ভারত -এর ৭টি কোম্পানী ISIS কে বিষ্ফোরক দ্রব্য সাপ্লাই দানে বিশ্বের ২য় বৃহত্তর দেশ; ভারতের -এর ৭টি কোম্পানী এই Crime-এ জড়িত
কথায় আছে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’। ‘বেটা বড় চোর হয়েও মানুষ হয়েছে’ -একথা জোর করে বিশ্বাস করে তার নির্লজ্জ মা’ যদি ‘চুরির বিরুদ্ধে’ বড় গলাবাজি করে এবং ‘চুরিকে না বলুন’ -এই কথাকে প্রচার করতে তাকে পাগলপানা দেখা যায়, তাহলে কেমটা লাগে…বলুন !!!
Conflict Armament Research (CAR) এবং EU-mandated study থেকে যেসকল তথ্য বেড়িয়ে এসেছে, তাতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী সংগঠন Islamic State of Iraq and Syria (ISIS)-কে যে সকল দেশ বিষ্ফোরোক দ্রব্য তৈরীর উপাদান সরবরাহ করে আসছে, তাদের মধ্যে ভারত হল বিশ্বের ২য় বৃহত্তর দেশ ! ভারতের United Progressive Alliance (UPA) -এর শাসন আমলে ISIS-এর কাছে বিষ্ফোরোক ও এর উপাদান সাপ্লাই করা হয়েছে Improvised Explosive Devices (IEDs) প্রস্তুতের সহায়ক হিসেবে। ভারতের যে ৭টি কোম্পানী সরকারী নাইসেন্স নিয়ে ISIS-এর কাছে ৭০০ প্রকারের বিষ্ফোরোক দ্রব্য তৈরীর উপাদান সরবরাহের জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছে, তাদের তালিকা দেয়া হল; (সাথে একটি মোবাইল কোম্পানীর নামও দেয়া হল)।
Indian Companies | Supplying Materials |
Gulf Oil Corporation | Detonating Cord |
Solar Industries | Detonating Cord |
Premier Exprosives | Detonating Cord & Detonators |
Rajasthan Explosives & Chemicals | Detonating Cord & Detonators |
Chamundi Explosives | Safety fuse |
Economic Explosives | Detonators |
IDEAL Industrial Explosives | Detonators |
Nokia Solutions and Networks India | Mobile Telephones |
ISIS সন্ত্রাসীদের প্রায় সবাই ভারতের Nokia 105 RM-908 মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করে দূরবর্তী জায়গায় বিষ্ফোরোন ঘটানোর জন্য।
বিস্তারিত জানার জন্য নিদেনপক্ষে নিম্নোক্ত ওয়েব পেজগুলো একবার হলেও চেক করে দেখুন:-
- https://economictimes.indiatimes.com
- https://indianexpress.com
- https://www.ibtimes.co.uk
- https://www.independent.co.uk
- https://www.hindustantimes.com
- http://www.thehindu.com
- http://www.dailypioneer.com
- https://www.thequint.com
- https://www.americanbazaaronline.com
- http://www.thecitizen.in
- http://greatgameindia.com
ভারতের বাবরী মসজীদ’কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গুজরাট রায়োটের প্রধান হোতা নরেন্দ্র মোদী সাহেব খুব চিন্তিত ডা. জাকির নায়েককে নিয়ে, কারণ হিসেবে তার সরকার দালাল মিডিয়ার সাহায্যে একথা প্রচার করছে যে, ঢাকার হোলি আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের একজন নাকি ডা. জাকির নায়েকের লেকচার দ্বারা প্রভাবিত ছিল। একথার প্রধান সূত্র তারা পেয়েছিল বাংলাদেশের ডেইলি-ষ্টার পত্রিকায়, আর সেটাকেই মোক্ষম সুযোগ হিসেবে লুফে নিয়েছিল। যারা বিবেককে আজও টাকার কাছে বিক্রি করেনি, সেসকল সচেতন বুদ্ধিমান মানুষ মাত্রই জানে আজকের খবিস রাজনীতি ও মিডিয়া ময়দানে তারাই রাজার হালে টিকে আছে যারা প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলে, উপর্যুপুরি প্রতারনামূলক প্রচারণার আশ্রয় নেয়, ঘটনা ঘটায় ও নিউজ বানায়, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গুন্ডামী ও বাটপারী করতে পারে, পারে সিমারের পাষাণ হার্ট নিয়ে মানুষ খুন করতে বা করাতে।
নরেন্দ্র মোদী ও তার সরকার বাস্তবেই কি আই.এস.আই.এস’কে নিয়ে খুব চিন্তিত বলে মনে করে আছেন ? নাকি তিনি তাদের সাথে গড়াগড়ি খেয়ে অস্ত্র ব্যাবসা চালাচ্ছেন ধুমিয়ে।
ইন্ডিয়া / ভারত’কে চিনতে ভুল করছেন নাতো ?!!! এত লোক থাকতে বিশেষ করে ডা. জাকির নায়েকের পিছনে লাগার নেপথ্য কারণ কি মনে করেছেন ডেইলি-ষ্টার পত্রিকার ওই মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে প্রকাশিত ওই নিউজটি ? যারা আই.এস.আই,এস-কে বিষ্ফোরোক দ্রব্য সাপ্লাইয়ের এত জমজমাট ব্যাবসা করার কাজে বিশ্বের ২য় বৃহত্তর দেশ, তাদের গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর নজরে কি এত বড় খরর নেই বলে মনে করেন? আপনি কি মনে করে বসে আছেন যে, বাংলাদেশে র’-এর গোয়েন্দারা ছদ্দবেশে নেই? রামপাল-বিদ্যুতকেন্দ্রের পুরো প্রজেক্টটিকে ভারতের কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে দেয়ার বিষয়টিকে আওয়ামী হাসিনা সরকার কার্যকরী করতে পারছিল না বাংলাদেশের সচেতন জনগণের বিরোধীতার মুখে, সেখানে গুলশানের হোলি আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটির মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই কাউকে কিছু না জানতে বা বলবার সুযোগ না রেখে আওয়ামী হাসিনা সরকার চোরের মতো ভারতের সাথে রামপাল-বিদ্যুতকেন্দ্রের চুক্তি পাকাপোক্ত করে ফেললো ! তাহলে, গুলশানের হোলি আর্টিজেনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি কি জনগণের নজর অন্যদিকে ব্যাস্ত রাখার নাট্য-কৌশল ছিল, যাতে বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বকে ওসব বিষয়কে কেন্দ্র করে মনমগজ ব্যাস্ত রাখে, আর এদিকে ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে রামপাল-বিদ্যুতকেন্দ্রের চুক্ত ‘র কাম সেরে নেয়া যায় চট করে? হাসিনা বাস্তব কথাই বলেছে- ’আমরা ভারতকে যা দিয়েছি সেটা ভারত সারা জীবন মনে রাখবে’। তা-ই বৈকি আফা !!!!
الله اعلم بالصواب و أخر دعوانا عن الحمد لله رب العالمين و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته و استغفر الله و أتوب إليه
তুই মিয়া মিথ্যা বাদি আল্লাহ ধংস করুক । আইএস কে যারা মিথ্যা প্রমাণ করতে গিয়েছে তাদের আল্লাহ মুরতাদে পরিনত করেছে
ভাই, খারেজী মনমানুসিকতা যাদের আছে, তাদের একটা বড় সমস্যা হল কথায় কথায় মুসলমানকে ‘কাফের/মুরতাদ’ বলে দেয়। আপনার উচিৎ ড. ইউসুফ কারজাভী দা:বা:-এর লিখিত ‘তাকফির’-এই বইটি পড়া। সংক্ষেপে বইটি চমৎকার। আপনি কোনো কোনো কমেন্টে আফগান মুসলীম মুজাহিদগণকেও ‘মুরতাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন। (আপনি যদি আপনার ইলম মতে মনে করেন, তাহলে কমপক্ষে তাদেরকে পথভ্রষ্ট বলতে পারতেন)। এভাবে নিজের আখেরাতের ক্ষতি করে কি লাভ!? পুথিবীর সকল হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ‘আইএসএস/দায়েশ’দের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়াই একথার দলিল যে, ‘আইএসএস/দায়েশ’ পথভ্রষ্ট। আপনাদের চোখে ‘আইএসএস/দায়েশ’রা পথভ্রষ্ট নয়, কারণ আপনারা আলেম নন। এই দ্বীন এত এতিম নয় যে, আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে কোনো জামানায় হক্কানী আলেমগণ থেকে মাহরুম রাখবেন। প্রতি জামানায় হক্কানী আলেমগণ থাকবেন এবং তাঁদের চোখেই প্রথমে ধরা পরবে যে, কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে পথভ্রষ্ট কারা। সকল আলেমগণ বলছেন ‘আইএসএস/দায়েশ’রা পথভ্রষ্ট, আর আপনারা আম পাবলিক শুধু কিছু বই পড়ে বা ভিডিও দেখে ইলম হাসিল করে অন্য কোনো মত দিলে বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুছ কালা হেঁ’। হাতে গোণা কয়েকজন আলেম তো ভুল করতে পারেন, কিন্তু এটা হতেই পারে না যে, সকল আলেম একযোগে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত দিবেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন- لَا يَجْمَعُ اللَّهُ أُمَّتِي عَلَى ضَلَالَةٍ أَبَدًا وَيَدُ اللَّهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ . رواه الحاكم في لمستدرك على الصحيحين , كتاب العلم : ١/١٩١ رقم ٣٩٩ , اسناده صحيح – “আল্লাহ আমার উম্মতকে কোনো দিন পথভ্রষ্ঠতার উপর ইজমাবদ্ধ/ঐক্যবদ্ধ করবেন না। আর জামাআতের উপরে রয়েছে আল্লাহ’র (রহমতের) রহমত”। [মুসতাদরাকে হাকিম– ১/১৯১ হাদিস ৩৯৯] এখানে আমার উম্মত বলতে আলেমগণ উদ্দেশ্য। কারণ, জাহেলদের মতের মূল্য নেই শরিয়তে।
এটা আপনার ধারনা মাত্র। হক্কানী ওলামায়ে কেরাম সকলেই ‘আইএসএস/দায়েশ’দেরকে পথভ্রষ্ট বলেছেন; সরাসরি কেউ তাদেরকে মুরতাদ বলেননি। সুতরাং “আইএস কে যারা মিথ্যা প্রমাণ করতে গিয়েছে তাদের আল্লাহ মুরতাদে পরিনত করেছে” -এটা আপনার মনের মধ্যে ধারনাগত মুরতাদ হতে পারে, আল্লাহ তাআলার দরবারে ইনশাআল্লাহ মুসলীম হিসেবেই তাঁরা উঠবেন। আমরাও আলেমগণের েমতকেই মেনে চলবো ইনশাআল্লাহ। তাঁদের চোখ দিয়েই কুরআন সুন্নাহকে বোঝার চেষ্টা করবো। আলেমগণের মত বাদ দিয়ে যারা ভিন্ন মত ও পথ এখতিয়ার করে, তাদের সেই পদক্ষেপই পথভ্রষ্ট হওয়ার বড় দলিল।