Uncategorized

২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল – পৃথিবীর পট পরিবর্তনের জামানা

২০২২ সাল থেকে সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে – অবাক করা কিছু তথ্য – কিছু সাহায্যকারী ভবিষ্যদ্বাণী

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیۡمِ

الحمد لله و الصلاة و السلام على رسوله محمد و على أله و أمّته

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ النبي الأمي عَدَدَ خَلْقِك وَ رِضَا نَفْسِك وَزِنَةَ عَرْشِك وَ مِدَادَ كَلِمَاتِك، صَلِّ عَليه صَلاَةً كَامِلَةً دَائِمَةً كَمَا يَنْبَغِي أَنْ يُصَلَّى عَلَيهِ وَ سَلِّمْ تَسلِيمَاً بِقَدرِ عَظَمَةِ ذَاتِكَ فِى كُلِّ وَقتٍ وَ حِين، صلاة تكون لك رضاء و له جزاء، صلاة لا غاية لها ولا منتهى ولا انقضاء باقية ببقائك الى يوم الدين ، و اعطه الوسيلة و الفضيلة و المقام المحمود الذي وعدته، و اجزه عنا ما هو اهله، و على اله وأصحابه و أزواجه و ذريته و أهل بيته و سلم تسليما مثل ذلك، اَللّٰهُمَّ اجمعني معه في الفردوس و جنة المأوى، اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ


[বি:দ্র: বিশ্বমানব জাতির সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর ওফাত (ইন্তেকাল) হবার মাধ্যমে আল্লাহ’র পক্ষ থেকে নবুওতী ধারায় ওহী নাজিলের দরজা কেয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। আর নবী মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর জীবনকালে কেয়ামত পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা ঘটনার যেসকল ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন, সেগুলো আল্লাহ’র তরফ থেকে নাজিলকৃত ওহী দ্বারা প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে বলেছেন বিধায়, সেসকল ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্য অবশ্যই কেয়ামত পর্যন্ত নির্ভুল ভাবে সংঘটিত হতে থাকবে।

এখন এই বিষয়ে তর্ক বিতর্ক রয়েছে যে, নবীগণের কাছে নাজিলকৃত ওহী ব্যতীত নিকট বা দূর-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার অন্য কোনো পথ খোলা রয়েছে কিনা। তবে, আমি ইনশাআল্লাহ কুরআন ও হাদিসের আলোকে তো বটেই, বরং এই দুই শরয়ী উৎস ছাড়াও আমাদের সালাফ ও খালাফের মধ্যে অনেক নির্ভরযোগ্য আলেমগণের নিজেদের কিতাবাদি থেকে নিজেদের বহু ঘটনা উল্লেখ করে একথা দেখিয়ে দিতে পারবো যে, নবীগণের কাছে নাজিলকৃত ওহী ছাড়াও আল্লাহ’র ইচ্ছায় সাধারণ মানুষের কাছেও  নিকট বা দূর-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সত্য জ্ঞান লাভ করার পথ খোলা রয়েছে; আর সেই পথ হল:  স্বপ্ন (যা মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে থাকে) এবং দিব্যদর্শন/কাশফ (যা মানুষ জাগ্রত অবস্থায় দেখে থাকে তার অন্তর-চোখ ও মনমস্তিষ্কের মধ্যে স্পষ্ট  ঘটনাচিত্রের আকারে)। তবে, যে ব্যাক্তি স্বপ্ন বা দিব্যদর্শন (কাশফ)-এ কিছু দেখেছে বা কোনো খবর পেয়েছে মর্মে ব্যাক্ত করছে, যেহেতু তার দাবীটি সত্য নাকি মিথ্যা -একথা দ্ব্যার্থহীন ভাবে প্রমাণ করার মতো অন্য মানুষের কাছে দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই, এজন্য সর্বাবস্থায়ই এসব দাবীকৃত স্বপ্ন কিংবা দিব্যদর্শন (কাশফ) কারোর জন্যই শরয়ী কোনো দলিল যেমন নয়, তেমনি এর দ্বারা শরীয়তের কোনো বিষয়ও সাব্যস্ত হতে পারে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, (নবী রাসুলগণ ব্যাতীত) অন্যান্য মানুষের স্বপ্ন কিংবা দিব্যদর্শন (কাশফ)-এর মধ্যে শয়তানদের আনাগোনা, অসওয়াসা বা বদ-কৌশলের মিশ্রন থাকাটা বিচিত্র কিছুই নয়। তবে, যে মানুষের ইমান ও আমল যতটা নুরানী ও মজবুত মর্তবার হয়, তার স্বপ্ন ও দিব্যদর্শন (কাশফ)ও ততটা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এখন এর বাইরে বাকি থাকে শুধু এতটুকু কথা যে, কেউ যদি বলে যে, সে অমুক স্বপ্ন দেখেছে বা অমুক বিষয়ে দিব্যদর্শন (কাশফ) লাভ করেছে, তাহলে সেক্ষেত্রে অন্যদের জন্য তার সম্পর্কে ৩টি পথ খোলা রয়েছে- (১) স্বপ্ন বা কাশফ দর্শনকারীকে বিশ্বস্ত, সৎ , আমানতদার ও সত্যবাদী বলে মন সায় দিলে অন্যরা তার কথাকে সত্য বলে বিশ্বাসও করতে পারে, (২) স্বপ্ন বা কাশফ দর্শনকারীকে অবিশ্বস্ত, অসৎ , অ-আমানতদার ও মিথ্যাবাদী বলে মন সায় দিলে অন্যরা তার কথাকে মিথ্যা বলে বিশ্বাসও করতে পারে, (৩) স্বপ্ন বা কাশফ দর্শনকারীর প্রতি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটা করতেই মন সায় না দিলে বিষয়টিকে ঝুলন্ত অবস্থায়ও রাখা যেতে পারে (-এই মনে করে যে, সত্য মিথ্যা আল্লাহ’ই ভাল জানেন, আমার এসব বিষয়ের পিছনে পরার দরকার নেই)। কিন্তু না জেনে না বুঝে -যে কোনো একদিকে একটা ইচ্ছে মতো মন্তব্য করে দেয়া কখনই প্রাজ্ঞবানের কাজ হতে পারে না।

উপরের এসব কথা মাথায় রেখে, নিম্নে আমার লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী গুলো পড়তে থাকুন, বিশ্বাস হলে বিশ্বাস করুন, অবিশ্বাস হলে ছুড়ে ফেলে দিনতবে আমার পরামর্শ হল, আপনার বিশ্বাস করা বা না-করা’র বিষয়টিকে আপতত ঝুলন্ত রাখুন –যাবৎ না এসব ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যাওয়ার ব্যাপারে সুনিশ্চিত খবর পান। যে পাঠকের মন আমার কথায় বিশ্বাস রাখার ব্যাপারে সায় দেয়, তার জ্ঞাতার্থে বলছি, এখানে কেবল সেসব ভবিষ্যদ্বাণীই লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে, যা নিকট/দূর-ভবিষ্যতে ঘটবে মর্মে সম্পূর্ণ জাগ্রত ও সচেতন অবস্থায় যেন চোখের সামনে বা অন্তরচক্ষুর/মনমস্তিষ্কের মধ্যে ঘটনাচিত্র আকারে সংঘটিত হতে দেখা গেছে/যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, এখানে যেভাবে বলেছি, সেভাবেই সব সংঘটিত হবে।

গত দেড় বছর ধরে দ্বিধাদন্দে ছিলাম -এসব প্রকাশ করা ঠিক হবে কিনা। গতকাল সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছি যে প্রকাশ করতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ এবং  কিছু অংশ লিখা সম্পন্ন করেছি। আজ ৯ মার্চ ২০২২ ইং (মোতাবেক ৬ শা’বান ১৪৪৩ হি:) তারিখে উক্ত লিখাটি এই পেজে পাবলিষ্ট করছি। লিখনীর কাজ এবং লিখা শেষে তা এই পেজে আপলোড ও আপডেটের কাজ জারি আছে। আল্লাহ ভরসা, দেখা যাক কতদূর যাওয়া যায়।


 
(১) ২০২২ ইং থেকে ২০২৪ ইং সাল বিশ্ব মানবতার জীবন ও সম্পদের ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতির বছর প্রমাণিত হবে।
 
(২) বর্তমানে ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং-এ ইউক্রেনরাশিয়ার মাঝে যে যুদ্ধ বেঁধে গেছে সেটা আর থামবেও না, এর পারষ্পরিক কোনো সমাধানও হবে না, বরং পরিস্থিতি আরো বেসামাল হতে থাকবে। ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে’র রেশ ধরে আমেরিকা ও ইউরোপের মোড়ল দেশগুলো মাঠে নেমে পড়বে রাশিয়া গলা টিপে ধরার জন্য, ওরা কোনো ভাবেই রাশিয়ার সাথে পেরে উঠবে না, বরং রাশিয়া এদের মূল হোতাদের উপরে এক এক করে বদলা নিবে। রাশিয়াই প্রথম দেশ হবে, যে এ যুদ্ধের ক্রমধারায় তার দুশমনের মোকাবেলায় সর্বাগ্রে এ্যাটোমিক বোম্বকে ব্যবহার করবে। রাশিয়া তার বড় দুশমনদের বিরুদ্ধে এ্যাটোমিক বোম্ব দ্বারা বদলা নেয়ার আগে এক প্রকার ট্রাইয়েল হিসেবে প্রথমে ইউক্রেনের মাটিতে এ্যাটোমিক বোম্ব নিক্ষেপ করবে এবং ইউক্রেনের বড় অংশ তেহেসনেহেস হয়ে যাবে। রাশিয়া ইউক্রেন’কে দু’ টুকরোয় পরিণত করবে।  
 
(৩) ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে তুরস্ক এসে শামিল হবে এবং এর রেশ ধরে এক সময় সে তার হাত থেকে ইস্তাম্বুল (কনস্টান্টিনোপল/কুসতুনতুনিয়া)কে হারানোর মতো পরিণতি বরন করতে বাধ্য হবে। [হাদিসের বর্ণনা মতে, ‘মালহামাতুল কুবরা’ ও দাজ্জাল বের হওয়ার আগে আগে ইমাম মাহদী ও তাঁর মুজাহিদবাগিণীর হাতে আবারো এই কুসতুনতুনিয়া ফাতাহ (বিজীত) হবে, যেমনটা আমরা এই ওয়েবসাইটে ‘মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণী’ সিরিজের ‘মালাহেম/মহাযুদ্ধ বিষয়ক পৃষ্ঠায় (এখানে ক্লিক করুন)-এ এই বিষয়ক হাদিস ও তার ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি]
 
(৪) ইউক্রেন ও রাশিয়ার মাঝে এই যুদ্ধ চলাবস্থায় চীন হঠাৎ করে আমেরকিার বন্ধুদেশ তাইওয়ান দখল করে ফেলবে। তাইওয়ানকে বাঁচাতে তার আমেরকিা ও ইউরোপের কোনো বন্ধুদেশ এগিয়ে আসবে না, বরং তাকে একলা ছেড়ে দিবে চীনের হাতে।
 
(৫) ইউক্রেনের পর রাশিয়া তার এ্যাটোমিক বোম্ব ও মিসাইলের বৃষ্টির সাহায্যে হানা দিবে যুক্তরাজ্য (UK)-এর উপরে। এতে যুক্তরাজ্যের অস্তিত্ব পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে চিরদিনের জন্য মুছে যাবে; থাকলে শুধু ইতিহাসের পাতায় যুক্তরাজ্যের নামটুকু থাকবে। এরপর রাশিয়া ধরবে আমেরিকাকে, তারপর ইসরাঈলকে, তারপর ফ্রান্সকে এবং তাদেরকে তেহেসনেহেস ও বরবাদ করে দিবে। 
 
(৬) রাশিয়া কিছু সময়ের জন্য গোটা ইউরোপের ‘সুপার পাওয়ার’ হিসেবে বিশ্বে অনুভূত হবে, আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপের ‘মোড়ল’ হিসেবে সামনে আসবেন।
 
(৭) রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইসলাম কবুল করে মুসলমান হবেন। তারপর তার মৃত্যু হবে তারই বডিগার্ডদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক আততায়ীর হাতে।
 
(৮) আমেরিকার মিত্রজোটের বিপরীতে পাকিস্তান, তুরষ্ক, আফগানিস্তান, ইরান, চীন ও রাশিয়া সমেত একটি শক্তিশালী জোট তৈরী হবে। 
 
(৯) অচিরেই আফগানিস্তান দু’টুকরো হয়ে যাবে, যার এক টুকরোর নাম হবে ‘খুরাসান’। এই খুরাসান থেকেই কালো পতাকা ও কালো পাগরিধারী মর্দে মুজাহিদ বাহিনী ইসলামের সাহায্যার্থে আত্বপ্রকাশ করবে। 
 
(১০)  করোনা’র ওয়েভ ২০২২ ইং থেকে আগামী ২০২৩ ইং অথবা ২০২৪ ইং-এর প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত বেশ আপ-ডাউন করে চলতে থাকবে। তবে করোনা’র রেশ প্রায় ১২ বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
 
(১১)  করোনার আগামী ঢেউ ও তেজ (যা ২০২২ ইং এর মধ্যেই আসবে সেটা) গতবারের চাইতে আরো বেশি মারত্মক হবে এবং বিশ্বজুড়ে আবারো লকডাউন শুরু হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির দুরাবস্থা দেখা দিবে। করোনার এই ওয়েভের আঘাত বিশেষ করে ভারত’কে মরন কামড় দিবে। করোনা ও অন্য বড় রোগ-ব্যাধির ছোবলে অচিরেই ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক কমে যাবে। বাড়িতে বাড়িতে, রানারীস্তা ঘাটে, অলিতে গলিতে লাশ আর লাশ পড়ে থাকবে, সকলের লাশ সৎকার করা অসম্ভব হয়ে পরবে। বাকি অর্ধেকের মতো যারা তখনো বেঁচে থাকবে, তারা এসব অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করার কারণে তাদের অনেকের মস্তিষ্ক এলামেলো হয়ে যাবে, এমনকি তাদের মধ্যে বহু মানুষ আর সইতে না পেরে আত্বহত্যার পথ বেঁচে নিবে। অবস্থা এতটাই করুন হয়ে যাবে যে, যেসকল হিন্দুকে মাড়া যাওয়ার পর আগুনে জ্বালানো হবে,জীবিতদের অনেকের কাছে এমন মনে হবে বা তারা যেন চোখে দেখতে পাবে যে, ওই আগুনে জ্বালানো মৃতদের মধ্যে অনেকেই যেন তাদের সামনে জীবিত অবস্থায় হাটাচলা করছে!!!
 
Farmer Movement India Shik(১২) অচিরেই ভারতের ভিতরে সৃষ্ট হওয়া কৃষক আন্দোলনটি আরো তেজ হয়ে উঠবে এবং এ আন্দোলন শিখ ধর্মাবলম্বী’দের হাতে বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত তারা ‘খালিস্তান’-কে ভারত থেকে আলাদা করে স্বাধীনতা এনে তবেই ক্ষ্যান্ত হবে। ‘খালিস্তান’ স্বাধীন করতে গিয়ে ভারতের ‘শিখ ধর্মাবলম্বী’দেরকে অবর্ণনীয় মাত্রায় রক্ত ঝড়াতে হবে; অবর্ণনীয় মাত্রায়।  
 
(১৩) অচিরেই ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী’র পরিবারের অনেকে ইসলাম কবুল করবেন, যে সৌভাগ্যের মধ্যে তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও থাকবেন (ইনশাআল্লাহ)। 
 
(১৪) অচিরেই ভারতের ভিতরে ১৯৪৭ সালের আন্দোলনের চাইতেও বড় মাপের এমন এক আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, যা ভারত তার জন্ম থেকে নিয়ে ওই অন্দোলন জেগে ওঠা পর্যন্ত কখনো চোখে দেখেনি (এটা শিখদের খালিস্তন স্বাধীনের আন্দোলন থেকে পৃথক একটি আন্দোলন হবে)। আর এ আন্দোলনটি জেগে উঠবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইসলাম কবুল করার পর। এই আন্দোলনের তোর ভারতকে টুকরো করার পথ করে দিবে, এবং ভারত টুকরো হবে। কাছাকাছি সময়ের মধ্যে ৩ (তিন) টুকরো হবে।
 
(১৫) স্বাধীন ‘খালিস্তান’-ই হবে ভারতের প্রথম টুকরো, যার মধ্যে ‘শিখ’দের প্রচুর রক্ত ঝড়াবে।
 
(১৬) ‘খালিস্তান’ স্বাধীন হবার পর ‘কাশ্মীর’ স্বাধীন হবে -বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে। ভারতের নরেন্দ্র মোদী উপায়ন্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের ইমরান খানের সামনে ‘কাশ্মীর’কে ট্রে-তে সাজিয়ে দেয়ার মতো করে পেশ করবে, বুঝিয়ে দিবে। তবে ‘কাশ্মীর’ পাকিস্তানের সীমানাভুক্ত হবে না, বরং ‘কাশ্মীর’ হবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
 
(১৭) ভারত সময়ে সময়ে একের পর এক টুকরো হতে থাকবে, এমনকি এক সময় ভারত ১৭ (সতের) টুকরো হওয়ার পরিণতি ভোগ করতে বাধ্য হবে।
 
(১৮) ২০২২ ইং সালে এশিয়া’য় বড় যুদ্ধ বেঁধে যাবে। ‘গাজওয়ায়ে হিন্দ’-এর আগুন ধরে যাবে ২০২২ ইং সালেই।   
 
(১৯) অচিরেই আমেরিকার মোড়লগীরীর আঁখড়া ‘ন্যাটো’ (N.A.T.O/North Atlantic Treaty Organisation/উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট)-তে মতবিরোধ বাঁধবে এবং পরিণতিতে তা ২ (দুই) টুকরো হয়ে যাবে।
 
(২০) অচিরেই ‘বিশ্ব ব্যাংক (World Bank)’ আমেরিকা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এশিয়ার কোনো একটি দেশে চলে আসবে।
 
(২১) আমেরিকা’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সাংবিধানিক প্রেসিডেনশিয়াল মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তার আগেই সে ক্ষমতা হারাবে। জো বাইডেন-এর পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ক্ষমতায় আসবে।
 
(২২) অচিরেই আমেরিকা’য় কৃষ্ণাঙ্গ আর শ্বেতাঙ্গ’দের মাঝে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ উবলে উঠবে, যার কারণে তাদের দেশের ভিতরের অবস্থা বেসামাল হয়ে যাবে। রাস্তায় রাস্তায়, পথে ঘাটে, অলিতে গলিতে, বাড়িতে বাড়িতে লাশ আর লাশ, রক্ত আর রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যাবে।
 
(২৩) অচিরেই আমেরিকা’র ভিতরে এমন একটি রোগ দেখা দিবে, যা থেকে মুক্তির কোনো চিকিৎসা বা ঔষধপত্তর তারা পাবে না। আমেরিকা’র জনগণ যে যেভাবে পাবে জীবন বাঁচানোর জন্য দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে পালাতে থাকবে। আমেরিকা’য় কেবল তারাই রয়ে যাবে, যারা অন্য কোনো দেশে পালাতে সক্ষম হবে না, কিংবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ‘আমেরিকা’য় মড়াকে বরন করতে বাধ্য হবে। [উল্লেখ্য, রোগটি আমেরিকায় জন্ম নিয়ে নিয়েছে]। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপে চড়ানো এক ভয়ঙ্কর দরারোগ্য রোগে তাদের অর্ধেক জনসংখ্যা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে যাবে।
 
(২৪) বর্তমানে আল্লাহ তাআলা’র একটি আসমানী মাখলুক (নাজমুস সাক্বিব)-এর টার্গেটে রয়েছে আমেরিকা নামক বদমাইশ দেশটি। অচিরেই আমেরিকা’র উপরে আসমান থেকে এই অতীব বড় আকারের পাথর/উল্কা জাতীয় বস্তুটি এসে এত জোরে আঘাত হানবে যে, এটা আমেরিকা’কে তেহেসনেহেস করে দিবে। এটা হবে এমন এক পাথর/উল্কা যা বিগত ৪০০০ বছরে কখনো পৃথিবীতে আঘাত হানেনি।
 
(২৫) আগামী ২০২৩ ইং-এর মধ্যেই ইসরাঈল মুসলমানদের প্রথম কিবলাহ ‘বায়তুল মাকদিস (আল-আক্বসা)’র দিকে তাদের নোংরা হস্ত প্রসারিত করবে ও গুড়িয়ে দিবে। তখন ‘ইসরাঈল’-এর মোকাবেলায় সর্বাগ্রে এগিয়ে আসবে ইরান। ইরান তখন তার তৈরীকৃত ‘এ্যাটোমিক বোম্ব’ বিষ্ফোরিত করবে, যার লেলিহান ছোবল ইউরোপ ও এশিয়া’কে লেপটে নিবে। ইরানের এই ‘এ্যাটোমিক বোম্ব’-এর শক্তি -এ যাবৎ তৈরীকৃত যে কোনো দেশের ‘এ্যাটোমিক বোম্ব’-এর চাইতে অধিক পাওয়ারফুল হবে। [আমি মনে করি, এই ওয়েবসাইটে ‘মহানবীর ভবিষ্যদ্বাণী’ সিরিজের ১০ম পৃষ্ঠায় (এখানে ক্লিক করুন) (ভবিষ্যদ্বাণী ১০-৪) নং-এ বর্ণিত হাদিসটিতে যে পূর্ব দিকের আকাশে আগুনের পিলারের উল্লেখ রয়েছে, সেটা ইরানের এই ‘এ্যাটোমিক বোম্ব’ বিষ্ফোরন ও তার আগুনের লেলিহান শিখা লম্বালম্বি আকাশের দিকে উঠে যাওয়ার দিকেই ইংগীত করা হয়ে থাকতে পারে। মদিনা থেকে ইরানের অবস্থান পূর্ব দিকেই। আল্লাহ’ই ভালো জানেন]
 
bin salman, MBS(২৬) গত ২ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে তুরষ্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ‘সৌদি আরবের কনস্যুলেট’ রুমের মধ্যে জামাল খাসোগি (Jamal Khashoggi) নামের যে সৌদি বংশদ্ভুত সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছি, অতীব নিকটবর্তী সময়ের (২০২৩ ইং সালের) মধ্যেই এই ইস্যুটিকে পূণরায় পৃথিবীর মানুষের সামনে বিশেষ ভাবে তাজা করে দেয়া হবে এবং এ খুনের সাথে জড়িত আরবের বড় বড় রাজনৈতিক লোকদের নাম প্রকাশ করা হবে এবং তাদেরকে মৃত্যুদন্ডের আওতায় আনা হবে। এরই রেশ ধরে ‘সৌদি- আরবে’র বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ-এর শীরচ্ছেদ হবে -কোনো এক জুম্মার দিনে (এ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের কাজের পিছনে থাকবে ইসরাঈলের প্রধানমন্ত্রী ‘নাফতালী বেনেত’)। বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ-এর পর তার মুনাফেক সাহেবজাদা ‘মুহাম্মদ বিন সালমান’-এর শীরচ্ছেদ হবে। 
 
(২৭) আগামী ২০২৩ ইং-এর পর থেকে পৃথিবীর বুকে ইসরাঈল নামের কোনো দেশের অস্তিত্ব থাকবে না -কেয়ামত অবধি। চীন, রাশিয়া, ইরান, তুরষ্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ‘ইসরাঈল’-এর উপরে বৃষ্টির মতো মিসাইল এসে পড়তে থাকবে; ইসরাঈল তছনছ হয়ে যাবে। 
 
(২৮) আজ আরব দেশগুলোর ধ্বনী লোকদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা অচিরেই দরিদ্র হয়ে যাবে এবং তাদেরকে আবারো আগের মতো উটে চড়তে ও বকরী চড়াতে দেখা যাবে। 
 
(২৯) পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তার আগেই (২০২২ ইং সালের মধ্যেই) সে ক্ষমতা হারাবে, এমনকি তার দলও থাকবে না। এর কিছু কাল (প্রায় ৩/৪ মাস) অতিবাহিত হবার পর ইমরান খান আবার ক্ষমতায় আসবে। ইমরান খান-এর হাত ধরেই পাকিস্তানের সাহায্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে। [[আলহামদুলিল্লাহ, যেমনটা বলেছিলাম, ইমরান খান তার সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তেমনটাই হল এপ্রিল ২০২২-এর মধ্যেই। ইনশাআল্লাহ ইমরান খান আবার ক্ষমতায় আসার কথাও ফলবে; গোটা আমেরিকা ইউরোপ ইসরাঈল ও ভারত মিলেও যদি একসাথে জোর লাগায় তবুও ইমরান খানের পূণরায় ক্ষমতায় আসাকে রুখতে সমর্থ হবে না। আল্লাহ তাআলা অনেক বড় বড় কাজ নিবেন ইমরান খানের হাত দিয়ে। (লিখছি ৫ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে)]]
 
(৩০) পাকিস্তানে প্রায় ২ (দুই) বছরের জন্য একজন নারী ক্ষমতায় আসবে। 
 
পাকিস্তান, Pakistan(৩১) ২০২২ ইং থেকেই ‘পাকিস্তানে’র ভিতরে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসা শুরু হবে। অচিরেই ডলারের দাম/ভেলু নিচে নেমে যাবে এবং পাকিস্তানের সকল ইনটারন্যাশনাল লোন শোধ হয়ে যাবে; কোনো লোন বাকি থাকবে না। ইমরান খান-এর হাত ধরেই পাকিস্তানের পার্থিব উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হতে থাকবে। পাকিস্তানের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর বড় বড় লুটেরা নেতারা (যেমন: নওয়াজ শরিফ, জারদারী প্রমূখ) -যারা পাকিস্তানের অগণিত সরকারী অর্থ দেশের বাহিরে পাঠিয়েছে, ইমরান খান তাদের কাছ থেকে সেসব অর্থের পাই পাই পাকিস্তানে ফেরত আনার ব্যবস্থা করবেন। অচিরেই সকল মুসলীম প্রধান দেশ -যারা তেল বিক্রি করে চলতো তাদের তেল ফুরিয়ে যাবে, আর এদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থান থেকে তেল বের হতে দেখা যাবে। এমনকি ‘পাকিস্তান’-এর এত তেল হবে যে, চাইলে সে কাউকে ফ্রি-তেও তেল দিতে পারবে। পাকিস্তানের ভিতর থেকে তেল ছাড়াও সোনা গ্যাস সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের খাজানা বের হবে। অচিরেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে, এই কিছুদিন আগেও যে পাকিস্তানের লোকজন অর্থ উপার্জনের জন্য অন্য দেশে জব (চাকুরী) করতে যেতো, খোদ সেই পাকিস্তানের ভিতরেই দেখা যাবে – শুধু জব (চাকুরী) আর শুধু জব (চাকুরী)-এর ক্ষেত্র। এমনকি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এত চাঙ্গা হয়ে যাবে যে,  তাদের ইনটারন্যাশনাল পোর্ট গাওয়াদার-এর চেহারা অতীব অত্যাধুনিক, উন্নত, চোখ ধাঁধাঁনো ও আলিশান হয়ে উঠবে, যেমনটা আজ দুবাই-এর চেহারা। বহু দেশ পাকিস্তানের সাথে বহু বড় বড় বিজনেস করবে।
 
(৩২) ইনশাআল্লাহ, আগামী ২০২৩ ইং সালের মধ্যে ভারতের প্রায় ৮ (আট) কোটি বেধর্মী ইসলাম কবুল করবে, যাদের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকবে বড় বড় হিন্দু পন্ডিত, অভিনেতা, শিল্পি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিক, আর্মী, পুলিশ প্রমুখ। গান্ধী পরিবার ইসলাম কবুল করবে।
 
(৩৩)আগামী ২০২৩ ইং সালের মধ্যে ‘পাকিস্তান’ পৃথিবীর ৮টি মুরুব্বি দেশের মধ্যে একটিতে পরিণত হবে।
 
(৩৪) অচিরেই ‘ইরান’ এবং ‘পাকিস্তান’-এর বরডার এলাকায় (বেলুচিস্তান এলাকায়) একটা বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে। ‘পাকিস্তান’-এর সিন্ধ এলাকায় একটি বড়সর আকারের ভূমিকম্প হবে এবং সেখানে একটি বড় মাপের সুনামী আসবে। [এই মাত্র কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সিন্ধ-এ যে সয়লাব হয়ে গেল, ইনশাআল্লাহ এটাই সেই সুনামী যার কথা এখানে বলেছি। https://www.youtube.com/watch?v=FdmscuNwu8A – এটা দেখুন। লিখছি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে]
 
(৩৫) অতীব নিকটবর্তী সময়ের (২০২৩ ইং সালের) মধ্যে ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রনভূক্ত কাশমীরে’র ‘গিলগিট-বেলুচিস্তান’ এলাকায় বিশাল এক প্রাকৃতিক মূল্যবান ধ্বনভান্ডার (যেমন: সোনার পাহাড় ইত্যাদি) বের হবে। আর ‘আমেরিকা’ ও ‘ভারত’ মিলে সেই প্রাকৃতিক মূল্যবান ধ্বনভান্ডার’টিকে ইস্যূ করে ‘পাকিস্তানে’র সাথে যুদ্ধ বাঁধাবে।
 
(৩৬) অচিরেই ভারতে প্রথমবারের মতো অল্প সময়ের জন্য আর্মীরা ক্ষমতা হাতে নিবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’কে প্রায় ৮০ টির মতো মামলা মাথায় থাকাবস্থায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য করবে। (এসব মামলার মধ্যে একটি মামলা থাকবে -গত ৮ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স ‘বিপিন রাওয়াত’কে হেলিকপ্টারে হত্যার পিছনে মোদীর হাত থাকা)। নরেন্দ্র মোদির সাধারণ মৃত্যু হবে না, বরং তার নিজ লেকদের হাতেই তার মৃত্যু হবে।
 
 tibet(৩৭) ভারত ও চীনের প্রতিবেশি দেশ ‘তিব্বত’-এর উপরে আমেরিকা ও ভারতের যে কনট্রোল রয়েছে, অচিরেই চীন সেই তিব্বতের উপরে পুরো কনট্রোল হাসিল করে নিবে এবং সেখানে অবস্থারত আমেরিকা, ইসরাঈল, ব্রিটেন ও ভারতের যেসকল গোয়েন্দা সংস্থার লোক ও এজেন্ট রয়েছে তাদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে মেড়ে ফেলবে। তিব্বতের উপরে কন্ট্রোল হাসিলের পর -ঠিক ভারত যেভাবে এতদিন ইচ্ছে মতো বিভিন্ন নদী ধারার পানি কনট্রোল করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ভিতরে নদীনালার পানি আসতে দেয়া বা না-দেয়া নিয়ন্ত্রন করতো, বা বদশাইশি করতো, তখন চীন তার উচ্ছে মতো ওসব নদীর পানি নিয়ন্ত্রন করবে। চীন এমনও করবে যে, তিব্বতের ভিতরের ওইসকল নদী ও পানির আস্তানাগুলো -যা তিব্বত থেকে ভারতের ভিতরে এসেছে, সেগুলো দিয়ে ভারতে পানি আসাকে একদম বন্ধ করে দিবে, এক কাতরা পানিও দিবে না, ফলে ভারতের গলা শুকিয়ে যাবে এবং পানির জন্য কাতরাতে থাকবে।
 
 
(৪১) অচিরেই চীন-এর এক বিরাট সৈন্যবাহিনী তাদের সুদীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের সুচতুর প্লানে তৈরী করা এক অচিন্তনীয় কৌশলে ভারতের ভূমিসীমা/আকাশসীমা অতিক্রম করা ছাড়াই খোদ ভারতের ভিতরের কমপক্ষে ৭ (সাত) টি উল্লেখযোগ্য অঞ্চল/প্রদেশ/শহরে দলে দলে প্রবেশ করবে এবং কবজা করে বসবে। ভারত কল্পনাও করতে পারবে না যে, এত চীনা সৈন্য কিভাবে ভারতের ভিতরে আসছে। [আজ আমি পাঠকগণকে এমন এক অকল্পনীয় খবর দিচ্ছি, যে খবরের কথা পৃথিবীর অন্যান্য সাধারণ দেশ তো পরের কথা খোদ্ আমেরিকা/রাশিয়া/ইসরাঈল/ব্রিটেন/ফ্রান্স/ভারত -এদের বাঘা বাঘা গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের এজেন্টদের কাছেও নেই -ইনশাআল্লাহ। চীন এ কাজ করেছে খুবই অচিন্তনীয় গোপনীয় ভাবে। চীন সুদীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের প্লান প্রগ্রাম অনুযায়ী খুবই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও মালসামান ব্যবহার করে নিজ দেশ ‘চীন’-এর পেট বিদীর্ণ করে সম্মুখপথের পাথর কেটে কেটে মাটি সরিয়ে সরিয়ে ভূমির গভীর তলদেশ দিয়ে নির্মান করেছে বিরাট বিরাট অত্যাধুনিক সব সুরং-পথ যেগুলোর শেষ সীমা গিয়ে ঠেকেছে ভারতের বিভিন্ন সব শহর/অঞ্চল/প্রদেশের একেবারে ভূমির তলদেশে। আমি আজ ২০২২ ইং সালে যখন এটি লিখছি, তখন চীনের এইসব সুরং-পথ একেবারে প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং ভারতের তলদেশ পর্যন্তই রয়েছে। এসব সুরং-পথ এমন অত্যাধুনিক ভাবে ভাবে তৈরী করা, যার ভিতরে সৈন্যদের প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা যেমন রয়েছে -বরং অস্ত্র মুজুদ করা আছে, তেমনি এর ভিতর দিয়ে অনায়াসে ট্যাঙ্ক, মিসাইলবাহী আর্মী-ট্রাক, যুদ্ধযান ইত্যাদি অনায়াসে যাওয়া আসা করতে পারে, এমনকি এর কিছু কিছু স্থান রয়েছে অত্যাধুনিক মার্কেট বা মল-এর মতো। শুনে রাখুন, ভারতের দিল্লি, মুমবাই, লাখনউ, মাদ্রাজ, ছত্রিশগর, কর্ণাটক, কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরের তলদেশে এসে এসব সুরং-এর মুখ সমাপ্ত হয়েছে। ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে চীনা সৈন্যরা তাদের উপরের অর্ডার ফলো করে এসব সুরং-পথ দিয়ে পিপড়ার মতো কিলবিল করে বেরিয়ে আসতে থাকবে। এসব সুরং-এর আরো কাজ জারি আছে এবং অচিরেই এবসব সুরং-এর কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অনেক প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দিবে। চীনের সৈন্যরা ইয়াজুজ-মা’জুজের বংশধর।
 
(৪২)   চীন ভারতের সীমাভুক্ত পুরো ‘লাদাখ’ অঞ্চল দখল করে নিবে। ‘লাদাখ’-এর প্রায় ৫০০ কি:মি: এলাকার মধ্যে খুবই অত্যাধুনিক একটি শহর হবে, যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ খুবই সস্তায় জিনিসপত্র পাবে, খুবই অচিন্তনীয় সস্তায়।
 
(৪৩) অচিরেই চীন -ভারতকে ঘিরে ধরার জন্য ‘লাদাখ’, ভুটান ও তিব্বতের মধ্যে লক্ষ লক্ষ চীনা সৈন্যবাহিনী মওজুদ করবে।
 
(৪৪) অচিরেই উত্তর কোরিয়া তার মিসাইলের বৃষ্টি বর্ষিয়ে দক্ষিন কোরিয়া’কে তেহেসনেহেস করে দিবে।
 
(৪৫) অচিরেই পাকিস্তানে ‘প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থা’র স্থলে ‘প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসন ব্যবস্থা’ চালু হবে। আর আগামী ২০২৪ সালের পর পাকিস্তানে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু হবে। দেশের ভিতরে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু হবে, চোরের হাত কাটা হবে। ‘করাচি’র স্থলে ‘ইসলামাবাদ’ হবে পাকিস্তানের রাজধানী হবে।
 
(৪৬) ইউরোপের মধ্য থেকে একটি ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ আত্বপ্রকাশ করবে। [আমি জানি না, সেই রাষ্ট্রটি রাশিয়াই কিনা, নাকি অন্য কোনো দেশ বা ভূখন্ড]
 
(৪৭) অচিরেই ‘সাউথ আফ্রিকা’র উপর ইসলাম ছেয়ে যাবে। 
 
(৪৮) শেষ জামানায় একসময় ‘দরিয়ায়ে আটোক ৩ (তিন) বার মানুষের রক্তে লাল হয়ে যাবে’ – মর্মে নেয়ামাতুল্লাহ শাহ ওলী রহ.-এর নামে যে ভবিষ্যদ্বাণীটি পাওয়া যায়, সেটা ১০০% সত্য প্রমাণিত হবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত এই attock (আটোক) নদীটি আমেরিকান সৈন্য, ভারতীয় সৈন্য, আফগান লোকজন, তালেবানদের বেশ কিছু অংশ এবং বিভিন্ন দেশের এজেন্টদের রক্তে লাল হয়ে যাবে ৩ (তিন) বার। 
 
(৪৯) অতীব নিকট বছর গুলির মধ্যে ‘অষ্ট্রেলিয়া’-তে একটি নতুন ‘ইসলামী দেশ’ আত্বপ্রকাশ করবে।
 
(৫০) অচিরেই আমেরিকা’র উপরে বৃষ্টির মতো মিসাইল এসে পড়তে থাকবে -চীন থেকে, রাশিয়া থেকে, ইরান থেকে, আফগানিস্তান থেকে, আরো বিভিন্ন দেশ থেকে। আমেরিকা’র উপরে দুটি শক্তিশালী এটোমিক বোমা (বা হাইড্রোজেন বোমা) এসে আঘাত হানবে, যার একটি আঘাত করবে ‘নিউইয়র্ক’ শহবে। এই দুটির একটি নিক্ষেপ করবে রাশিয়া। আমেরিকা তেহেসনেহেস হয়ে যাবে, খেল খতম হয়ে যাবে চিরতরে; কেয়ামত পর্যন্ত সে আর কখনো ‘মোড়ল আকারে’ মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না।
 
(৫১) আমেরিকাকে ধ্বংষ করার পর  চীন রাশিয়া’র সাথেও যুদ্ধে জড়াবে এবং রাশিয়ার উপরে মিসাইল নিক্ষেপ করবে। এমনকি শেষপর্যন্ত রাশিয়া বাধ্য হয়ে চীনের পা ধরবে। 
 
(৫২) অনতিদূর ভবিষ্যতে একটি অতীব বিরাট বড় আকারের ঢেউ’য়ের সুনামী এসে আছড়ে পড়বে আমেরিকা’র উপরে। এই সুনামী এত ভয়ঙ্কর হবে যে, এত বড় সুনামী আগে কেউ আমেরিকায় হতে দেখেনি। আমেরিকা পানির নিচে ডুবে যাবে, পরে আবার জেগে উঠবে। মানুষ আমেরিকার’য় শুধু ঘুরতে যাবে বেড়াতে যাবে, যেমনটা আজ দুবাইয়ে ঘুরতে যায় বেড়াতে যায়।
 
(৫৩) অতীব নিকট ভবিষ্যতে ‘আমেরিকা’র ক্ষমতার আসনকে একজন দাঁড়িওয়ালা সন্নতী লেবাসওয়ালা মুমিন মুসলমান অলঙ্কৃত করবেন।
 
(৫৪) আগামী ২০২৭ ইং সালের দিকে রাশিয়াকে শাসন করবেন একজন মুসলীম শাসক।
 
Hfvck(৫৫) গত ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ ইং তারিখে ভারতের অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদী ভিএইচপি, বিজেপি এবং শিবসেনা পার্টির সদস্যরা। পরে সেখানে মসজিদের পরিবর্তে একটি বড় মন্দির নির্মানের জন্য বিরাট বাজেটের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনসট্রাকশন প্লান হাতে নেয় হিন্দু সরকার মন্দিরটির একটি মডেলও তৈরী করা হয়েছে। যার । কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত উক্ত স্থানে কোনো মন্দিরের ইমারত নির্মিত হবে না। বরং নিকট ভবিষ্যতে বাবরী মসজিদের জায়গায় নির্মিত হবে একটি খুবই সুন্দর মসজিদ। 
 
(৫৬) আগামী ২০৩৮ ইং সাল হতে পাকিস্তান বিশ্বের সুপার পাওয়ার হিসেবে বিরাজমান হবে। প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত পাকিস্তান পূর্ণ ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা’ অনুযায়ী শাসিত হবে। তখন গোটা হিন্দ অঞ্চল (যার মধ্যে আজকের গোটা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, বার্মা/মায়ানমার, নেপাল প্রভৃতি দেশ) পাকিস্তানের সাথে মিশে এক দেশ অবস্থায় শাসিত হবে। তখন রাজধানী থাকবে ‘ইসলামাবাদ’ এবং শাসক থাকবেন একজন দ্বীনদার আমানতদ্বার লাঠিওয়ালা শাসক, যার চোখগুলো হবে নীল নীল ধরনের, যার ‘হা’-এ বিশ্ব ‘হা’ বলতে বাধ্য হবে এবং যার ‘না’-এ বিশ্ব ‘না’ বলতে বাধ্য থাকবে।
 
(৫৭) একটা সময় আসছে, যখন ভারতে একজন হিন্দু বা কাফেরও থাকবে না, একটা মুর্তীও থাকবে না। গোটা হিন্দ এলাকায় শুধুই মুসলমান আর মুসলমান দেখা যাবে। গোটা চীন ইসলাম কুবল করবে।
 


 
আজ ১৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ থেকে আরো কিছু তথ্য সময়ে সময়ে যোগ করতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ
 
(*) ১৭/১০/২০২২  ইং তারিখে লিখিত: অচিরেই ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে বিশাল আকারের সুনামি/প্লাবন আসবে। [সম্ভবত: বাংলাদেশ বিগত ১০০ বছরের ইতিহাসে এত বিশাল বড় মাপের প্লাবন আগে কখনো ফেস করেনি -এমন বিশাল] পাকিস্তান ও আফগানিস্তানও প্লাবিত হবে।
 
 
 
 
 

61 thoughts on “২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল – পৃথিবীর পট পরিবর্তনের জামানা

  1. প্রথমতঃ আপনার অনুমান ও স্বপ্ন ভিত্তিক আলোচনাটাকে খুবই অপছন্দ করলাম একজন এ্যস্কেটোলজিস্ট হিসেবে। (অনেকগুলো কারণে)

    দ্বিতীয়তঃ দু’একটি পয়েন্ট ব্যাতীত, তাও গলদে পরিপূর্ণ। অভারওল সবগুলি হাদিস এবং ঘটনারগুলির প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করছে।

    ↪আপনি একজন আখিরুজ্জামনের গবেষক। আপনার থেকে এরকম কথাগুলো এক্সপেক্টড ছিলোনা আখিঁ।

    (অনেকদিন আপনার ব্লগে পরিদর্শন করতে পারিনি ব্যাতিগতভাবে শামের ফিতনা নিয়ে বিস্তর গবেষণার জন্য)

    বাট, আপনি যা এখানে লিখেছেন, তা সত্যিই অনুচিত হয়েছে এবং আমাদের গবেষকদের শুধুমাত্র কুরআন ও হাদিসই সম্বল হওয়া উচিত। কারণ কাশফ্ বা স্বপ্ন কখনো দলিলের ভিত্তিপ্রস্থর হতে পারেনা।

    কষ্ট করে পয়েন্ট আকারে লিখেছেন, নেক উদ্দেশ্যের জন্য আল্লাহ নেক হায়াত দিন এবং কঠিন করে বলার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। জাযাকাল্লাহ ্

    1. প্রিয় ভাই,

      (১) আমারও প্রবল ধারনা হল, আমি এগুলো এখানে উল্লেখ করে মনে হয় ঠিক করিনি। এজন্য আপনার অসন্তষ্টির বহি:প্রকাশ স্বাভাবিক ও কাঙ্খিতও বটে। আপনি আমার মুসলিম ভাই হিসেবে আমাকে নেক নিয়তে তাম্বিহ করার কারণে আল্লাহ তাআলা আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে খুশি করুন (আমীীন)।

      (২) আমি দীর্ঘ প্রায় পোনে দুই বছর ধরে আমার পেটে এসব জমিয়ে রেখেছিলাম এবং অতীব নিটকের বিশ্বস্ত ৪/৫ জন ছাড়া তখনো পর্যন্ত কাউকে বলিনি। গত এই পোনে দুই বছরে বহুবার ভেবেছি যে, এগুলো আমার সাইটে প্রকাশ করা ঠিক হবে কিনা; সবসময় দোদুল্যমান ছিলাম। এরপর মুফতি কাজি ইব্রাহিম সাহেব সেই ইটালী’র মামুন মা’রুফ-এর করোনার স্বপ্ন-ভাষ্য ছাড়াও তার এজাতীয় বহু ভিডিও-ক্লিপের কারণে যেভাবে সমালোচিত হয়েছেন, তা তো সকলেরই সামনে রয়েছে; শেষমেস তো মুফতি সাহেববে এসবেরই ক্রমধারায় জেলে ঢুকালো সরকারী প্রশাসন। এজন্য আমিও এতদিন আমার এই পেজের বহু বিষয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থেকেছি।

      (৩) কিন্তু আমি যখন দেখলাম, হাদিসের উল্লেখযোগ্য অনেক বিষয় (যেমন: গাজওয়াতুল হিন্দ ইত্যাদি) এ বছরই শুরু হতে যাচ্ছে (যা আমি নিশ্চিত জানি), অথচ খোদ ‘আখেরী জামানা নিয়ে পড়াশোনাকারী ভাই/বোন’রা পর্যন্ত ধারনা করে আছে যে, এসব আরো বেশ অনেক বছর পর হবে, তখন ভাবলাম, আমাকে যারা বিশ্বাস করে অন্তত: তাদের কাছে কিছু কথা প্রকাশ করা দরকার, যাতে তারা মানসিক ও বাস্তবিক ভাবে অনেক বিষয়ে আগাম প্রস্তুততি নিয়ে রাখতে পারে। আর তাছাড়া আমি যা জানতে পেরেছি, তা সংরক্ষন করে রাখবো কোথায় (না হলে অনেক কিছু ভুলে যেতে পারি) -একথা ভেবেও আমি আমার ওয়েবসাইটকেই এর সংরক্ষনের নিরাপদ স্থান বলে মনে করে এখানেই তা লিখতে শুরু করি। তবে তা পাবলিষ্ট করতেও দোদুল্যমান ছিলাম। অনেক ভাবার পর আর সহ্য করতে না পেরে এই ৯ মার্চ ২০২২ ইং (মোতাবেক ৬ শা’বান ১৪৪৩ হি:) তারিখে পেজটি পাবলিষ্ট করে দেই।

      (৪) আমি এখানে আপনার কমেন্টটিকে আরেকটি কারণে approved করে রেখেছি। সেটা হল, আপনার লিখিত এই কথাটি- “….দ্বিতীয়তঃ দু’একটি পয়েন্ট ব্যাতীত, তাও গলদে পরিপূর্ণ। অভারওল সবগুলি হাদিস এবং ঘটনারগুলির প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করছে”—-আমার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। ঠিক আছে আমরা দু ভাই একটা বেট করি। যদি আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে তো আমি গলত-ই হলাম, আর যদি আমার উপরের কথাগুলো ফলতে থাকে (আর ইনশাআল্লাহ এর সবগুলোই ফলবে)তাহলে আপনি এখানে কমেন্টবকসেই স্বীকার করে নিবেন যে, ‘সহিহ হাদিস তো ঠিকই বলেছে, কিন্তু আমি হাদিস ও ঘটনারগুলির প্রেক্ষাপট বুঝতে ভুল করেছি’।

      (৫) আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, উপরের এই পেজে লিখিত আমার প্রতিটি পয়েন্ট অচিরেই আপনাদের সামনে আসবে, ইনশাআল্লাহ; এর একটিও এদিক-ওদিক হবে না; এখানে যাকিছু লিখেছি, তা এই সারাংশ যা ‘চোখ/দেমাগে ঘটনা আকারে ভেসে উঠেছে’। এসব ভবিষ্যদ্বানী ঘটার যারা তখন বেঁচে থাকবেন, তারা যা দেখার দেখে মিলিয়ে নিয়েন।

      1. ভাই আপনাকে হাজার ছালাম। আমাদেরকে সতর্ক করার জন্য।আপনার এই লিখার সাথে আমার এবং আমার অনেক আল্লাহ ওয়ালা বনধুদের সপ্নের সাথে মিল পাই। আপনার লিখা পড়ার পর আমার আত্তবিশসাস আরও বেড়ে গেল। ভাই আপনার update লেখা দয়া করে বন্ধ করবেন না। গ্রামের একদম সহজ সরল মুমিন মানুষ ও এই ধরনের সপ্ন দেখতেছে। পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ শুধু আপনাকে এই সপ্নগুলু বলব,যদি আপনি সম্মতি দেন।

      2. আচ্ছা ভাই,বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে ইলহামি ভবিষ্যৎ এর তথ্য দিলেন না?যেমন আমাদের দেশের মন্ত্রী কখন ক্ষমতা ছাড়বে?

        1. Omurfaruk ভাই, আপনি কি চান খাশোগজি আঙ্কেল বা অন্তত: কাজি ইব্রাহিম হুজুরের মতো আমার অবস্থা হোক। মোটা দাগে কয়েকটি উল্লেখ করেছি এই পেজে; ওগুলো নিয়েই আপাতত সন্তষ্ট থাকুন।

          1. আসসালামু আলাইকুম, ভাই দুভিক্ষের বিষয়ে কিছু জানা আছে কি?যেমন ভারত তারত এবং আমাদের দেশেও কি দুভিক্ষ দেখা দিবে কি?

      3. আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

        ▪️শামের ফিতনা ও ঘটনাগুলো নিয়ে দীর্ঘসময় গবেষণা করে আসছি আমি। এখান থেকে একটি বিষয় নিশ্চিত দু’চোখে দেখতে পাচ্ছি: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা কি সুকৌশলরূপে পৃথিবীব্যাপী মুসলমানদের নেতৃত্বের জন্য প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করছেন।

        ▪️আমিও আপনার কথার সাথে একমত : আমরা জামানার খুবই নাজুকঁ পরিস্থিতিতে অবস্থান করছি। যেখানে আমাদের ভাইয়েরাই অবুঝ দুনিয়াকে মাথায় স্থান দিয়েছে হয়তো নির্দিষ্ট দল, কিংবা বিশ্বাস কিংবা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ঘনীভূত ফিতনার আবেশে।

        ▪️আমি আপনার সাথে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিংবা দলগত বিভেদ অথবা কাশফ্ বা স্বপ্নের বিশ্বস্ততা নিয়ে কোনো মতবিনিময় করতে ইচ্ছুক নয়। আমি ফিতনা সংক্রান্ত হাদিসের খুবই নগণ্য ছাত্র মাত্র। আমি কথা বলি এবং বলতে পছন্দ করি হাদিসের ভাষায়। এজন্য মতবিনিময়ের জায়গাটিও হাদিসকেন্দ্রিক হতে পছন্দ করবো।

        ▪️আমি বলেছিলাম ‘আপনার উল্লেখিত দু’একটি ব্যাতীত অধিকাংশই হাদিসের প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করে। আপনার এখানেই বোঝা উচিত ছিলো ‘ আমি আপনার কাশফ্ বা স্বপ্নকে হাদিসের সাথে Compare করছি’।

        ▪️আপনার আর্টিকেল’গুলো সময় পেলে মাঝে মাঝে দেখি। আমি কিছু ভুলভ্রান্তি (যেগুলো Major নয়) চোখে বাধঁলেও আপনার লেখনির ক্ষেত্র এবং গবেষণা এবং সৌন্দর্যে বড়ই মুগ্ধ হয়। সেজন্যই প্রথম কমেন্টে বলে ফেলেছিলাম, ” এরপর এক্সপেক্টড ছিলেনা আখিঁ”।

        এবার আসি আপনার কমেন্টর একটা নির্দিষ্ট করে বলা কথা-” হাদিসের উল্লেখযোগ্য অনেক বিষয় (যেমন: গাজওয়াতুল হিন্দ ইত্যাদি) এ বছরই শুরু হতে যাচ্ছে (যা আমি নিশ্চিত জানি) ” ← এই কথাটার বিষয়ে দু’ এক লাইন বলি।

        | প্রথমত ভারতে গণহত্যা হতে পারে ‘-এমন পরিস্থিতির আলামত বর্তমান সময়ে খুবই তীব্র আকৃতিতে প্রাকাশ পাচ্ছে, যে বিষয়টি আপনার ন্যায় আমাকেও উদ্রীব করে তুলছে এবং ভাবতে বাধ্য করছে আল্লাহর ক্রোধ’কে।

        | দ্বিতীয়ত আপনি যখন ভবিষ্যতের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো কথাকে স্পেসিফিক’ভাবে নির্দিষ্ট করছেন; যে বিষয়ে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র পূর্ববর্তী কোনো আলেমই করেননি। সেক্ষেত্রে বলতে বাধ্য হচ্ছি- আপনি সালাফদের আকিদা পরিপন্থী দাবি করেছেন।

        | তৃতীয়ত আপনার দাবিটি সঠিক নয়। কারণ গাজওয়ায়ে হিন্দ মাহদির আবির্ভাবের পূর্বে সংঘটিত হবে এটার কোনো নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই। হ্যঁ, আপনি অবশ্যই বলতে পারেন যে–‘ প্রেক্ষাপটগুলি প্রস্তুত হচ্ছে ‘।

        ” গাজওয়ায়ে হিন্দ অন্তত পক্ষে এখন হবেনা। ” – এটার সপক্ষে আপনার সহিত দীর্ঘ সময়ব্যাপি হাদিসভিত্তিক আলোচনা করতে পারবো।

        ▪️আপনার নেক উদ্দেশ্যকে আমি সম্মান করি। আমি আপনার হাদিসভিত্তিক বিস্তৃত গবেষণার ছাত্র হতে চায়বো। কিন্তু কোনো ধরনের স্বপ্ন, কাশফ্; যাই বলেন-এগুলোকে সমর্থন করবোনা। [আমিও নিজেও বেশি কিছু স্বপ্ন দেখেছি, যেগুলো আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে অনেকবার। কিছু স্বপ্ন আমাকে কিছু সমস্যার সুরোহাও করে দিয়েছ। কিন্তু তবুও সেগুলোকে আকিদায় পরিণত করিনি। বিশেষ করে আপনি যেভাবে দৃঢ়তার সাথে নির্দিষ্ট করছেন ]

        শুকরিয়া আপনাকে, দীর্ঘ মন্তব্যমূলক লেখাটি পড়লেন সেজন্য। জাযাকাল্লাহ খাইর্….

        1. (১) শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর হাদিসে উল্লেখীত ভবিষ্যৎবাণ সমূহের উপরে নিজকে সীমাবদ্ধ রাখা এবং কাশফ/স্বপ্নর উপরে নির্ভর না করার যে পথ আপনি এখতিয়ার করেছেন, নি:সন্দেদেহে এটা সালাফদের পথ এবং এ পথ সর্বাধিক নিরাপদ। দোয়া করি, আপনার ইমান ও আমল উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাক এবং আল্লাহ তাআলা আপনাকে হায়াতে ত্বইয়্যেবায় সমৃদ্ধ করুন। [আমি এজন্য (১) নং পয়েন্টেও স্বীকার করে নিয়েছি যে, “আমারও প্রবল ধারনা হল, আমি এগুলো এখানে উল্লেখ করে মনে হয় ঠিক করিনি”।

          (২) আপনি বলেছেন—“আমি বলেছিলাম ‘আপনার উল্লেখিত দু’একটি ব্যাতীত অধিকাংশই হাদিসের প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করে। আপনার এখানেই বোঝা উচিত ছিলো ‘ আমি আপনার কাশফ্ বা স্বপ্নকে হাদিসের সাথে Compare করছি”।…. জি ভাই, আপনার কথাটি বুঝতে পেরেছিলাম বলেই (৪ নং পয়েনেট) বলেছিলাম—“ ঠিক আছে আমরা দু ভাই একটা বেট করি। যদি আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে তো আমি গলত-ই হলাম, আর যদি আমার উপরের কথাগুলো ফলতে থাকে (আর ইনশাআল্লাহ এর সবগুলোই ফলবে)তাহলে আপনি এখানে কমেন্টবকসেই স্বীকার করে নিবেন যে, ‘সহিহ হাদিস তো ঠিকই বলেছে, কিন্তু আমি (মানে আপনি প্রশ্নকর্তা) হাদিস ও ঘটনারগুলির প্রেক্ষাপট বুঝতে ভুল করেছি”….আমার একথা বলার কারণ এই ছিল যে, নির্ভরযোগ্য ও মকবুল হাদিসগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতে ঘটবে -এরকম ‘মোটা দাগে’ কিছু বিষয়ের ইশারা ইংগীত করা হয়ে থাকে; এই মোটা দাগের ভিতরে আরো কী কী ঘটবে, সেগুলোর দিকে তেমন ইশারা করতে দেখা যায় না। আমি এই পেজে যে সকল বিষয় উল্লেখ করেছি, সেগুলো রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর বলা মোটা দাগের ভিতরে বিদ্যমান এমন কিছু ছোট খাটো ঘটনা যা ইনশাআল্লাহ রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী গুলোর সাথে সাংঘর্ষ বাঁধাবে না। অর্থাৎ, রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী গুলো তো যথাসময়ে যথাযথভাবে ঘটবেই (যার মধ্যে কোনোই সন্দেহ নেই, কারণ সেগুলো আল্লাহ’র পক্ষ থেকে ওহী সুত্রে বর্ণিত), আর আমি যেগুলো বলেছি সেগুলো মূলত: রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী গুলোকে ঠিক রেখেই তার আশপাশ দিয়ে ঘটবে -এমন কিছু ছিটেফোটা ঘটনার সমষ্টি। এজন্যই আপনার মন্তব্য – “আপনার উল্লেখিত দু’একটি ব্যাতীত অধিকাংশই হাদিসের প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করে” -কথাটি অন্তত: আমি গ্রহন করতে পারিনি। আপনি যে বলেছেন “হাদিসের প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করে” -এই প্রেক্ষাপটগুলি আপনি আপনার বুঝ অনুযায়ী একটা analysis কল্পনায় অংকন করেছেন যা আপনার মতে সঠিক, আর আমি এই পেজে যাকিছু বর্ণনা করেছি তা ওইসব বর্ণনা যা নিকট/দূর-ভবিষ্যতে ঘটবে মর্মে সম্পূর্ণ জাগ্রত ও সচেতন অবস্থায় যেন চোখের সামনে বা অন্তরচক্ষুর/মনমস্তিষ্কের মধ্যে ঘটনাচিত্র আকারে সংঘটিত হতে দেখা গেছে/যাচ্ছে যা আমার মতে সঠিক। কাশফ যেমন ওহী নয় তাই ভুলও হতে পারে আবার সঠিকও হতে পারে, তেমনি কোনো analysis-ও ওহী নয় তাই সেটাও যেমন ভুল হতে পারে তেমনি সঠিকও হতে পারে। এজন্যই আমি কিছুটা মজা করে সাথে কিছুটা গুরুত্ব দিয়ে বলেছিলাম–“ঠিক আছে আমরা দু ভাই একটা বেট করি। যদি আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে তো আমি গলত-ই হলাম, আর যদি আমার উপরের কথাগুলো ফলতে থাকে (আর ইনশাআল্লাহ এর সবগুলোই ফলবে)তাহলে আপনি এখানে কমেন্টবকসেই স্বীকার করে নিবেন যে, ‘সহিহ হাদিস তো ঠিকই বলেছে, কিন্তু আমি (মানে আপনি প্রশ্নকর্তা) হাদিস ও ঘটনারগুলির প্রেক্ষাপট বুঝতে ভুল করেছি….”। তবে আমার বিশ্বাস, ইনশাআল্লাহ আপনি (বেঁচে থাকলে) দেখতে পাবেন যে, আমার উপরের কথাগুলো একে একে ফলতে থাকবে, আর আপনার ‘আপনার উল্লেখিত দু’একটি ব্যাতীত অধিকাংশই হাদিসের প্রেক্ষাপটের বিপরীতে অবস্থান করে” কথাটি ভুল প্রমাণিত হতে থাকবে। আমি আশা করি, তখন বুঝতে পারবেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী গুলো তো যথাস্থানে ঠিকই আছে কিন্তু তা থেকে আপনি analysis করে যেধরনের ‘প্রেক্ষাপট’ কল্পনা করে আছেন তা ভুল প্রমাণিত হবে, ইনশাআল্লাহ। আমি শুধু এতটুকুই বুঝাতে চাই। [আপনার জন্য দোয়া রইলো, আমার জন্যও দোয়া করবেন। (আর আপনার দেয়া লিঙ্ক দুটি পেয়েছি, সময়ে সময়ে পড়ছি, অনেক উপকৃত হচ্ছি)]

          বাদবাকি, ভবিষ্যতের কথা শুধু আল্লাহই ভালো জানেন, আর আমি এই পেজে যা কিছু লিখেছি, সেগুলো আমার মতে আল্লাহ’র অনুগ্রহে জানতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমার মনে ‘শক্তিশালী নিশ্চয়তা’ বাসা বাঁধায় আমি এগুলোকে সঠিক মনে করেছি ও আশা রাখি আপনারাও দেখতে পাবেন যে এগুলো ঘটবে, ইনশাআল্লাহ।

          আর আমি যা জানি, তার অনেক কিছুই এই পেজে উল্লেখ করিনি; শুধু মোটা দাগে মোটরে উপরে কিছু কথা উল্লেখ করে দিয়েছি মাত্র। আমি গত ৯ মার্চ ২০২২ ইং (মোতাবেক ৬ শা’বান ১৪৪৩ হি:) তারিখে এই পেজটি পাবলিষ্ট করেছি। এর আগে প্রায় দেড় বছর ধরে এসব ছাড়ার আরো অনেক কিছু আমার জানা থেকে আমি আমার আব্বার কাছেই বেশি শেয়ার করেছি, (সাথে আমার এক চাচা এক ফুফু এবং এক বিশ্বস্ত দ্বীনী ভাইয়ের কাছে শেয়ার করেছিলাম), যার অনেক কিছুই ফলে গেছে। আমি যা জানি তা ‘শক্তিশালী নিশ্চয়তা’ সহকারে জানতাম যে তা ঘটবে এবং বাস্তবেও সেসব ঘটনা ঘটতে দেখেছি বিধায় সাহস করে আমার জানা অনেক কিছু থেকে এই পেজে সামান্য কিছু আপনাদের পাঠকদের সামনে শেয়ার করেছি। উদাহরণ স্বরূপ, যেমন-

          (১) প্রায় জুন বা জুলাই ২০২০ ইং-এর দিকে আব্বাকে বলেছিলাম যে, “খুবই অচিরেই ভারতে এমন একটা বন্যার সয়লাব আসছে, যার পানির পরিমাণ এত বেশি হবে যে, তা ১৯৪৭ সালের পরে এত বড় বন্যা ভারতবাসী আর দেখা দেয়নি”। আলহামদুলিল্লাহ, বন্যাটি ২০২০-এর আগষ্ট মাসেই এসেছিল।

          (২) সম্ভবত: মে/জুন ২০২০ ইং-এর দিকে মিডিয়া থেকে জানতে পারি যে, ভারতের একজন পুরাতন সিনেমা অভিনেতা (নাম ঋষি কাপুর) মাড়া গেছে। তার দু একদিন পরে আমি আব্বাকে বলেছিলাম যে, ২০২০ সালের ভিতরেই এই অভিনেতা সহ ভারতের মোট ৪ জন তারকা/ সিনেমা অভিনেতা মাড়া যাবে (তবে আমি একথা জানতাম না যে, তারা ৪ জন কারা কারা)। পরে আমি আমার জানাটা সঠিক ভাবে ফলার অপেক্ষায় থাকলাম ২০২০ সাল শেষ হওয়া পর্যন্ত। ২০২০ সাল অতিক্রান্ত হবার পর ইন্টারনেটে বেশ সময় ব্যায় করে সার্স করে দেখছিলাম যে, ওই চারজন কে কে হতে পারে? আমি অনেক ঘাটাঘাটি করে ‘২০২০ সালের ভিতরেই ভারতের ৩ জন সিনেমা অভিনেতা মাড়া যাওয়ার কথা নিশ্চিত হতে পেরেছি: (ক) ঋষি কাপুর, (খ) ইরফান খান, (গ) শুশান্ত শিং রাজপুথ। তবে, চতুর্থজন কে হতে পারে, তা আমি আজও নিশ্চিৎ হতে পারিনি, তবে আমার কাছে মনে হয়, চতুর্থজন: সৌমিত্র চ্যাটার্জি নামের এক বাংগালী অভিনেতা হতে পারে (অথবা অন্য কেউ)]।

          (৩) খুব সম্ভবত ডিসেম্বর ২০২০ ইং কিংবা জানুয়ারী ২০২১ ইং-এর দিকে আব্বাকে বলেছিলাম যে, ২০২১ ইং-এর ১৫ই ফেব্রুয়ারী’র মধ্যেই ভারতের দিল্লিতে ভুমিকম্প অনুভূত হবে, তবে খুব (প্রলঙ্কারী ধরনের) বেশি উচ্চ magnitude হবে না। [আলহামদুলিল্লাহ, পরে ২০২১ ইং-এর ১২/১৩ই ফেব্রুয়ারী ভারতে প্রায় 6.1 magnitude ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছিল -দিল্লি সহ। তবে, ইন্টারনেট সার্স করে জানতে পারি যে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তাজাকিস্তান। খবরটা জানতে ( https://www.youtube.com/watch?v=F2LkB5H2DAo এখানে ক্লিক করুন বা https://www.youtube.com/watch?v=JXPv3Diyuy8 এখানে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য, ভূমিকম্পটি ঘটার আগে আমি জানতাম না যে, ভারতের দিল্লি ছাড়া আর কোথাও ভূমিকম্প হবে কিনা]  

          (৪) আব্বাকে আরো বলেছিলাম, চীন ভারতের সীমাভুক্ত বহু কি:মি: দখল করে নিবে এবং চীন থামবে না বরং এক সময় পুরো ‘লাদাখ’ অঞ্চল দখল করে নিবে। [২০২০ সালে যখন একথা আব্বাকে বলেছিলাম, তার কিছুদিন পরেই চীন তার প্রায় ৪ হাজার সৈন্য সমেত গালওয়ান নদী ও উপত্তকা এলাকা দিয়ে ‘লাদাখ’-এর প্রায় ৮ কি:মি: ভিতরে প্রবেশ করে পুরো দখলদারিত্ব বসায় এবং সেখানে বাঙ্কার ও সৈনিক মোর্চা তৈরী সহ ছোট বড় বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র যোগান দেয়া শুরু করে দেয়]।

          (৫) সম্ভবত: এপ্রিল/মে ২০২১-এর প্রথম সপ্তাহের দিকে আব্বাকে আরো বলেছিলাম, ‘ইসরাঈলে মিসাইলের বৃষ্টি ধেঁয়ে আসছে’। পরে ১২ মে ২০২১-এ হামাস শত শত (কোনো কোনো রিপোর্ট মতে হাজার খানেক) মিসাইল দিয়ে হামলা চালায় ইসরাঈলের উপরে, যা আপনারা অনেকেই দেখেছেন। (আব্বাকে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু অবাক করা তথ্য দিয়েছিলাম যা এখানে উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম) [ https://www.youtube.com/watch?v=B6wsujROvXg , https://www.youtube.com/watch?v=ddFLr8XEZOU ]

          (৬) মে ২০২১-এর দিকে বিশ্বস্ত এক দ্বীনী ভাইকে বলেছিলাম, “জুন ২০২১ -এর মধ্যে বাংলাদেশ ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সামনে হঠাৎ মাথা উঠাবে এবং (ভারতের সাথে) একটা বদমাশি করবে, যার কারণে –হাত থেকে যেভাবে হঠাৎ তোতা পাখি উড়ে যায় সেভাবে ভারতের হাত থেকে বাংলাদেশ উড়ে যেতে দেখে ভারত হয়রান হয়ে যাবে যে, ‘হায়রে… বাংলাদেশ দখল করতে চেয়েছিলাম, উল্টো এটা কী হল…”। ‘বদমাশি’ কথাটা আমার পক্ষ থেকে বলেছিলাম, আসলে এর অর্থ অন্যভাবে বলা যায়– ‘একটা ডিপলোমেটিক এন্টি-ভেনাম বুস্টার ডোজ/ধাক্কা’। যে দ্বীনী ভাইটিকে বলেছিলাম, তিনি রাজনৈতিক ও দেশ বিদেশের হালচালের খবরাখবর মোটেও রাখেন না বিধায় আমাকে জুন ২০২১-পর বলেছিলেন ‘কই কিছুই তো ঘটলো না’। অথচ, ভারত ঠিকই উপলব্ধি করেছিল যে, বাংলাদেশ তার হাতের কবজী থেকে বেড়িয়ে চীনের কাছে চলে গেল। (ওই দ্বীনী ভাইকে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু বলেছিলাম যা এখানে উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম)

          এরকম বহু বিষয় আছে, যা আমি আব্বা, চাচা, ফুফু ও ওই দ্বীনী ভাইটিকে বলেছিলাম, যা অলরেডি ঘটে গিয়েছে বা সামনে ঘটাবে (যার অনেকগুলোই বিভিন্ন কারণে এই পেজে উল্লেখ করিনি)। আমার এসব বিষয় যখন ফলতে দেখছিলাম নিজ চোখেই, তখন কিছুটা সাহস করে গত ৯ মার্চ ২০২২ ইং (মোতাবেক ৬ শা’বান ১৪৪৩ হি:) তারিখে এই পেজটি পাবলিষ্ট করে দিই। জানি না, এসব পাবলিষ্ট করে ঠিক করেছি, নাকি ভুল করেছি। আল্লাহই ভালো জানেন। ভবিষ্যতের জ্ঞান শুধু আল্লাহ’রই জানা আছে, তিঁনি কাউকে দয়া ও অনুগ্রহে কিছু জানার সুযোগ করে দিলে কেবল সে ততটুকুই জানতে পারে।

          গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে ফজর নামায পড়ার পর একটু ঘুম লাগায় বিছানায় শুয়ে পড়ি। একসময় স্বপ্নে দেখি, আমি একটি এয়ারপোর্ট ধরনের বিল্ডিং-এর ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে, পাশেই একটি বড় প্লেনের বাম দিকের ডানাটি ওই বিল্ডিং-এর ছাদের সাথে যুক্ত রয়েছে, আর কিছু যুবক বয়সের বা তার চাইতে হালকা বেশি বয়সী কয়েকজন পাকিস্তানি আর্মীকে দেখলাম একে একে নেমে আসছেন, আর বুঝলাম কিছু আর্মী হয়তো প্লেনের ভিতরেই আছেন। (আমার হাতে কিংবা) আমার পাশে দাঁড়ানো এক ব্যাক্তির হাতে একটি নামের লিষ্ট রয়েছে, স্বপ্নের মধ্যে বুঝতে পারলাম যে, লিষ্টটি বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছ থেকে এসেছে। তখন আমি ও আমার পাশে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি প্লেনের শিড়ির সামান্য কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে ওই লিষ্ট অনুযায়ী আর্মী গণনা করছিলাম আর মিলিয়ে দেখছিলাম যে, লিষ্টে বিদ্যমান নামগুলোর মধ্য থেকে কে কে ওই প্লেন থেকে বেরিয়ে আসছে। লিষ্টটি আমার পাশের ব্যাক্তির হাতে ছিল, আর আমি শুধু পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কাজ ও ডাক হাক দেছিলাম শুনছিলাম, বিধায় আমি জানছিলাম না তাতে কার কার নাম রয়েছে। তখন দেখতে পেলাম, কয়েকজন আর্মীর (সম্ভবত: নাম ধরে ধরে) খোঁজ করা হচ্ছে, আর কিছু আর্মী একে একে প্লেন থেকে নেমে আসছেন ও এদিক ওদিকে চলে যাচ্ছেন, যাদের কারোরই মুখের চেহারা ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলাম না। শুধু দেখতে পাচ্ছিলাম যে, যারা প্লেন থেকে নেমে আসছেন তাদের সকলেই পাকিস্তানী আর্মীর ড্রেস পরিহিত পাকিস্তানী আর্মীরাই। এরপর একসময় আমার পাশের লিষ্ট হাতে লোকটি (অথবা তারও পাশে অন্য কেউ হয় তো ছিল, যা এখন মনে পড়ছে না) বলছিল: ‘দেখো তো (আরবীর) আলীফ (অক্ষর) দিয়ে (নাম শুরু -এমন) কে কে আছেন’? এরপর আরো দেখলাম, একজন আর্মী ঠিক আমার তিন-চার হাত দূরে সামনে এসে স্থির ভাবে দাঁড়ালো, যাকে আমার সামনে 3D Enimation-এর মতো করে ঘুরিয়ে দেখানো হল। তখন তার নামও আমার সামনে প্রকাশ করা হল (যা এখন নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না, তবে মাথার মধ্যে ‘আলতাফ’ বা ‘আসিফ’ বা এই জাতীয় কোনো নাম হবে হয় তো, মনে পড়ছে না)। গোটা স্বপ্নে আমাকে শুধু এই আর্মীর চেহারাটাই বিশেষ ভাবে  দেখানো হয়েছে এবং তখন মনে হয়েছে -এই ব্যাক্তি বিশেষ কেউ। এরপর দেখলাম, দুটি ছোট্ট মিছাইল জাতীয় কিছু (যা প্রায় চার-পাঁচ হাত লম্বা হবে, ওর সামনের দিকটায় ছোট্ট প্লেনের মুখের পাখার মতো পাখা ঘুরছিল, ওর পুরোটার রং ছিল মিডিয়াম হালকা কালচা সোনালী/খাঁকী কালারের, পিছনে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছিলো -এমন কিছুকে) ওই ছাদের উপরে থেকে তাদের কেউ ভারতের দিকে ছুড়ে দিলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম: ‘এটা কি হল’? কেউ বললো: ‘ভারতকে জানান দেয়া হল’। এরপর ছাদের উপরে আমার আশে পাশের লোকজন হাত উঠিয়ে উঠিয়ে জোরে জোরে বলছিল ‘গাজওয়াতুল হিন্দ! গাজওয়াতুল হিন্দ’!!!!   

          1. আমি আপনার লেখাগুলো সংরক্ষণের নিয়্যত করেছি। আমি অন্যান্য গবেষকের ন্যায় সত্য থেকে বিমুখ থাকতে অপছন্দ করি, নিজ কল্পনাকে হক ভেবে!

            আপনার বলা কথাগুলো যদি সত্য হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করবো। সত্যকে মেনে নিতে একটুও দীধান্বীতবোধ করবোনা। কারণ পবিত্রতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আমার ধর্ম আমাকে শিক্ষা দেয়না।

            রাশিয়া – ইউক্রেন সম্পর্কে কিছু কথা, চিন – ভারত সম্পর্কে কিছু কথা, আমেরিকা সম্পর্কে কিছু কথাসহ কিছু ভূ-রাজনৈতিক প্রেডিকশন করেছেন; যেগুলো পুরাপুরি ছুলে ফেলার মতো নয়।

            এমনো হয়েছে মিডিয়াতে পাওয়া তথ্যকে অধিক মূল্যায়ন করে তাদেরকে (আই.এস) পথভ্রষ্টতার সামিল বলে অবিহিত ভেবেছি। আপনার মনে আছে কিনা গতবছর যখন কথা বলেছিলাম তখন আমার লেখার মধ্যে কিছু দ্বিধা এবং অসঙ্গতি লক্ষনীয় ছিলো।

            কিন্তু আমি পিছু হাঁটিনি, আমি অটোল ছিলাম! আমি কিতাবের পর কিতাব ঘেঁটেছি ঘটনাগুলোর সুরোহা করতে যেয়ে। আল্লাহর কাছে শুঁকর আদায় করি, তিনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন।

            আমি তাদেরকে উল্লেখযোগ্য হিসেবেও তুলে ধরছিনা। কিন্তু তাদের প্রতি আশা রাখাবার জায়গাটা খুঁজে পেয়েছি। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,

            ” যারা মনে করেন- এই একবিংশ শতাব্দী মুসলমানদের উত্থানের শতাব্দী, এই একবিংশ শতাব্দী মাহদির শতাব্দী। — তাদের অনেক চিন্তা এবং চেতনাতে পরিবর্তন আনতে হতে পারে, যা তাঁরা কল্পনাও করেনা। ”

            আমি শিয়াদেরকে সর্বোপরি পছন্দ করিনা। কিন্তু যারা অজ্ঞতা বসতো এসবে লিপ্ত তাদের ব্যাপারে ভিন্ন।

            আমি কখনো এটাও কল্পনা করিনা ‘ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র অনুসারীদের রক্তে রাঙিত এই হাতগুলো ইসলামের কল্যান করবে। ‘

            এবার আমি আপনাকে কিছু কথা বলি।

            ▪️আমাকে যখন কেউ শেষ জামানর ঘটনাগুলো এভাবে বলে, ” মুসলিমরা মার খাবে, মালহামা বাধঁবে , যেখানে ৮০ টি পতাকা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সমাবেত হবে, মাহদি মক্কায় আবির্ভূত হবে, এবং সিরিয়া থেকে আগত বাহিনী ধ্বসে যাবে, তিনি মালহামায় নেতৃত্ব দিবেন, পেছনের শত্রুর সাথে যুদ্ধ হবে রোমানদের সাথে এক্যবদ্ধ হয়ে, পরে তাদের সাথেই যুদ্ধ বাধঁবে এবং যেখানে প্রথম অংশ পালাবে, দ্বিতীয় অংশ ব্যপক হত্যার সম্মূখীন হবে শেষ অংশে আল্লাহ বিজয় দিবেন। যুদ্ধের শেষের দিকে কুস্তুনতুনিয়া বিজয়ের পর দাজ্জাল বেরোনোর মিথ্যা খবর বের হবে, পরে সত্যিই বের হবে। তার প্রথম দিন এতদিন, দ্বিতীয় দিন এতদিন এভাবে………, ঈসা (আঃ) দামেস্কের মসজিদে নামবেন, তাকে দেখে মাহদি বলবে আসুন ইমামতি করুন, তিনি তাকেই ইমামমতি করতে বলবেন, বাঁবে লুতের নিকটবর্তী জায়গায় দাজ্জালকে হত্যা করবেন, মাহদি মারা যাবে, ঈসা( আঃ) বিশ্ব শাষণ করবেন, কিছুদিন পর ইয়াজুজ-মাজুজ আসবে। পৃথিবী পানি শেষ করে ফেলবে। মুসলিমরা তুঁর পাহাড়ে আশ্রয় নেবে। ঈসা(আঃ) একটা সময় দেয়া করবেন, আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন রোগ দিয়ে। এরপর একটা সময় ঈসা (আঃ) ও মারা যাবে। …………. আরো ইত্যাদি ইত্যাদি। ”

            আমার কাছে এগুলো এক কথায় রুপকথার গল্পের মতো লাগতো যখন ছোট বেলায় শুনতাম।

            ▪️প্রতমত একটা বিষয় বোঝুন, কোনো ঘটনা হুট করে ঘটে না; বিশেষ করে যেগুলোতে মানুষের মধ্যতা বিশেষভাবে প্রয়োজন। অতএব, তার জন্য প্রয়োজন উপর্যুক্ত প্রেক্ষাপটের।

            ▪️যারা বলে তালেবান সেই দল, তাদের সহজ অর্থে বলবো, অজ্ঞতা বসত: কথা বলছে।

            ▪️আমি মনে করি মাহদির মৃত্যুর বেশ অনেক সময় পরে ঈসা(আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। অর্থাৎ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কিংবা মাহদির সময়েও ইস্তাম্বুল রোমানদের হস্তগত হবেনা।

            ▪️তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মালহামাতুল কুবরা নয়। যেটাকে আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

            ▪️মাহদির পরেও বেশ অনেক শাষক শাষণ পরিচালনা করবেন। কিছু কুরাইশের, কিছু ইয়ামানের, কিছু মুজার গোত্রের ইত্যাদি।

            ▪️গাজওয়াহে হিন্দ হবে ঈসা (আঃ) পূর্বে। সংক্ষিপ্ত আকারে মাহদির মৃত্যুর বেশ পরে। আর আপনার কথা যদি মেনেও নিয় যে, ২৩ অথবা ২৪ এই হবে।

            আচ্ছা, তাহলে ভারত দখল করতে কি ‘নাফতালি বেনেট’ – বাহিনী পাঠাবে? কারণ তিনি তো এখনো বাইতুল মোকাদ্দাসের শাষক?

            আমি আমার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য এগুলোতে মনোযোগী হতে পারছিনা। দ্বিতীয়ত: এসকল বিষয়গুলোতে আপাতত ইতি টেনেছি।

            তারপরও ইচ্ছে রয়েছে, আপনার লেখাগুলোর বিপরীত অবস্থানটা আপনাকে রেফারেন্স ও যৌক্তিকতা সহ তুলে ধরার ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন, জাযাকাল্লাহ্!

          2. ওহ…আচ্ছা! এবারে কিছুটা বুঝতে পারছি, আপনি কেনো বলেছিলেন যে, আমার এই পেজে উল্লেখীত প্রেডিকশনগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবই (আপনার মতে) হাদিস বিরোধী।

            (১) আপনি বলেছেন—“আমি মনে করি মাহদির মৃত্যুর বেশ অনেক সময় পরে ঈসা(আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। অর্থাৎ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কিংবা মাহদির সময়েও ইস্তাম্বুল রোমানদের হস্তগত হবেনা”। একথার অর্থ হল, আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, ইমাম মাহদি মাড়া যাওয়ার পর মুসলমানদের অন্য কোনো আমীর হবেন যার সময়ে ইস্তাম্বুল বিজীত হবে, দাজ্জাল বের হবে এবং পরে ঈসা আ. আকাশ থেকে অবতরন করে সেই আমীরকে নামাযের ইমামতী করতে বলবেন !!! এটা আপনার কল্পনা মাত্র (সম্ভবত আপনি তথাকথিত Islamic eschatology বিষয়ক আলোচক ইমরান আব্দুল করিম হোসাইন সাহেবের কুরআন ও হাদিস বোঝার তার নব-উদ্ভাবিত methodology ও চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এরকম একক আলাদা মতের দিকে গেছেন)। অন্যথায়, নির্ভরযোগ্য হাদিসগুলো একত্রিত করলে মুহাদ্দেস ও মুহাক্কেক আলেমগণের মতটিই সহিহ বলে প্রমাণিত হয়, তথা উনি ইমাম মাহদীই হবেন, যার সময়ে একদিকে গাজওয়াতুল হিন্দ চলতে থাকবে, অন্যদিকে তার দ্বারা ইস্তাম্বুল বিজীত হবে, তার সময়েই দাজ্জাল বের হবে এবং পরে ঈসা আ. আকাশ থেকে অবতরন করে মুসলমানদের আমীর ইমাম মাহদীকেই নামাযের ইমামতী করতে বলবেন। আমি এখানে নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত মাত্র একটি হাদিস দলিল হিসেবে পেশ করছি আপনার জন্য (যা আমি ইমাম মাহদী বিষয়ক ভবিষ্যৎবাণীতে উল্লেখ করেছি)। ইমাম হারিছ বিন মুহাম্মাদ আবি উসামা আল-বাগদাদী (মৃ: ২২৮ হি:) রহ. তাঁর ‘মুসনাদ’-এ যাবির রা.-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- ينزل عيسى بن مريم ، فيقول أميرهم المهدي : تعال صل بنا ، فيقول : لا إن بعضهم أمير بعض ، تكرمة الله لهذه الأمة . أخرجه الحارث بن أبي أسامة في مسنده و قال ابن القيم في المنار المنيف في الصحيح و الضعيف: ص ١٤٧ : و هذا إسناد جيد; و أقره الشيخ العباد في رسالته في ” المهدي ” المنشورة في العدد الأول من السنة الثانية عشرة من مجلة ” الجامعة الإسلامية: ص ٣٠٤; و صححه الألباني في ” السلسلة الصحيحة: رقم ٢٢٣٦ – ‘ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরন করবেন। তখন তাদের আমীর আল-মাহদী (তাঁকে) বলবেন: (হে ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. !) আসুন, (ইমাম হয়ে) আমাদেরকে নামায পড়ান। তখন তিনি বলবেন: না, নিশ্চই তাদেরই কেউ তাদের কতকের উপর আমীর হবে। এটা এই উম্মাতের জন্য আল্লাহর (দেয়া) সম্মান’। [মুসনাদে হারেছ: সহিহাহ, আলবানী-৫/২৭৬ হাদিস ২২৩৬] এই হাদিসে فيقول أميرهم المهدي – ‘তাদের আমীর আল-মাহদী (তাঁকে) বলবেন’ -একথাটি উক্ত আমীর -ইমাম মাহদী হওয়ার ব্যাপারে শক্তিশালী প্রমাণ।

            আমার মনে হয়, আপনি এবারে বুঝতে পারছেন যে, কুরআন ও হাদিস সকল মুসলমানেরই ইলম ও আহকামের নির্ভরযোগ্য উৎসমূল, কিন্তু কুরআন ও হাদিস থেকে নেয়া একজনের বুঝটা হতে পারে সহিহ পথের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আবার আরেকজনের বুঝটা হতে পারে সহিহ পথ মনে করা সত্ত্বেও বাস্তবে কল্পনা মাত্র। আমার ধারনা, গাজওয়ায়ে হিন্দ, মালহামাতুল কুবরা, ইমাম মাহদী, দাজ্জাল ও ঈসা আ.-এর আগমন ও এসবের আশ পাশদিয়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটার যে পর্যায়ক্রমকে আপনি এতদিন (আপনার গবেষনামতে) কল্পনায় সাজিয়ে রেখেছিলেন, সেই ইমারতটি উপরের এই একটি মাত্র হাদিসের শেল এসে ধ্বসিয়ে দিয়ে গেল। আশা করি, আপনি কুরআন ও হাদিসের উপরে আরো গবেষনা করে আপনার ‘আখেরী জামানা’র ধারনাকে reshuffle করে নতুন ইমারত তৈরী করতে সচেষ্ট হবেন।

            (২) আপনি বলেছেন—“যারা বলে তালেবান সেই দল, তাদের সহজ অর্থে বলবো, অজ্ঞতা বসত: কথা বলছে”। ভাই, আর তালেবান বলতে মূলত: সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে জিহাদের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে যারা আগানিস্তানে এসে একগোট হয়ে জিহাদে শরীক হয়েছিলেন তাদের সকলকেই বোঝানো হয়ে থাকে। এজন্য যারা আফগানিস্তানের নাগরিক তালেবান তাদেরকে আফগান তোলেবান বলে। এমনি ভাবে গোটা পৃথিবীবিতেই রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তালেবানরা যারা সোভিয়েত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, এমনকি বাংলাদেশেরও প্রায় ২ হাজারের মতো মুজাহিদ অোফগান তালেবানদের সাথে মিলে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন যাদেরকে অনেকে বাংগালী তালেবানও বলে থাকে। কত তালেবান সদস্য ইতিপূর্বে শহিদ হয়েছেন, আর কত নতুন নতুন যোগ দিচ্ছেন -তার হিসেব কে রাখে! আর বর্তমানে আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রায় ২০০-এর মতো গ্রুপ আছে। এই ২০০ গ্রুপের মধ্যে একেবারে তালেবানের বাহ্যিক সুরতে বহুল পরিমানে ঢুকে আছে কুফফারদের বহু এজেন্টরাও (ভাই, এদের বহ সংখ্যক লোকের ঘারের কাছে সিআইএ, র’, মোসাদ, এমআইএস গোয়েন্দাদের নাম লেখা অবস্থায় চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল, এরা তালেবান ও পাকিস্তানের মাঝে গৃহযুদ্ধ লাগানো ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরীর সুযোগে আছে, সামনে পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ লাগবেও দেখবেন)। আমি এই পেজে একস্থানে বলেছি—-“অচিরেই আফগানিস্তান দু’টুকরো হয়ে যাবে, যার এক টুকরোর নাম হবে ‘খুরাসান’। এই খুরাসান থেকেই কালো পতাকা ও কালো পাগরিধারী মর্দে মুজাহিদ বাহিনী ইসলামের সাহায্যার্থে আত্বপ্রকাশ করবে”। এখানে মোটা দাগে এতটুকুই বলেছি মাত্র, অনেক কথাই আমি বলিনি এখানে। (যেমন, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার আর কিছু কাল পরেই অন্য দেশকে ঋন দেয়ার মতো শক্তিশালী অর্থনীতির মালিক হয়ে যাবে এবং ঋন দেবেও)। এই খুরাসান-এর কালো পাগরীধারীদের মাঝে আফগান তালেবানরাও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ভাই, আফগানিস্তানে মুজাহিদ এই তালেবনরাই, তাদের মধ্যে যারা পথভ্রষ্ঠ হওয়ার হবে, আর বাদবাকিরা ইনশাআল্লাহ ইমাম মাহদির সঙ্গি হবেন (আমাদের মতো যারা ঘরের কোণে আরাম আয়েশে জীবন কাটাই এবং আরামে খাই ও গুমাই, রাইফেল ও মিসাইল ফায়ার করতেও জানিনা তারা কোন দু:খে জিহাদে শরিক হতে যাবে, যখন জিহাদের সময় আসবে তখনও অযুহাত খাড়া করে জিহাদে যাওয়া থেকে নিজকে বিরত রাখবে)।

            আপনাকে এখানে একজন ইহুদী গবেষক Simcha Jacobovici -এর একটি ডকুমেন্টারী দিচ্ছি: Quest for the Lost (10) Tribes of Israel – Documentary [Full] ( https://www.youtube.com/watch?v=PhB16xVTlbQ ) এই ডকুমেন্টারী প্রমাণ করে আফগানিস্তানের বিশেষ করে পসতুন’রা বনী-ইসরাঈল বংশদ্ভুত যাদের বেশিরভাগই পরে ইসলাম গ্রহন করে, এমনিভাবে ভারত সহ বিভিন্ন স্থানেও বনী-ইসরাঈল রয়েছে। আর আমরা জানি ‘ইসরাঈল’ হলে নবী ইয়াকুব আ. (নবী ইসহাক আ.-এর পুত্র বা নবী ইব্রাহিম আ.-এর নাতী)। অন্য কথায়, বনী-ইসরাঈল কে বনী-ইসহাক’ও বলা যায়। এবারে একটি হাদিস দেখুন। হযরত আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন- سَمِعْتُمْ بِمَدِينَةٍ جَانِبٌ مِنْهَا فِي الْبَرِّ وَجَانِبٌ مِنْهَا فِي الْبَحْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَغْزُوَهَا سَبْعُونَ أَلْفًا مِنْ بَنِي إِسْحَاقَ فَإِذَا جَاءُوهَا نَزَلُوا فَلَمْ يُقَاتِلُوا بِسِلاَحٍ وَلَمْ يَرْمُوا بِسَهْمٍ قَالُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيَسْقُطُ أَحَدُ جَانِبَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثَوْرٌ لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ ‏”‏ الَّذِي فِي الْبَحْرِ ثُمَّ يَقُولُوا الثَّانِيَةَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيَسْقُطُ جَانِبُهَا الآخَرُ ثُمَّ يَقُولُوا الثَّالِثَةَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ‏.‏ فَيُفَرَّجُ لَهُمْ فَيَدْخُلُوهَا فَيَغْنَمُوا فَبَيْنَمَا هُمْ يَقْتَسِمُونَ الْمَغَانِمَ إِذْ جَاءَهُمُ الصَّرِيخُ فَقَالَ إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَرَجَ ‏.‏ فَيَتْرُكُونَ كُلَّ شَىْءٍ وَيَرْجِعُونَ – ‘তোমরা (হয়তো) এমন শহরের কথা শুনেছো, যার একটি দিক স্থলে অবস্থিত এবং আরেকটি দিক সমূদ্রে অবস্থিত? লোকেরা বললো: হ্যা, ইয়া রাসুলাল্লাহ, (শুনেছি)। রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করলেন- কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যাবৎ বনু-ইসহাক-এর সত্তর হাজার লোক তা আক্রমন না করে। তাঁরা সেখানে এসে অবতরন করার পর না কোনো অস্ত্রের সাহায্যে যুদ্ধ করবে, আর না কোনো তীর নিক্ষেপ করবে। তাঁরা বলবে: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’ , এতেই তার একটা দিক ধ্বসে পড়বে। ছাওর বলেন: আমি শুধু এতটুকু জানি যে, তিনি বলেছেন- الَّذِي فِي الْبَحْرِ (যে দিকটি সমূদ্রে অবস্থিত)। এরপর তাঁরা দ্বিতীয়বার বলবে: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’, তাতে অপর দিকটি ধ্বসে পড়বে। এরপর তাঁরা তৃতীয়বার বলবে: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’, এতে তাদের জন্য (গেট) খুলে যাবে এবং তারা সেখানে প্রবেশ করে গণীমত লাভ করবে। তারা যখন নিজেদের মধ্যে গণীমত বন্টন করতে থাকবে এমন সময় একটি বিকট আওয়াজ আসবে; বলবে- إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَرَجَ (নিশ্চই দাজ্জাল বের হয়ে গেছে)। তখন তাঁরা (গণীমতের) সবকিছু রেখে দিয়ে (ঘটনা নিরিক্ষনের উদ্দেশ্যে) পুণরায় বেরিয়ে পড়বে। [সহীহ মুসলীম ২৯২০] এই হাদিসে বনু-ইসহাক-এর সত্তর হাজার লোক বলতে বনু-ইসরাঈলই ইদ্দেশ্য। হাদিসের অনেক ব্যাখ্যাকার বলেছেন যে, হয়তো তখন ৭০ হাজার বনী ইসরাঈল ইসলাম কবুল করবে যাদের সাথে উপরের হাদিসটির ঘটনা ঘটবে। হ্যাঁ, তেমনটাও হতে পারে। আর আজ তো আমরা দেখছি, আফগানিস্তনের বনু-ইসরাঈলদের অগণিত লোক মুসলমান হয়ে আছে, যাদের মধ্যে অগণিত বর্তমান তালেবানরাও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, যারা সোভিয়েতের সাথে লড়েছে, আজও পশ্চিমাদের সাথে লড়ে যাচ্ছে। আর পসতুনরা যোদ্ধা জাতি, ইমাম মাহদি আসলে তাদের মধ্যে যারা আজও যুদ্ধে জড়ায়নি তারা কি বসে থাকবে, আর তাদের মধ্যে তালেবানদের বড় একটি জামাআত তো যুদ্ধে আগ থেকেই শরিক আছে?! এছাড়াও ফিলিস্তিন, গাজা, ইয়ামেন ও আফ্রিকার বহু স্থানে বনু-ইসরাঈলদের বাস, যাদের অগণিত মুসলীম হয়েছে। আর Simcha Jacobovici -এর এই ডকুমেন্টারীটিতে দেখেছেন যে, তাদের বর্তমান ত্বরাহ (Old Testament)-এ বলা হয়েছে যে, তাদের মাসিহাহ (ঈসা আ.)-এর সৈনিক হবে আফগানিস্তান থেকেই। এবার আপনিই বলুন।

            আরো কিছু কথা পরে সময় পেলে যোগ করবো ইনশাআল্লাহ

      4. ইমরান তো গদি থেকে নেমে গেল। আপনার ভবিষ্যত বাণী ভুল

        1. ভাই, আপনি বলছেন- “ইমরান তো গদি থেকে নেমে গেল। আপনার ভবিষ্যত বাণী ভুল” !!! আমি যারপর নাই বিস্মীত হয়েছি আপনার একথায়। আপনি আমার লিখিত পয়েন্টগুলো মনে হয় মাত্র ১বার ভাসাভাসা ভাবে পড়েছেন; ভালো করে পড়েন নি। আমি সেখানে স্পষ্ট করে লিখেছি—-“(*) পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তার আগেই (২০২২ ইং সালের মধ্যেই) সে ক্ষমতা হারাবে, এমনকি তার দলও থাকবে না। এর কিছু কাল (প্রায় ৩/৪ মাস) অতিবাহিত হবার পর ইমরান খান আবার ক্ষমতায় আসবে। ইমরান খান-এর হাত ধরেই পাকিস্তানের সাহায্যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে”। এরপর আবার লাল কালারে টাইপ করে লিখেছি—“[[আলহামদুলিল্লাহ, যেমনটা বলেছিলাম, ইমরান খান তার সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তেমনটাই হল এপ্রিল ২০২২-এর মধ্যেই। ইনশাআল্লাহ ইমরান খান আবার ক্ষমতায় আসার কথাও ফলবে; গোটা আমেরিকা ইউরোপ ইসরাঈল ও ভারত মিলেও যদি একসাথে জোর লাগায় তবুও ইমরান খানের পূণরায় ক্ষমতায় আসাকে রুখতে সমর্থ হবে না। আল্লাহ তাআলা অনেক বড় বড় কাজ নিবেন ইমরান খানের হাত দিয়ে। (লিখছি ৫ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে)]]” ………….. ‘২০২২ ইং সালের মধ্যেই ইমরানখান ক্ষমতা হারাবে’ কথাটি থাকার পরও বলছেন ‘ইমরান তো গদি থেকে নেমে গেল। আপনার ভবিষ্যত বাণী ভুল’!!!

      5. আপনি নিশ্চিতকরে কিভাবে বলছেন যে, এগুলো অবশ্যই ঘটবে??? বিষয়টা আহির পর্যায়ে নিয়ে গেলেন না? ( নাউযুবিল্লাহ) এগুলো নিছক আপনার কল্পচিন্তা , এ বিষয়ে ঘাঁটার কারণে মনের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে।

        1. যে কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শুধু আল্লাহ তাআলারই ইলম আছে, কারণ একমাত্র শুধু তিঁনিই সকল কিছুর স্রষ্টা ও প্রতিপালক এবং তাঁর যে কোনো সৃষ্টির অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিঁনি পরিপূর্ণ অবগত। আর আমি আমার এই লেখার শুরুতে পরিষ্কারভাবে বলেছি -আল্লাহ’র তরফ থেকে নবীগণের উপরে আগত ওহী কী, আর সাধারণ মানুষের ‘কাশফ’ কী (পড়ে দেখুন)।

          আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাঁর অনুগত সম্মানীত সত্যবাদী ফিরিশতা হযরত জিবরীল আ.-এর মাধ্যমে পবিত্র ও সত্যবাদী নবীগণের উপরে ওহী আসে বিধায়, ওহীর সাথে কোনো অপবিত্রতা ও মিথ্যা যুক্ত হতে পারে না। এজন্য নবীগণ ওহীর মাধ্যমে জানা যেসকল ভব্যিৎবাণী বণনা করে যান, তা ১০০% সংঘটিত হবেই হবে।

          কিন্তু এতটুকু তো আপনি অবশ্যই মানতে বাধ্য যে, ‘ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শুধু আল্লাহ তাআলাই জানেন’ -একথার অর্থ হল ‘যতক্ষন না তিঁনি তাঁর সৃষ্টি অন্য কাউকে সেই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে না জানান’। কারণ, যখন আল্লাহ তাআলা কাউকে কোনো বিষয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু জানালেন, তখন তো যাকে জানালেন সেও সে বিষয়টি জেনে ফেললো। যেমন: ঈসা আ. পূণরায় দ্বিতীয় বারের মতো আসমান থেকে পৃথিবীতে আগমন করবেন মর্মে কোনো কথা যদি খোদ আল্লাহ তাআলা কাউকেই না জানাতেন, আর এদিকে ঈসা আ. সময় মতো দুনিয়াতে দ্বিতীয় বারের মতো চলে আসতেন, তাহলে একথা তো বলা তো সহিহ হত যে, ‘ভবিষ্যতে ঈসা আ.-এর পূণরায় দ্বিতীয় বারের মতো আসমান থেকে পৃথিবীতে আগমনের কথা’ শুধু আল্লাহ তাআলাই ইলমে ছিল। কিন্তু খোদ আল্লাহ তাআলাই যখন এ কথাটি তাঁর নবী সা.-কে জানিয়েছেন, এরপর নবীজির কোটি কোটি উম্মত জানতে পেরেছে, তখন ‘ঈদা আ.-এর দ্বিতীয়বার আগমনের ভবিষ্যৎবাণীর ইলম’ শুধু আল্লাহ তাআলাই নন, তিঁনি তাঁর বান্দাদেরকেও জানিয়েছেন।

          একই ভাবে প্রাণীর জন্ম মৃত্যু রিজিক কিংবা যে কোনো বিষয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। অর্থাৎ, ‘এসব বিষয় সম্পর্কে শুধু আল্লাহ তাআলাই জানেন’ -একথার অর্থ হল ‘যতক্ষন না তিঁনি তাঁর সৃষ্টি অন্য কাউকে সেই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে না জানান’। অন্যথায়, নিচের আয়াতে কারিমা দুটি ও আনুসঙ্গিক হাদিসগুলির কী ব্যাখ্যা দিবেন?

          যেমন, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন – إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ – “নিশ্চই কিয়ামত (কবে হবে তার) জ্ঞান -সেটা তো শুধু আল্লাহ’রই কাছে রয়েছে। আর তিঁনি (আকাশ থেকে) বর্ষন করেন বৃষ্টি, আর তিঁনি জানেন মাতৃগর্ভে কী আছে, আর কোনো জীব জানেন না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে, আর কোনো জীব জানেন না কোন ভূমিতে সে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চই আল্লাহ (তাআলা) সবকিছু জাননেওয়ালা (সবকিছুর) খবর-রাখনেওয়ালা”। [সুরা লুকমান : ৩৪] আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন – وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ – “আর যাবতীয় গায়েব (অদৃশ্য বিষয়)-এর চাবি সমূহ -তা তো শুধু তাঁরই কাছে রয়েছে, যা তিঁনি ছাড়া অন্য আর কেউ জানে না। আর স্থলভাগে ও জলভাগে কী রয়েছে -তা তিঁনি জানেন। আর (কোনো বৃক্ষ থেকে এমন) একটি পাতাও পতিত হয় না, আর জমিনের অন্ধকার স্থান সমূহে এমন একটি শস্য-কণাও নেই, যে সম্পর্কে তাঁর জানা না রয়েছে। না আদ্র (কোনো কিছু) আর না শুষ্ক (কোনো কিছু) – (এমন কোনো কিছুই বাকি নেই যা) কিতাবে মুবিনের মধ্যে (লিপিবদ্ধ করা) নেই”। [সুরা আনআম : ৫৯]

          আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহবলেছেন  مِفْتَاحُ الغَيْبِ خَمْسٌ لا يَعْلَمُهَا إلَّا اللَّهُ: لا يَعْلَمُ أَحَدٌ ما يَكونُ في غَدٍ، ولَا يَعْلَمُ أَحَدٌ ما يَكونُ في الأرْحَامِ، ولَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا، وما تَدْرِي نَفْسٌ بأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ، وما يَدْرِي أَحَدٌ مَتَى يَجِيءُ المَطَرُ. رواه البخاري , كتاب الإستسقاء – “গায়েব (অদৃশ্য বিষয়)-এর চাবী পাঁচটি, যা আল্লাহ (তাআলা) ছাড়া আর কেউ জানেন না। কেউ জানে না -আগামীকাল কী হবে, কেউ জানে না মাতৃগর্ভে কী আছে, কোনো জীব জানে না আগামীকাল কী অর্জিত/নসিব হবে, কোনো জীব জানে না কোন ভূমিতে সে মৃত্যুবরণ করবে, কেউ জানে না কখন বৃষ্টি বর্ষিত হবে”। [সহিহ বুখারী- ২/৫২৪ হাদিস ১০৩৯]

          উপরের এই জাতীয় আয়াতে কারিমা সমূহ ও হাদিস থেকে একথা পরিষ্কার প্রমাণিত হয় যে, এই পাঁচটি বিষয়ের জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলা’র কাছে রয়েছে, তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। কিন্তু আজ ২০২২ ইং সালে এসে তো আমরা বিজ্ঞানের কল্যানে  দেখতে পাচ্ছি যে, মাতৃগর্ভ থেকে বাচ্চা প্রসবের বেশ কয়েক মাস আগেই ডাক্তার অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনে ফেলছেন যে, মাতৃগর্ভের শিশুটি ছেলে, নাকি মেয়ে সন্তান। এখন উপরের আয়াত ও হাদিসের ব্যাখ্যা এছাড়া আর কী হতে পারে যে, ‘মাতৃগর্ভে কী আছে -এ বিষয়টি সম্পর্কে শুধু আল্লাহ তাআলাই জানেন’ -একথার অর্থ হল ‘যতক্ষন না খোদ আল্লাহই তাঁর সৃষ্ট বান্দা কোনো ডাক্তারকে মাতৃগর্ভের কিছু বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করার তৌফিক না দেন”। আর আজ সেই তৌফিকটি হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে, আর এসব আবিষ্কারও হচ্ছে মানুষকে খোদ আল্লাহ’র দেয়া জ্ঞান বিজ্ঞানের কারণে।

          এ থেকে এও প্রমাণিত হয় যে, কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের একমাত্র পথ কেবল ‘জিবরিল আ.-এর মাধ্যমে আনিত ওহী নয়’। ডাক্তার সাহেবরা তো ওহীর জ্ঞান ছাড়াই প্রতিদিন নিছক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে শত শত নারীর গর্ভ টেষ্ট করে এই ভবিষ্যৎবাণী লিখে সিল-সাইন মেরে দিয়ে বলছেন যে, ‘মাতৃগর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে’ বা ‘মাতৃগর্ভে মেয়ে সন্তান রয়েছে’। এজন্য আমার উপরে আপনার এই অভিযোগ করা যে- “বিষয়টা আহির পর্যায়ে নিয়ে গেলেন না? -নাউযুবিল্লাহ” -এ দ্বারা বোঝা যায় আপনার মতে, কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার একমাত্র পথ হল ‘শুধুমাত্র ওহী’। অথচ জিবরিল আ.-এর মাধ্যমে আগত ওহীর সম্পর্ক শুধুমাত্র নবীগণের সাথে খাস।

          আর নবীগণ বাদে বাদবাকি মুমিনগণের মধ্যে অনেককে আল্লাহ তাআলা চাইলে স্বপ্নের মাধ্যমেও কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান দিতে পারেন। যেমন, আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন- إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ تَكْذِبُ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنْ النُّبُوَّةِ . رواه بخاري في صحيحه , كتاب التعبير , باب القيد في المنام : رقم ٧٠١٧ و ، ومسلم في صحيحه : رقم ٢٢٦٣ – “যখন (কেয়ামতের নিকটবর্তী) জামানা ঘনিয়ে আসবে, (সেই আখেরী জামানায়) মুমিনের স্বপ্ন কদাচই মিথ্যা হবে। আর মুমিনের স্বপ্ন (একজন নবী’র) নবুওতের (মর্তবাস্তরে দেখা স্বপ্নের) ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ (পরিমাণ সত্যতা রাখে)”। [সহিহ বুখারী, হাদিস ৭০১৭; সহিহ মুসলীম, হাদিস ২২৬৩]

          আর বিশিষ্ট মর্তবার মুমিনগণের মধ্যে অনেককে আল্লাহ তাআলা চাইলে একেবারে সরাসরি কাশফ (দিব্যদর্শন)/ইলহাম (দিব্যজ্ঞান)-এর মাধ্যমেও কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান দিতে পারেন। ওহীর পথ ছাড়া শুধু ইলহামের মাধ্যমে ভবিষ্যৎবানী জানতে পারার প্রমাণ খোদ কুরআনেও আছে। যেমন, (১) সুরা কাসাসের ৭ নং আয়াত ও সুরা তোয়াহা ৩৮, ৩৯ নং আয়াতে আছে, নবী মুসা আ.-এর মা’র কাছে সন্তান মুসাকে পূণরায় ফিরিয়ে দেয়ার ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল, আর মুসা আ.-এর মা কোনো নবী ছিলেন না যে তার কাছে ওহী আসবে, এ ভবিষ্যৎবানী ইলহামের মাধ্যমেই করা হয়েছিল। (২) সুরা কাহাফ এবং সহিহ বুখারীতে আল্লাহ’র এক বিশেষ নৈকট্যপ্রাপ্ত ব্যাক্তিত্ব খিজির রা.-এর কথা এসেছে, যিনি নবী মুসা আ.-এর জামানা ও সাক্ষাত পেয়েছিলেন। তার ব্যাপারে জমহুর আলেমগণের মত হল তিনি কোনো নবী ছিলেন না, বরং আল্লাহ’র একজন বিশিষ্ট মুমিন ওলী ছিলেন। কুরআনের আয়াত ও বুখারী সহ অন্যান্য নির্ভরযোগ্য হাদিসগুলো পড়ে দেখুন, খিজির আ.-এর কাছে এমন ধরনের ইলম ছিল যা দ্বারা তিনি অনেক বিষয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতেন এবং সে অনুযায়ী আমল করে প্রাথমিক ভাবে নবী মুসা আ.-এর সমালোচনার মুখে পড়েন, পরে খিজির রা. নবী মুসা আ.-কে ইংগীত দেন যে, তিনি মুসা আ.-এর সামনে যা কিছু করছেন তা নিজ থেকে করছেন না, বরং আল্লাহ’র ইশারায় করছেন। ﻭَﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠْﺘُﻪُ ﻋَﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻱْ – “আমি এই(সব কাজ) আমার নিজের মতে করিনি। [কাহফ ৮২]। আর হযরত খিজিরের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন- ﺁﺗَﻴْﻨَﺎﻩُ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻣِﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎ ﻭَﻋَﻠَّﻤْﻨَﺎﻩُ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧَّﺎ ﻋِﻠْﻤﺎً – “আমি তাকে আমার পক্ষ থেকে (বিশেষ) রহমত দান করেছিলাম, আর  তাকে আমি আমার পক্ষ থেকে এক বিশেষ জ্ঞনে জ্ঞানবান করেছিলাম”। [কাহফ ৬৫]

          আরে ভাই, মুমিন মুসলমানের কথা বাদ দেন, স্বয়ং দাজ্জাল কী কী ভবিষ্যৎবাণী করেছিল তা সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৯৩৭ বা সুনানে তিরমিযী, হাদিস ২২৪০-ই দেখে নেন, (যা আমি http://islamic-culture.faith/দাজ্জালের-আগমন-৩/ -এখানে উল্লেখ করেছি, পড়ে নিন)। দাজ্জালের কাছে কি ওহী আসতো (নাউযুবিল্লাহ!), আর আল্লাহ’র রাসুল কি তার বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণীগুলোকে কখনো অস্বীকার করেছেন মর্মে কোনো রেওয়ায়েত আছে?

          তাহলে এখন, আমি এখানে কিছু ভবিষ্যৎবাণী করেছি, তাতে একথা কি করে প্রমাণিত হয় যে, ‘আমি (নাউযুবিল্লাহ) বিষয়টিকে ওহীর পর্যায়ে নিয়ে গেছি’ !? আমি তো এই পৃষ্ঠার উপরের দিকে অনেক কথা পরিষ্কার করে লিখেছি যে, কিসের ভিত্তিতে আমি এসব লিখছি। আমার মনে হয় উপরের কথাগুলো আগে পড়লে আমার সম্পর্কে এজাতীয় চিন্তা জন্মাতো না। আমি এই পেজে যেসকল ভবিষ্যৎবাণী লিখেছি, তার অনেক কিছুই সত্য হবে ইনশাআল্লাহ, আবার অনেক কিছু সত্য প্রমাণিত নাও হতে পারে। কারণ হযরত জিবরীর আ.-এর সাথে আমার কোনো দিন সাক্ষ্যাতও হয়নি, আমার কাছে কোনো ওহীও আসেনি (আসবেও না), যেহেতু আমি হলাম আপনারই মতো রাসুলুল্লাহ সা.-এর একজন সাধারণ উম্মত। আর কাশফের মধ্যে ভুল ভ্রান্তি থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। মোটা দাগে এসব আমার কাছে মনে হয়েছে তা সংঘটিত হবেই হবে, তাই লিখে দিয়েছি (এর বাইরেও আমি অনেক কিছু জানি, যার অনেক কিছুর ব্যাপারে খোদ আমারই সন্দেহ হয় যে -এসব ঘটবে হবে কিনা, সেগুলো লিখিনি। আবার এমন কিছু আমি নিশ্চিত ভাবে জানি যা পাঠকরা বিশ্বাসই করতে চাইবে না (শুনলে হয়তো আমাকে ভন্ড/পাগল বলে গালি দিবে), এজন্য এখানে তা ইংগীত পর্যন্ত করিনি)।

  2. ২০২২ সালের বিষয় মাচ মাসে ভাইরাল তথ্য ইলহামি ভবিষ্যৎবানি বিষয়ে সত্য প্রমাণিত হলো আর পরেরটা ইনশাআল্লাহ হবে 👇

    পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, তার আগেই (২০২২ ইং সালের মধ্যেই) সে ক্ষমতা হারাবে, এমনকি তার দলও থাকবে না।

    নিচে বিস্তারিত তথ্য

    https://youtu.be/xRDX2q9GH4w

    1. রোগের নাম তো দেয়া হয়, যখন তা কোথাও উল্লেখযোগ্য আকারে বিজ্ঞানীদের নজরে আসে কিংবা তা মহামারী আকার ধারন করে। যে রোগের জন্মানোর কথা বিজ্ঞানীদের জানাই নেই, তারা সেটার নাম দিবে কিভাবে?! রোগটা কোন অবস্থা অতিক্রম করছে, কোথায় কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে রোগটির কী নাম দেয়া হবে —এব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। শুধু জানতে পেরেছি, রোগটা জন্মেছে। বেঁচে থাকলে হয়তো খুবই নিকটবর্তী সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপের নাচানাচি দেখতে পাবেন, ইনশাআল্লাহ। যদি আল্লাহ’র তৌফিকে সামনের দিনগুলোতে কিছু জানার তৌফিক হয়, তাহলে যদি প্রয়োজন মনে করি তাহলে হয়তো লিখবো এখানে, কিংবা লিখবো না। আমি মূলত: এখানে মোটা দাগে কিছু কথা লিখেছি। ছোট খাটো আরো অনেক বিষয় আছে, যা আমি জানি কিন্তু এখানে তার কিছুই উল্লেখ করিনি।

  3. বাংলাদেশ সম্পর্কে বিষয়গুলো তোমার বলা উচিত ছিল। কাছের ভাইদের আগত বিপদগুলো থেকে নাসীহাত হিসেবে অন্তত। অথচ, দূরের বিষয়গুলো বলা শুরু করলে।

    1. কাছের ভাই দূরের ভাই বলে কিছু আছে কি ‘ভবিষ্যৎবাণী’র ক্ষেত্রে?! গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে ফজর নামায পড়ার পর একটু ঘুম লাগায় বিছানায় শুয়ে পড়ি। একসময় স্বপ্নে দেখি, আমি একটি এয়ারপোর্ট ধরনের বিল্ডিং-এর ছাদের উপরে দাঁড়িয়ে, পাশেই একটি বড় প্লেনের বাম দিকের ডানাটি ওই বিল্ডিং-এর ছাদের সাথে যুক্ত রয়েছে, আর কিছু যুবক বয়সের বা তার চাইতে হালকা বেশি বয়সী কয়েকজন পাকিস্তানি আর্মীকে দেখলাম একে একে নেমে আসছেন, আর বুঝলাম কিছু আর্মী হয়তো প্লেনের ভিতরেই আছেন। (আমার হাতে কিংবা) আমার পাশে দাঁড়ানো এক ব্যাক্তির হাতে একটি নামের লিষ্ট রয়েছে, স্বপ্নের মধ্যে বুঝতে পারলাম যে, লিষ্টটি বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছ থেকে এসেছে। তখন আমি ও আমার পাশে দাঁড়ানো ব্যাক্তিটি প্লেনের শিড়ির সামান্য কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে ওই লিষ্ট অনুযায়ী আর্মী গণনা করছিলাম আর মিলিয়ে দেখছিলাম যে, লিষ্টে বিদ্যমান নামগুলোর মধ্য থেকে কে কে ওই প্লেন থেকে বেরিয়ে আসছে। লিষ্টটি আমার পাশের ব্যাক্তির হাতে ছিল, আর আমি শুধু পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কাজ ও ডাক হাক দেছিলাম শুনছিলাম, বিধায় আমি জানছিলাম না তাতে কার কার নাম রয়েছে। তখন দেখতে পেলাম, কয়েকজন আর্মীর (সম্ভবত: নাম ধরে ধরে) খোঁজ করা হচ্ছে, আর কিছু আর্মী একে একে প্লেন থেকে নেমে আসছেন ও এদিক ওদিকে চলে যাচ্ছেন, যাদের কারোরই মুখের চেহারা ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলাম না। শুধু দেখতে পাচ্ছিলাম যে, যারা প্লেন থেকে নেমে আসছেন তাদের সকলেই পাকিস্তানী আর্মীর ড্রেস পরিহিত পাকিস্তানী আর্মীরাই। এরপর একসময় আমার পাশের লিষ্ট হাতে লোকটি (অথবা তারও পাশে অন্য কেউ হয় তো ছিল, যা এখন মনে পড়ছে না) বলছিল: ‘দেখো তো (আরবীর) আলীফ (অক্ষর) দিয়ে (নাম শুরু -এমন) কে কে আছেন’? এরপর আরো দেখলাম, একজন আর্মী ঠিক আমার তিন-চার হাত দূরে সামনে এসে স্থির ভাবে দাঁড়ালো, যাকে আমার সামনে 3D Enimation-এর মতো করে ঘুরিয়ে দেখানো হল। তখন তার নামও আমার সামনে প্রকাশ করা হল (যা এখন নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না, তবে মাথার মধ্যে ‘আলতাফ’ বা ‘আসিফ’ বা এই জাতীয় কোনো নাম হবে হয় তো, মনে পড়ছে না)। গোটা স্বপ্নে আমাকে শুধু এই আর্মীর চেহারাটাই বিশেষ ভাবে  দেখানো হয়েছে এবং তখন মনে হয়েছে -এই ব্যাক্তি বিশেষ কেউ। এরপর দেখলাম, দুটি ছোট্ট মিছাইল জাতীয় কিছু (যা প্রায় চার-পাঁচ হাত লম্বা হবে, ওর সামনের দিকটায় ছোট্ট প্লেনের মুখের পাখার মতো পাখা ঘুরছিল, ওর পুরোটার রং ছিল মিডিয়াম হালকা কালচা সোনালী/খাঁকী কালারের, পিছনে কালো ধোঁয়া বেরুচ্ছিলো -এমন কিছুকে) ওই ছাদের উপরে থেকে তাদের কেউ ভারতের দিকে ছুড়ে দিলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম: ‘এটা কি হল’? কেউ বললো: ‘ভারতকে জানান দেয়া হল’। এরপর ছাদের উপরে আমার আশে পাশের লোকজন হাত উঠিয়ে উঠিয়ে জোরে জোরে বলছিল ‘গাজওয়াতুল হিন্দ! গাজওয়াতুল হিন্দ’!!!! —– এটা আমি দেখেছি শুধুমাত্র ভারতের সাথে পাকিস্তানের যুদ্ধের ব্যাপারে, এখন এতে বাংলাদেশের কাউকে স্বপ্নে না দেখলে আমি নিজ থেকে কী করতে পারি?!!!  

      আপনি বাংলাদেশের যে বিপদের কথা বলেছেন, সে সম্পর্কে কথা হল, আল্লাহ তাআলার শোকর, গোটা পৃথিবীতে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানকার মুসলমানরা অপরাপর দেশগুলোর মুসলমানদের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছে। ফিলিস্তিন, মিশর, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, ভারত সহ ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোতে মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী যে দুরাবস্থা করে ছাড়া হয়েছে ও হচ্ছে, তার তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা কতই না শান্ত। খোদ করোনার ছোবলে অন্য দেশগুলোর কী অবস্থা হয়েছিল, আর আমাদের দেশে তেমন কিছুই হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।

      আর, ভালো করে পড়ে দেখুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ২টি বড় বিষয় উপরে বলা হয়েছে (একটা হল, ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগা, আর অন্যটি হল, ২০৩৮ সালের দিকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের অংশে পরিণত হওয়া)। অতীব নিকটেই ভারতের সাথে যখন যুদ্ধ লাগবে, তখন গাজওয়াতুল হিন্দ-এ অংশ নিয়েন। ৭১-এর পর এই প্রথম যুদ্ধের সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সম্পর্কে এর চাইতে বড় আর কোনো বিপদের কথা আমার আপাতত জানা নেই (পরে কিছু জানার তৌফিক হলে, তখন দেখা যাবে, যদি প্রয়োজন মনে করি তাহলে হয়তো লিখবো এখানে, কিংবা লিখবো না)। বাদবাকি অতীব নিকটেই পৃথিবী ব্যাপী দূর্ভিক্ষ শুরু হবে, করোনা ও মরনব্যাধি শুরু হবে, যুদ্ধ বেঁধে যাবে, তখন এসবের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন এদেশের মানুষকেও কমবেশি পোহাতে হবেই। এছাড়া তেমন কোনো বড় বিপদের কথা আমার আপাতত জানা নেই।

  4. মালহামার পূর্ব প্রস্তুতি এবং আমরা কিভাবে নিজেদের বাঁচাতে পারি। আনুমানিক কেমন সময় রয়েছে? এগুলো সম্পর্কে বলুন।

  5. এখানে স্ববিরোধী কিছু কথা বার্তা আছে?

  6. Taliban (তালিবান), ইনারা উক্ত Black Flag Army (কালো পতাকাবাহী দল) নয় ; এটিই বলতে চেয়েছি মাত্র।

    পাশতুন গোত্রটি নিয়ে কমবেশি পূর্বেই আমার Study করা রয়েছে। আমিও মনে করি, Constantinople (কুস্তুনতুনিয়া) বিজয়ে এই পাশতুন এবং এদের মিত্রদের ব্যাপক ভূমিকা থাকবে। [যেটা বিকৃত তাওরাত থেকেও প্রমাণিত, Not only just Hadith.]

    আমি আবারো বলবো যে, মাহদির পূর্বে মধ্যপ্রচ্য, আফ্রিকা, মিশর, ফিলিস্তিন, হেজাজ, খোরাসানে তাঁর আগত অনুগামীদের অবস্থান থাকবে।

    আমি মনে করি দায়েশের ইরাক থেকে পুনরায় উত্থ্যান ঘটবে ব্যাপ’আকায়! এবং আবারো খিলাফতের প্রতি আহবান জানাবে। বাগদাদ, হোমস, দামেস্কে Massacre (ম্যাসাকার) ধ্বংসজ্ঞগ্য চালাবে।

    https://www.muhammad.tk/p/blog-page_19.html

    আমি আপনার মতো স্বপ্ন নিয়ে লাফালাফি করা পছন্দ করিনা। আর আমি আমার এবিষয়ে রূপরেখা হাদিসের ভিত্তিতে সাজিয়েছি কোনো শায়খের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়।

    সেহেতু, আমি দৃঢ় মনে বিশ্বাস করি, মাহদি বড়ো যুদ্ধের মধ্যে শুধুমাত্র একটাই বড় যুদ্ধ করবেন, সেটি হলো কাল্বের যুদ্ধ।

    🔹ইমাম মাহদির সময়ে ঈসা (আঃ) আসবেন’না। এটার সপক্ষে আমি আস্বস্ত। আপনার উল্লেখিত হাদিসটি আমার পড়া।

    আপনাকে বলবোঃ মাহদির প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে জানুন। এবং আমাকে দেখান যদি পারেন,

    উক্ত মাহদিই মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ।।

    শুকরিয়া।

  7. আমার এসব জানার খুব আগ্রহ , আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম , আগামি কথন এর সাথে অনেক মিল আছে যা আমি বিশ্বাস করি । আরো কিছু জানার আগ্রহ আছে । আপনাদের Telegram channel বা Social প্লাটফরম থাকলে জানাবেন , Website এর কথা মনে থাকবে নাহ হয়তো । যাযাকাল্লাহ

    1. শুধু এই ওয়েবসাইটিই আপাতত আমার প্লাটফর্ম। সরকার ও প্রশাসনের লোকরা বেশিরভাগই মুনাফেক, তারা এজাতীয় সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়া বা এ্যাডমিনদেরকে গ্রেফতার করা ইত্যাদির চেষ্টা করে থাকে, বিধায় এমন আর কোনো প্লাটফর্ম (যেমন: ফেসবুক, ইনসটাগ্রাম ইত্যাদি) ইচ্ছে করেই খুলিনি, যা আমার পরিচিতিকে সহজেই প্রশাসনের নজরে এনে দিতে পারে। তবে ছদ্দ নাম/অপরিচিত নামে দুটি ইউটিউব চ্যনেল আছে, যা আমি এখানে আইডেনটিটি সিকিউরিটির কারণে উল্লেখ করতে অপারগ।

  8. ভাই, ইমাম মাহদীর কথাতো বল্লেননা? কখন আসবে, আমারে আপনার সকল স্বপ্নের কথা বলেন, আমি আরো শুনতে চাই, আমিও‌ ছোট খাটো গবেষনা‌ করি।মুফতি কাজী ইব্রাহিম গ্রেপতারের পর মনটা খারাপ ছিলো, আজকে আপনার কথা গুলো শুনে মনে যে কি আনন্দ লাগছে বলতে পারবোনা।আমার‌ নাম্বারে একটু কথা বল্লে ধন্য মনে করতাম 01956255029

    1. আমার কাছে যা অনুভূত হয়েছে তা এই যে, ইমাম মাহদী আগমনের বিষয়টি ‘সবে কদরের রাত’ কিংবা জুমআর দিন ‘দোয়া কবুলের সময়’-এর মতোই উম্মাহ’র কাছ থেকে গোপন রাখা হয়েছে (হয়তো তাঁর বাহ্যিক সিকিউরিটির জন্য)। আখেরী জামানার আলামতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আলামত হল ইমাম মাহদী, যার প্রতিক্ষায় প্রতিটি মর্দে মুমিন বসে আছে; কখন আসবেন কখন আসবেন!!! উঠতে বসতে কত দোয়া করেছি আল্লাহ’র কাছে, সিজদায় পড়ে দোয়া করেও কিছু জানতে পারিনি। তবে যা কিছু জানার তৌফিক হয়েছে তাতে অনুভূত হয় যে, সামনের কোনো ‘হজ্জে আকবর’-এ তাঁর আত্বপ্রকাশ ঘটবে (২০২৫ সাল পার হবে না বলেও অনুভূত হয়; সঠিক সাল ও সময় জানি না)। আল্লাহ’ই ভালো জানেন

      1. মাহদির আবির্ভাব এখনো দেরি রয়েছে। কয়েকটা কারণ দেখলেই বোঝা যায় —

        ১. মিশর ভালো আছে এখনো। সিরিয়া, ইরাকের মতো অবস্থা হয়নি।

        ২. শামের ফিতনায় এখনো সুফিয়ানির আবির্ভব হয়নি।

        ৩. ফুরাত তাঁর অভ্যন্তরীণ স্বণের পাহাড় বের করেনি।

        ৪. তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনো বাধেঁনি।

        ৫. আফ্রিকা থেকে হলুদ পতাকাবাহী বর্বররা সিরিয়াতে আসেনি।

        ৬. একটা কালো পতাকাবাহীদের পুনরায় উথ্থান হয়নি। এবং তাদের দ্বারা বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রিত হয়নি

        ৭. আকাশে নিদশর্ণ প্রকায় পায়নি।

        ৮. খোরাসানের বাহিনীতে হাশেমি হারস্ হাররাসের কতৃত্ব আসেনি।

        ৯. পৃথিবীব্যাপী ফিতনা আর জুলুমে আর কষ্ট-আর দুঃখ সর্বপোরি আবিষ্ট হয়নি।

        ১০. বাগদাদে থেকে দামাস্কাসে Brutal Massacre সংঘটিত হয়নি শিয়াদের ওপর।

        সেহেতু বেশি লাফালাফি না করাই উচিত 😐

        বিস্তারিত পড়তে এই ওয়েবসাইটে দেখুন:

        Islamic Eschatology : https://muhammad.tk

      2. আসসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া পাকিস্তানের ওনেক খবর বিশ্লেশন করলে আপনার প্রেডিক্সনটাই বাস্তবায়ন হবে বলে‌ মনে হচ্ছে! আপনার আর কোন স্বপ্ন আছে কিনা শেষ জামানা নিয়া আমাকে বলতে পারেন, আর‌ আপনার ইউটিউব চেনেলটা কিভাবে চিনবো একটু বলবেন, প্লিস আমার সাথে যোগাযোগ করলে অনেক খুশি হতাম।

  9. ভাইয়া, প্লিস আমি আপনার সাথে কথা বলব

    1. Sunnah.com নামে যে Comment গুলো আছে। এগুলো পড়ুন এখানে। সেগুলো আমার। আমি ভাইয়ের সাথে কয়েকটা জায়গায় দ্বীমত করেছিলাম। সেসব বিষয়গুলি নিয়েই কমবেশি কথা রয়েছে। উনি তথ্য প্রমাণসহ আলোচনা করেছেন যেটা বেশ উত্তম ছিলো। আমি রেফারেন্স ব্যাতীত সরাসরি হাদিস কোড করেছি অনেক জায়গায়, যা অনুচিত হয়েছিলো।

      দ্বিতীয়তঃ muhammad.tk ওয়েবসাইটটি একটু বন্ধ করে রেখেছি। একটু ওয়েবসাইটে Smoothness আনার ট্রাই করছি, যেন আর্টিকেল পড়প ফিল পাওয়া যায় এবং সহজে খুজে পাওয়া যায়। সংক্ষেপে বল্লে Contracting সাইট হিসেবে বিরাজ করছে। শীঘ্রই ওপেন করবো।

      তৃতীয়তঃ যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই আমার ভাই। আপনি শিক্ষিত এবং হক আলেমের সহবত নিন। তিনার কাছে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।

      • আপনার কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা বা জানার প্রয়োজনীয়তা থাকলে এখনেই বলুন। মুক্তমনা মুসলীম নামের এই ভাই আমার থেকে অনেক এগিয়ে এবিষয়ে। উনি উত্তর দিবেন আশা রয়েছে। যেগুলোতে দ্বীমত রয়েছে সেগুলো সময় পেলে আমি কিছু লিখে রিপ্লাই করবো, ইনশাল্লাহ।

  10. আসসালামু আলাইকুম, মুক্তমনা ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিলো সহিহ হাদিসে বলা আছে ১০ টি কিয়ামতের বড় আলামতের কথা তার মধ্যে ১টি হচ্ছে ৩টি বড় ভূমিধস ১.পূব দিক (প্রাচ্যে)২.পাশ্চাত্য এবং ৩.আরব উপদ্বীপ (মধ্যপ্রাচ্য) আর সহিহ হাদিসে অন্য রেওয়াতের বননা বিশ্লেষণের ধারাএসে দারায় যে ইমাম মাহদি বায়াত নেয়ার পুবে ৩টি ভূমিধস হবে যেমন সুফিয়ানির সৈন্য ইমাম মাহদিকে আক্রমণ করার আগে বায়দা নামক(মক্কা মদিনার মাঝখানে বতমান যে ফাকাস্থান)ময়দানে ধসে যাওয়া এই হচ্ছে ৩য় তম আরবউপদ্বীপ ভুমিধস যা কিয়ামতের বড় আলামত এখন আমার পশ্ন হচ্ছে এইযে, বতমান এশিয়া দেশজুড়ে এছাড়াও অন্যান্য প্রাচ্যের সাইড রেকর্ডমাত্রায় ভুমিকম্প এর ফলে ভবনধসে অন্যতম ভূমিধস আবার অতিরিক্ত বন্যা এর ফলে মাটির ক্ষয় বেড়ে যাওয়ায় ভুমিধস এবং পাহাড়ের ভূমিধসও
    এটা কি সেই ভূমিধস নি? ১ম তম তালিকায় পুব দিক ভূমিধস যা কিয়ামতের বড় আলামত। এটা কি সেই কিয়ামতের বড় আলামত? যা আমাদের পেয়ারা নবী সাঃ সাড়ে ১৪শ বছর আগে বলে গেছেন।

  11. অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ২/১ টা তথ্য বেখাপ্পা লাগছে। পাকিস্তানে ২ বছর নারী শাসক থাকবে, আবার ৩/৪ মাসেই ইমরান আসবে। ২০২৪ এ পূর্ণ ইসলামি শাসন ব্যবস্থা থাকবে। তথ্য গুলো কেমন যেন খাপ খাচ্ছে না। ০১…১৯০০….৮ এই নাম্বারে আপনার ইউটিউব লিঙ্কটা হোয়াটসআপ কইরেন প্লিজ।

    1. ইমরান খান প্রাইম-মিনিস্টার/প্রধানমন্ত্রীও হবে আবার প্রেসিডেন্ট/রাষ্ট্রপতিও হবে; দু প্রকারের শাসন ক্ষমতারই স্বাদ ভোগ করবে; তবে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী অবস্থায় থেকে তারপরে তারই অধীনে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা আসবে এবং তিনি কিছুদিন রাষ্ট্রপতিও থাকবেন। ইমরান খানের পর একজন সাবেক জেনারেল রাষ্ট্রপতি হবেন; তখনও ইমরান খান সরকারে থাকবেন তবে অন্য বড় গুরুত্বপূর্ণ সম্মানজনক কোনো পদে। (ইনশাআল্লাহ, ওই জেনারেল সাহেবের সময়ই ইসলামী হুকুমত কার্যকর হওয়া শুরু হবে)। আর আপনার কথিত “২০২৪ এ পূর্ণ ইসলামি শাসন ব্যবস্থা থাকবে” কথাটি কিন্তু আমি বলিনি, আমি বলেছি “আর আগামী ২০২৪ সালের পর পাকিস্তানে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু হবে”। ইসলামী শাসন কেবল চালু হওয়া, আর পূর্ণরূপে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হওয়া -এক অবশ্যই নয়। একটি মুনাফেকে ভরা দেশে তো রাতারাতি ইসলামী শাসন কাগজে কলমে আইন করে শুরু করলেও তা মানুষের উপরে কার্যকর করতে অনেক আন্তদেশীয় ও বহির্দেশীয় সমস্যা অতিক্রম করতে হয়। ইসলামী শাসন চালু হলেও প্রধম প্রথম কিছু কিছু ইসলামী কানুন নাফেজ (জারি) হবে, কিছু করা তখনই সম্ভব হবে না, যা আস্তে আস্তে সম্ভব হবে। একেবারে পূর্ণরূপে ইসলামী শাসন দেখা যাবে আরো পরে, বিশেষ করে নীল নীল চোখওয়ালা যে মর্দে মুমিন শাসকের কথা বলেছি -তখন তো হবেই (ইনশাআল্লাহ)। আমি ওই রিটায়ার্ড সাবেক জেনারেল সাহেবের নামও জানি, তাঁর চেহারাও চোখের সামনে ফুটে উঠেছিল, কিন্তু এখানে তার নামটা নেয়া ঠিক হবে কিনা -তা বুঝে উঠতে পারছি না বিধায় লিখছি না, শুধু এতটুকু বলছি তাঁর নামের প্রথমাংশের শুরু হবে ‘র’ দিয়ে এবং দ্বিতীয় অংশের শেষ হবে ‘ফ’ দিয়ে। আর ২ বছরের জন্য নারীর শাসন-এর বিষয়টি নিয়ে আমিও বিশেষ ভাবে চিন্তায় আছি এবং আমার ধারনা, এই একটি মাত্র কথা ভবিষ্যতে নাও ফলতে পারে। কারণ, কারণ এক সময় এ বিষয়টি চোখের সামনে ভেসে উঠলেও এখন আর দূর দূর পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু ভেসে উঠে না, এমন মনে হচ্ছে যে, এরকম আর কিছু হবে না। আবার ঘটতেও পারে -হয়তো অন্য কোনো ভাবে। আল্লাহই ভালো জানেন

  12. আসসালামু আলাইকুম ভাই,
    রাশিয়া, ইউক্রেনে কবে নাগাদ এটোম বোমা ব্যবহার করতে পারে এটা কি আপনার জানা আছে? আর ২০২২ থেকে ২০২৩ এই এত কিছু ঘটবে যে মনে হচ্ছে অর্ধেক জনসংখ্যা নাই হয়ে যাবে গোটা দুনিয়ায়। ব্যাপারটা হজম করতেই কষ্ট হচ্ছে আমার। দেখা যাক কি হয়। তবে আমি আপনার কথা গুলো কে মেনে নিয়েছি এবং পর্যবেক্ষণ এ আছি।

  13. ইমাম মাহদি, দাজ্জাল
    এ দুটি বিষয় কিছু বলেন

  14. 01849666112
    ফোন দেন ভাইয়া
    কথা বলবো।
    আমিও ২০১৭ সাল থেকে ইমাম মাহদি,দাজ্জাল,ইসা (আ),গাজওয়াতুল হিন্দ,মালহামা,জিও পলিটিক্স এসব বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করি।
    মহাপ্রলয়,দাজ্জাল কি আসছে,তৃতিয় বিশ্ব যুদ্ধ ও দাজ্জাল,কেয়ামতে আলামত,কিতাবুল ফিতান এসব বই পড়ি।
    কাজি ইব্রাহিম
    ইমরান হোসেন নজর
    আবু ত্বহা আদনান
    পাকিস্তানের মোহাম্মাদ কাসেম
    এছাড়া এ বিষয়গুলো নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের ওয়াজ শুনি।
    এছাড়া গুগলে এসব বিষয়ের প্রবন্ধ পড়ি।
    গুগলে খুজতে খুজতেই আসলে আপনার সাথে সাক্ষাত হয়ে গেলো।
    Sheshir Ibn Motin এতো মুমিনের স্বপ্ন শয়তান দেখায় বলে দিলেন।হাদিসে এসেছে কেয়ামতের আগে মুমিনের স্বপ্ন মিছে হবে না।নবুওয়ত শেষ সত্য স্বপ্ন রয়ে গেছে।স্বপ্ন নবুওয়তের ৪৭ ভাগ।
    এছাড়া ইমাম মাহদি,দাজ্জাল,ইসা (আ),গাজওয়াতুল হিন্দ,মহাযুদ্ধ এগুলো হাদিসে বর্নিত বিষয়, এসব সত্য বিষয় মুমিন স্বপ্ন দেখতেই পারে।কিছু ভাই স্বপ্ন দেখেছেন সুর্য পশ্চিমে উঠে গেছে।একটি মেয়ে স্বপ্ন দেখেছে ইসা নবি তাকে বলছে তুমি আমার স্ত্রি।হাফিজ্জি হুজুর ১৯৭৯ সালে সকালে বলছেন স্বপ্নে দেখলাম ইমাম মাহদির জন্ম হয়ে গেছে।
    প্রচুর মানুষ স্বপ্ন দেখেছেন ইমাম মাহদির জন্ম ১৯৮০ দিকে হয়ে গেছে।কথা হলো ওনিতো ৪০ বছরে আসবেন।সে হিসেবেতো ২০২০ এ আসার কথা।আসলে ভাই আরবি ৪১,৪২,৪৩,৪৪,৪৫ এসব অংকে ৪০ ই ধরা হয়।যেমন রাসুলের বয়স ৬৩ বছর।কিন্তুু অসংখ্য সাহাবি ৬০ বছর বলেছেন।কারন ভাঙা অংশ বলা হয়না আরবিতে।
    সে হিসেবে ইমাম মাহদির বয়স ৪২-৪৩ হয়ে যাওয়ার কথা।ইনশাআল্লাহ সর্বোচ্চ ২০৩০ এর ভিতরই ইমাম মাহদি আসবেন।২০২৮ সালে আসার ব্যপারেও রেফারেন্স আছে।আল্লাহু আলম
    সামনে ২০২৩ সাল আসতেছে।হতে পারে এ বছর বায়তুল মাকদিস গুড়িয়ে দিবে ইহুদিরা।

    ভাই 01849666112 ফোন দিবেন কিন্তুু

    1. জাযাকাল্লাহ খাইরান -আপনার কমেন্টের জন্য। খুব ভালো হত যদি আপনাদের সাথে মন খুলে দ্বীনী কথা বলতে পারতাম। কিন্তু (১) আমি বর্তমানে ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’ বিষয়ক পেজগুলো আপডেট করা নিয়ে যথাসম্ভব ব্যাস্ত থাকছি। কারণ অচিরেই ইমাম মাহদী আসার আগের ও পরের পরিস্থিতির জন্য এ সম্পর্কে পোক্ত ইলম থাকার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হবে মুসলমানদের। আলেমগণ তো তাঁদের ওস্তাদবৃন্দ ও মুহাক্কেক ফকিহ ইমামগণের কিতাবদি থেকে এ বিষয়ক ইলম হাসিল করেন, করছেন বা করতে পারবেন (যাঁরা হয়তো দেশের ১০%-২০%)। কিন্তু বাদবাকি দেশের ৮০%-৯০% হল আধুনিক শিক্ষিত ভাই বোন, (যাদের অধিকাংশই দ্বীন থেকে দূরে, আর যারা ইসলাম, খিলাফত, জিহাদ ইত্যাদি বিষয়ে আগ্রহী, তাদের সামনে বাহ্যত নতুন করে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ১২/১৩ বছর ইলম হাসিল করার সময় সুযোগ বা পরিবেশ কোনোটাই নেই, আবার এমন কোনো ইলমী বইপত্রও মার্কেটে নেই যা থেকে তারা নূন্যতম মাত্রায় হলেও মনের মতো ইলমী খোরাক মিটাতে সমর্থ হবে। আর আলেমগণও এত খোলামেলা ভাবে এসকল বিষয় নিয়ে বই প্রকাশ করে আম-পাবলিকের সামনে পেশ করতে পারেন না, কারণ এসব ফেরাউন-মার্কা সরকারগুলো পরে তাঁদের সাথে কী করে তা তো কম বেশি সকলেই জানে। এজন্য যথাসম্ভব সরকারের চোখের আড়ালে থেকে এসকল বিষয়ে যতটুকু পারি খুলে কুলে লিখার চেষ্টা করছি। কিন্তু লিখতে বসে আজ বারবার বুঝতে পারি,অনেক দেরি হয়ে গেছে, আরো ৩/৪ বছর আগে এসব লেখা প্রকাশ করা দরকার ছিল, তাহলে আজ হয়তো আরো অনেক বিষয় নিয়ে লেখা পেশ করতে পারতাম। এখন তো লিখ বসলেই মাথা ঘোরে -এত পড়া এত লেখা এত কিছু টাইপ করে প্রকাশ করতে মন চায় না। (২) বলাবাহুল্য, নিরাপত্তার স্বার্থে যোগাযোগ নম্বর বা ঠিকানা ইত্যাদি পাবলিকালি প্রকাশ করা আমাদের মতো কারোর জন্যই উচিৎ নয়, এজন্য দু:খিত। (এর আগে একবার একজন খুব ইনিয়েবিনিয়ে আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে চাইছিল। পরে বুঝতে পারি যে, সে তাগুত সরকারের ইনফরমেশন সেক্টরের লোক, যে এভাবে কথা বলে আমার আইপি ডিটেকট করার চেষ্টা করছে, যাতে আমার ইন্টারনেট আইপির চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমার লোকেশন ট্রাক/কালেন্ট করতে পারে। এরপর থেকে যতদূর পেরেছি, মানুষকে আমার পর্যন্ত পৌছানোর সকল রাস্তা বন্ধ রাখার চেষ্টা করে আসছি। শুধু আল্লাহই আমাকে হিফাজত করতে পারেন)। (৩) আমি যা বুঝি তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, ইমাম মাহদীর বিষয়টি মূলত: সবে-ক্বদরের রাত কিংবা জুমআহ’র দিন দোয়া কুুুবুলের বিশেষ সময়ের মতই আল্লাহ পাক গোপন করে রেখেছেন। তবে কেউ কেউ আছেন, যারা কিছু বিষয়ের আগাম গন্ধ পান বা আগাম ইশারা ইংগীত পান যে, ইমাম মাহদী প্রকাশ্যে আগমনের সময়টি আনুামনিক কত দূরে। (৪) ইমাম মাহদীর ৪০ বছর বয়সে আত্বপ্রকাশের বর্ণনাটি গ্রহনযোগ্য পর্যায়ের নয়। তবে আপনি এটা ঠিকই বলেছেন যে, আরবীতে ৪০ বলতে একজ্যাক্ট ৪০ বছর উদ্দেশ্য নাও হতে পারে’। কারণ আরবদের মধ্যে খুচরা অংশ বাদ দিয়ে শুধু মোট সংখ্যা বর্ণনা করার প্রচলন ছিল, যা আরবী আদবের লোকরা ভালো করেই জানেন। (৫) ভাই, আমি নিজের জীবন নিয়ে চিন্তায় আছি যে, আমার হায়াত ২০২৩ সাল পার হবে কিনা।২০২৪ সাল পাওয়ার আশা করি না। কারণ ২০২৩ ও ২০২৪ সাল পৃথিবীর মানুষের জন্য ভয়ঙ্কর সময়, ‘এ সময় কী হবে’ -জিজ্ঞেস না করে, বরং ‘কী না হবে’ -তাই জিজ্ঞেস করা উচিৎ। (৬) ২০২৩ সাল ইস…রাঈলের আখেরী সাল, আর অবশ্যই এই সালের মধ্যেই বায়তুল মাকদিসকে শহিদ করা হবে -এক উন্মাদ ইহূদীর দ্বারা। (৭) আগে তো ২০২৩ ও ২০২৪ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকুন, তারপর বাঁচলে না হয় ইমাম মাহদীকে নিয়ে চিন্তা করা যাবে। উনি আসবেন, তাঁর দায়িত্ব আদায় করে বেহেশতে চলে যাবেন। বর্তমানে আপনার কর্তব্য হবে- (ক) নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে খিলাফত ও জিহাদ বিষয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলম হাসিল করা, যাতে এ দুইটি বিষয় কায়েম করার আগের পরিস্থিতি, তা কায়েম করার সময়ের এবং তা কায়েম করার পরের পরিস্থিতিতে কখন কী করতে হয় -তা জেনে নিয়ে স্থান কাল পাত্র ভেদে আমল করার যোগ্যতা তৈরী হয়, তা না হলে শুধু সর্বনাশই সর্বনাশ -ঠিক যেমনটা সেকুলার পন্থি কিংবা দায়েশদের অবস্থা হয়েছে, (খ) এখন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেয়াম ও শরীর চর্চা, সাতার ইত্যাদির মাধ্যমে কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্ত করে তুলুন, এতে ফায়দা এই হবে যে আপনি ইমাম মাহদীকে পেলে তাঁর সাথী হয়ে জিহাদ করার জন্য অন্তত: নিজকে পেশ করতে পারবেন, আর যদি তাঁকে পাওয়ার আগেই আপনি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তাহলে নিয়তের কারণে আপনি ইনশাআল্লাহ আখেরাতে মজাহিদ/শহিদ-এর কাতারে যায়গা পেয়ে যাবেন। (চিন্তা করে দেখুন, আমরা সবাই ইমাম মাহদীর অপেক্ষায় আছি যে, তিঁনি আসলে তাঁর সঙ্গী হয়ে দুশমনের বিরুদ্ধে জিহাদ করবো, কিন্তু বাস্তব জিহাদের সময় যদি আমাদের পেট খানি একজন অন্তসত্তা নারীর মতো দেখায়, গায়ে যদি চর্বি দিয়ে ভরা থাকে, থ্যাপ থ্যাপ করে হেটে হেটে গিয়ে জিহাদের লিস্টে নাম লিখাতে যাই, কিংবা জিহাদের ট্রেনিং-এ দৌড়াতে না পাড়ার জন্য রিজেক্ট হয়ে যাই, তাহলে এতসব আবেগের কী মূল্য হবে সেদিন)। মনে রাখা দরকার, সামনের দিনগুলো মিলেটারী ট্রেনিংপ্রাপ্তদের -চাই ইসলামের পক্ষের হোক চাই ইসলামের বিপক্ষের।

      1. You are right. Brother. I also support your comments, Allah (SWT) give us right path and FATAH also. InshaAllah.. (”ইমাম মাহদীর ৪০ বছর বয়সে আত্বপ্রকাশের বর্ণনাটি গ্রহনযোগ্য পর্যায়ের নয়। তবে আপনি এটা ঠিকই বলেছেন যে, আরবীতে ৪০ বলতে একজ্যাক্ট ৪০ বছর উদ্দেশ্য নাও হতে পারে’।”

      2. তাঁর শারিরীক গঠন মধ্যম আকৃতির হবে। ললাট দীপ্তিময়, উজ্জ্বল, ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট। সম্মুখের উজ্জ্বল দাঁতগুলো ফাঁকা। ঘন দাড়ি বিশিষ্ট। সাদা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন ইত্যাদি। তখন তাঁর বয়স থাকবে চল্লিশ। (তাবারানী ফিল-কাবীর, হা/৭৪৯৫; এর সনদ দুর্বল হলেও ভিন্ন হাদিস দ্বারা এসব সমর্থিত) ।
        এছাড়াও মেশকাত শরীফে আছে, ইমাম মাহদি চল্লিশ বছর বয়সে খিলাফত প্রাপ্ত হবেন এই হাদিসটা সহিহ যেমন আমাদের নবী সাঃ ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হয়েছিলেন।তিনি মক্কায় ৪০ বছর বয়সে আগমন হয়ে আত্নপ্রকাশ করবেন হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী হ্যা কিন্তু এভাবে বলা যায় ৪০ বছর বয়সে তিনি আত্নপ্রকাশ না করলেও মক্কায় আগমন অবশ্যই হবে কারণ কোন কোন হাদিসে আছে,তিনি খোরাসান বাহিনীর সাথে সশরিরে আত্নপ্রকাশ করবেন। আর ঐ ভায়ে সপ্নের কথা বললেন ইমাম মাহদি জন্মের বিষয় নিয়ে তার বলা সপ্ন সঠিক কিন্তু বয়স নিয়ে ধারণাটা ভুল আগে দলিল পরে সপ্ন আবু হুরায়রা রাঃ বলেছেন ১৪০০ এর
        সাথে ২দশক(২০) ও ৩ দশক(৩০) গননা কর ঐ সময়ে মাহদির আবিভূত হবেন তাহলে হয়১৪০০+২০+৩০=১৪৫০হিজরি অথাত ২০২৮/২০২৯ সাল বুঝায় তাহলে এখান থেকে ৪০ – করলে হয় ১৪১০ হিজরি ১৯৮৮/১৯৮৯ তার ঐ সপ্ন এ থেকে বুঝাচ্ছিল যে তিনি জন্ম হয়নি কিন্তু অবশ্যই হবে খুব নিকট সময়ে হয়ে গেছে এই শব্দটা মুমিনদের আশ্বাস দেবার জন্য ছিলো যাতে মুমিনরা হতাশ নয় আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার।

  15. আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনার লেখা পড়লাম। পথমেই কাশফ (vision) দিব্যদর্শন সম্পর্কে জানতে চাইবো। আমি কাশফ খোলা এরূপ বেশ কয়েকজনকে জানি। বিষয়টি আমার নিকট পরিস্কার নয়। ইসলামের ইতিহাসে কাশফ এর সূত্রের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য আমার জন্য শেয়ার করতে পারেন। তথাপি, প্রশ্ন এই যে, আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, জ্বীন মানুষকে দিব্যদর্শন (Vision) দেখাতে সক্ষম (এমনকি আপনার শরীরে না এসেও তারা এটি করতে সক্ষম)। জ্বীন মানুষকে স্বপ্নও দেখাতে সক্ষম।

    1. ওয়ালাইকুমুস সালাম Moniruzzaman ভাই। ভাই, ‘কাশফ’ বিষয়ে লিখালিখির কোনো ইচ্ছে আপাতত নেই, সময়ও নেই (আমি অন্য লেখা নিয়ে ব্যাস্ত আছি, এদিকে আপাতত মাথা ও সময় দিতে পারবো না)। আর লিখলেও সাধারণ মুসলমানদের বেশির ভাগই ‍বুঝবে না। শুধু সমস্যা আর প্রশ্ন, পাল্টা প্রশ্ন, পাল্টা জবাব -এসবই চলতে থাকবে। এ বিষয়টি যেখানে অনেক বড় আলেমেরই মাথায় ঢোকে না, সেখানে সাধারণ মুসলমানদের মাথায় ঢোকার কথাও নয়। আর আপনার এখতার সাথে আমি একমত যে,“আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, জ্বীন মানুষকে দিব্যদর্শন (Vision) দেখাতে সক্ষম (এমনকি আপনার শরীরে না এসেও তারা এটি করতে সক্ষম)। জ্বীন মানুষকে স্বপ্নও দেখাতে সক্ষম”। সহমত। আমি আমার লিখিত “২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল – পৃথিবীর পট পরিবর্তনের জামানা” অংশে যা কিছু লিখেছি, তার শুরুতে একথা পরিষ্কার লিখেছি যে- “নিম্নে আমার লিখিত ভবিষ্যদ্বাণী গুলো পড়তে থাকুন, বিশ্বাস হলে বিশ্বাস করুন, অবিশ্বাস হলে ছুড়ে ফেলে দিন। তবে আমার পরামর্শ হল, আপনার বিশ্বাস করা বা না-করা’র বিষয়টিকে আপতত ঝুলন্ত রাখুন –যাবৎ না এসব ভবিষ্যদ্বাণী ফলে যাওয়ার ব্যাপারে সুনিশ্চিত খবর পান। যে পাঠকের মন আমার কথায় বিশ্বাস রাখার ব্যাপারে সায় দেয়, তার জ্ঞাতার্থে বলছি, এখানে কেবল সেসব ভবিষ্যদ্বাণীই লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে, যা নিকট/দূর-ভবিষ্যতে ঘটবে মর্মে সম্পূর্ণ জাগ্রত ও সচেতন অবস্থায় যেন চোখের সামনে বা অন্তরচক্ষুর/মনমস্তিষ্কের মধ্যে ঘটনাচিত্র আকারে সংঘটিত হতে দেখা গেছে/যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, এখানে যেভাবে বলেছি, সেভাবেই সব সংঘটিত হবে”….।

      এখন সমানের দিনগুলোতে যা ঘটার তা তো ঘটবেই। আমার দেয়া ভবিষ্যৎবাণী গুলো বিশ্বাস না হলেও কমপক্ষে পড়ে রাখেন। এতে ফায়দা এই হবে যে- (১) যদি ভবিষ্যৎবাণীগুলো সংঘটিত হতে দেখেন তাহলে তো ঘটলোই, (২) আর যদি সেগুলো বাস্তবে না ঘটে, তাহলেও কমপক্ষে এতটুকু ফায়দা তো হবে হয়তো যে, আপনারা ২০২৩/২০২৪ সালের জন্য ইমান-আমলে প্রস্তত হয়ে থাকবেন, তারপর এই প্রস্তুতীি সহকারে –হয় প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম ক্যালামিটির নিচে চাপায় পড়ে শহিদ হবেন, না হয় জালেমের জুলুমের চাপায় পড়ে শহিদ হবেন। প্রস্তুতি সহকারেই তো মড়তে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আর তখন প্রমাণিত হবে যে, আামার কাছে জ্বীন বা শয়তানের পক্ষ থেকে তথ্য এসেছে, এসব কোনো কাশফ/টাশফ কিছু নয়, যা আমি তখনও বুঝতে পারি না। এই তো, এর বেশি আর কী? কাফশ বুঝে না আসলে বা এর দলিল জানা না থাকলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই, এব্যাপারে কবরে প্রশ্নও করা হবে না, তাই এব্যাপারে সময় ক্ষেপন করিয়েণ না। আমাকে না হয় আল্লাহ’র হাতে ছেড়ে দিয়ে আখেরাতের প্রস্তুতিতে লেগে থাকুন: (ক) হারাম (দৃষ্টিদান, খাওয়া, পরিবেশ) থেকে বেঁচে চলুন -যতটা সাধ্যে কুলায়, (খ) খিলাফত ও জিহাদ বিষয়ে পর্যাপ্ত ইলম হাসিল করুন (অচিরেই কাজে লাগবে। তাদের মতো অল্প ইলম হাসিল করিয়েন না, যারা দু একটা সাইটের ইলমী আলোচনা পড়েই বলতে থাকে যে, ‘এখন জিহাদ ফরয’, এখন ‘জিহাদ ফরযে কিফায়া’, ‘এখন অমুক স্থানে জিহাদে যেতে পারেন’ ইত্যাদি। মনে রাখবেন, বড় আলেমগণ এজামানায় গা ঢাকা দিয়ে চুপ হয়ে আছেন বা একেবারেই না হলে নয় এই পর্যয়ের কম কথায় কাজ চালান, সামনে সময় মতো প্রকাশ হবেন। আর আলেম নামের সব অপরিপক্ক ও নাদান ব্যাক্তিরা ওয়াজের ময়দানে নেমেছে, প্রকাশ্যে আলোচনা করছে বা ধুমছে ফতোয়া দিচ্ছে। বোঝার মতো আক্বল থাকলে বুঝে নিন, আমি কী বলতে চাচ্ছি, কার থেকে ইলম হাসিল করতে বলছি। এই সূত্রের আলেম পেলে ইলম হাসিল করুন, না হয় ঘরে বসে থাকুন)

      1. আসসালামু আলাইকুম ভাই, অবশ্যই আমি এই বিষয়ে প্রমাণও পেয়েছি জীন মানুষ সপ্ন দেখাতে সক্ষম মুহাম্মদ কাসিমের ক্ষেত্রে তাই অবস্থা জীনেরা ইমাম মাহমুদ এর নাজিলকৃত কপিরাইট করে মুহাম্মদ কাসিমের সপ্নে পুজি করছে। যেমন ইতিহাসে গায়েবি খবরাখবর চুরি করে মানুষদের মধ্যে ছরাছরি করত এখন জীনেরাও তাই করছে।

    1. ভাই, মনতো চায়, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে লিখি, অনেক কিছু লিখি। কিন্তু সময় সুযোগ কোনোটাই পাচ্ছি না। আপাতত ‘জিহাদ/কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ’( http://islamic-culture.faith/কিতাল-ফি-সাবিলিল্লাহ/ ) -এই পেজের টপিকগুলো নিয়ে লিখালিখি ও পেজ আপডেট-এর মধ্যে সময় দিচ্ছি -যতটুকু পারা যায়। সামনের নিকবর্তী দিনগুলোর জন্য এই টপিকটিই সব থেকে প্রয়োজনীয় মনে হওয়ায়, যতটুকু পারা যায় এ নিয়ে লেখার মধ্যে আছি। ‘ইসলামী রাষ্ট্র ও খিলাফত ব্যবস্থা’ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তা নিয়ে আলাদা করে লোর ইচ্ছে থাকলেও আপাতত সম্ভব হচ্ছে না, তবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কেনো কুফর’ -এই টপিকের উপরে যতগুলো পেজ যুক্ত করেছি, তাতে এ বিষয়ক অনেক কিছুই এসে গেছে এবং তা সাধারণ পাঠকদের জন্য খবই উপকারী, সেটা পড়ে না থাকলে পড়ে নিবেন অবশ্যই।

      আর আপাতত নতুন কোনো পোষ্ট লেখার সম্ভাবনা নেই। সময়ই বা কোথায়, সামনের ২০২৩ সাল খুবই মারাত্মক সাল —মসলমান অমুসলমান সকলের জন্য।

  16. আজ নভেম্বার ৮ তারিখ
    ইমরান খান ক্ষতায় যেতে পারে।
    পাশাপাশি আমেরিকায় আজ মধ্যভর্তি নির্বাচন।ট্রাম্প ও ক্ষমতায় আসতে পারে।
    দেখা যাক কি হয়
    আল্লাহু আলম

  17. https://youtube.com/c/THEYLIVE1323WESLEEP

    চার বছর আগে রিলিজ হওয়া এই চ্যানেলে ভিডিও গুলো তে দেখানো হচ্ছে ২০২৩ সালে পারমানবিক যুদ্ধ হবে! এবিষয় নিয়ে আপনার মতামত কি?
    তা ছাড়া যদি হয় তাইলে আমাদের করণীয় কি! । বর্তমান আমি প্রবাসী আমি কি ভাবে আমার পরিবারের কাছে ফিরব এবং এই ভয়াবহতা থেকে বাচাবো আমি বলতে চাচ্ছি পারমানবিক হামলা হলে কি আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হবে নাকি টেলি যোগাযোগ এর কোন সমস্যা হবে না!

  18. পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধানের নাম জেনারেল আসিম মনির(কোরআনের হাফেয)
    আলিফ দিয়ে শুরু আসিম।তাকি আপনার স্বপ্নের অংশের সেই ব্যক্তি নাকি ভাই?

  19. সুফিয়ানীর উত্থান সম্পর্কে লিখুন!
    সকলের জানা দরকার এটা!

  20. প্রিয় ভাই, আসসালামু আলাই কুম নতুন কিছু লিখা চাই //////

  21. রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এর কথার সাথে আপনার কথা কয়টি মিল আছে এখন দেখা যাক কি হয়!
    ভাই নতুন পোষ্ট লিখুন এ বিষয় নিয়ে
    সিরিয়ার যুদ্ধ+ সুফিয়ানীর উত্থান
    মিশর নিয়ে কিছু লিখুন

  22. প্রিয় ভাই, আসসালামু আলাইকুম, নতুন পোষ্ট লিখুন

  23. আসসালামুআলাইকুম
    প্রিয় ভাই
    আপনার লেখা মিস করি
    পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে
    ১।রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ
    ২।চিন আমেরিকা যুদ্ধ তাইওয়ান ইসুতে
    ৩।ইহুদিরা আবার নির্যাতন শুরু করেছে
    ৪।ইরানে হামলা করছে ইজরাইল
    ৫।ভারতের আদানি গ্রুপ বিশাল আকারে নাকি ব্যবসা শুরু করেছে

    সব মিলিয়ে যুদ্ধ মুখোমুখি
    কিছু বলুন না

  24. প্রিয় ভাই, সালাম। আশা করি সুস্থ আছেন। আপনার নতুন লেখার জন্য অপেক্ষা করি, সময় সুযোগ হলে লেখা দিবেন। জাযাকাল্লাহ।

  25. গাজওয়াতুল হিন্দ এ বছরে হয়ার সম্ভাবনা খুব জোরালো
    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এ বছরেই ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে হয়তো
    এ বছরে মারাত্বক কিছু ভুমিকম্প হতে পারে
    এ বছরই বাইতুল মাকদিস ভেঙে দিতে পারে
    সব মিলিয়ে আশঙ্কাজনক বছর ২০২৩

  26. প্রিয় ভাই, আসসালামুআলাইকুম, আশা করি আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালার রহমতে সুস্থ আছেন, আপনার নতুন লেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করি, সময় সুযোগ হলে লেখা দিবেন**
    আপনি আমাদের বলেছিলেন ***আজ ১৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ থেকে আরো কিছু তথ্য সময়ে সময়ে যোগ করতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ…. কিন্তু ওভাবে আপডেট পাইনি অনেক প্রিয় দ্বীনি ভাই…… আপনার লিখা পেলে আমাদের হৃদয়ে অনেক শান্তি পাই, ও আশার আলো দেখতে পাই…
    প্রত্যাশা রইল আপডেট দিবেন।……………………………….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *