকল শরীয়ত বিরোধী আইনগুলোর ভুল সংশোধন করানোর লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য পুত্র মুফতী মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী দা:বা:-কে একটি দলিল ভিত্তিক জবাবী বই লেখার নির্দেশ দেন। মুফতী মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী দা:বা: পিতার নির্দেশ পালনার্থে ‘হামারা আয়েলী মাসায়েল (আমাদের পারিবারিক মাসায়েল)’ নামে একটি কিতাব লেখেন। বক্ষমান প্রবন্ধটি সেই কিতাবেরই বঙ্গানুবাদ। কিতাবটি যদিও তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকের রচিত শরীয়ত বিরোধী সব পারিবারিক আইনের জবাবে লেখা হয়েছিল, কিন্তু মাসআলাহ গুলো পৃথিবীর সকল মুসলমানের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য বিধায়, আপনি এব্যাপারে আপনার ইলমী মুর্খতা দূর করনের জন্য এই অনুবাদটি আদ্যপান্ত অনায়াসে পড়তে পারেন; শুধুমাত্র পড়ার সময় পাকিস্তানের পরিবর্তে আপনার নিজের দেশের কথা এবং আইয়ূব খানের পরিবর্তে আপনার দেশের শাসকের কথা চিন্তা করে পড়লেই চলবে। সেকুলার শাসকরা দেশে দেশে ইসলামী শরীয়তের ‘বিয়ে ও তালাক’ আইনগুলোর কী দশা করে ছেড়েছে, তা এই বই পড়লে যে কোনো পাঠক একটা তুলনা করতে সমর্থ হবে বলে আমি মনে করি। এব্যাপারে আমি নিজ থেকে স্বতন্ত্র কোনো প্রবন্ধ না লিখে মুফতী মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী দা:বা: কর্তৃক লিখিত বইটিকেই এখানে অনুবাদ করে দেয়া এজন্য অধিক মুনাসেব মনে করেছি, কারণ মুফতী মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী দা:বা: বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ সারির শরীয়ত বিশেষজ্ঞ আলেমগণের মধ্যে অন্যতম একজন আলেমে দ্বীন, যার লেখার উপরে যে কেউ আস্থা রাখতে পারে। তদুপরি তাঁর পিতা গ্রান্ড মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. কিতাবটি আদ্যপান্ত পড়ে দেখে তা সত্ত্বায়ন করায় বইটির গ্রহনযোগ্যতা আরো বহুগুণে বেড়ে গেছে। এজন্য এর অনুবাদ করে দেয়াকেই এখানে অধিক মুনাসেব মনে করেছি। তবে এখানে শুধু পউত্তরাধিকার বিষয়ক আলোচনাটির অনুবাদ পেশ করা হয়নি, সময় সুযোগে অনুবাদ পেশ করার ইচ্ছে রয়েছে]